নুহ (আ.) নবীর অবাধ্য ছেলে

প্রতীকী ছবি

হজরত নুহ (আ.)-এর একজন অবাধ্য ছেলে ছিলেন। তিনি ইসলাম গ্রহণ করেননি। হজরত নুহ (আ.) তাঁকে অনেকবার দাওয়াত দেন, তবুও তিনি দাওয়াত কবুল করেনি।

মহাপ্লাবন শুরু হওয়ার আগে হজরত নুহ (আ.) নিজের ছেলেকে ডাকলেন। পবিত্র কোরআনে আছে, ‘পাহাড়প্রমাণ ঢেউয়ের মাঝে এ তাদেরকে নিয়ে বয়ে চলল। নুহ তার পুত্র যে আলাদা ছিল তাকে ডেকে বলল, হে আমার পুত্র! আমাদের সঙ্গে ওঠো, আর অবিশ্বাসীদের সঙ্গে থেকো না।’ (সুরা হুদ, আয়াত: ৪২)

নুহ (আ.)-এর ছেলে যুক্তি দিলেন, আমি যদি পাহাড়ে গিয়ে উঠি, পাহাড়ের ওপর তো আর পানি পৌঁছাতে পারবে না।

মহাপ্লাবন শুরু হলে পানি পাহাড়ের চূড়ায় গিয়ে পৌঁছাল। নুহ (আ.)-এর ছেলে ওই পানিতে ডুবে মারা যান। ওই ছেলে আল্লাহর অবাধ্য হয়েছিলেন। আল্লাহর আজাবের ব্যাপারে যুক্তি দাঁড় করিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন

হজরত নুহ (আ.) নিজের ছেলেকে পানিতে ডুবতে দেখে আল্লাহর কাছে প্রশ্ন করলেন। ‘নুহ তাঁর প্রতিপালককে সম্বোধন করে বলল, হে আমার প্রতিপালক! আমার পুত্র আমার পরিবারের একজন আর তোমার প্রতিশ্রুতি তো সত্য; আর তুমি তো বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিচারক।’ (সুরা হুদ, আয়াত: ৪৫)

জবাবে আল্লাহ বলেন, ‘হে নুহ! সে তোমার পরিবারের কেউ নয়। সে অসৎ কর্মপরায়ণ। সুতরাং যে বিষয়ে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, সে বিষয়ে আমাকে অনুরোধ কোরো না। আমি তোমাকে উপদেশ দিচ্ছি, তুমি যেন অজ্ঞদের শামিল না হও।’ (সুরা হুদ, আয়াত: ৪৬)

আরও পড়ুন

নুহ (আ.) আল্লাহর কাছে দোয়া করে বললেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! যে বিষয়ে আমার জ্ঞান নেই সে বিষয়ে যাতে তোমাকে অনুরোধ না করি, এ জন্য আমি তোমার শরণ নিচ্ছি । তুমি যদি আমাকে ক্ষমা না করো ও দয়া না করো, আমি ক্ষতিগ্রস্তদের শামিল হব।’ (সুরা হুদ, আয়াত: ৪৭ )

নবী নুহ (আ.) মনে করেছিলেন রক্তসম্পর্কীয় মানুষ পরিবারের অন্তর্ভুক্ত হয়। আর আল্লাহ জানিয়ে দিলেন সম্পর্কটা হয় ইমানের দিক থেকে। একজন মুমিনের কাছে আরেকজন মুমিন তার পরিবারের মতো আপন।

আরও পড়ুন