কবর দেওয়ার পর মৃত ব্যক্তির মুক্তির জন্য আল্লাহ্‌র কাছে দোয়া করা হয়। কবরস্থানকে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখা কর্তব্য। কবরের ওপর দিয়ে চলাচল করা কিংবা কবরের অবমাননা করা অনুচিত। কবরস্থানে ঢুকে ‘আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল কুবুর’ বলতে হয়। দরুদ শরিফ, সুরা ফাতিহা ও পবিত্র কোরআনের আয়াত তিলাওয়াত করে মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করতে হয়। 

মহানবী (সা.) কবরস্থানে বেশ কিছু কাজ না করার নির্দেশনা দিয়েছেন। সেগুলোর কয়েকটি তুলে ধরা হলো:

১. কবরস্থানে পশু জবাই করা যাবে না। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ইসলামে (কবরের পাশে) কোনো জবাই নেই। জাহিলি যুগের লোকজন কবরে গাভি বা ছাগল জবাই করত।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ৩,২২২)

২. কবরের ওপরে বসা নিষেধ। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ কবরের ওপর বসবে, এর চেয়ে উত্তম হলো আগুনের ওপর বসা। আর সেই আগুন যেন তার কাপড় পুড়িয়ে দিয়ে চামড়া পর্যন্ত জ্বালিয়ে দেয়।’ (মুসলিম, হাদিস: ৯৭১)

আরও পড়ুন

বাদশাহ ও এক বালকের ঘটনা

৩. কবরের দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করা নিষেধ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা কবরের দিকে (মুখ করে) নামাজ আদায় করবে না এবং তার ওপর বসবেও না।’ (মুসলিম, হাদিস: ৯৭২)

৪. রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পুরো পৃথিবীই মসজিদ, শুধু কবরস্থান ও গোসলখানা ছাড়া।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৩১৭)

৫. রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের ঘরগুলোকে কবর বানিয়ো না এবং কবরগুলোকে উৎসবের জায়গা বানিয়ো না।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ২,০৪২)

আরও পড়ুন

সুরা ইখলাস পাঠে সওয়াব বেশি