তওবার শর্ত
হজরত আবু হুরায়রা (রা.)-এর বরাতে এ হাদিসের বর্ণনা আছে।
প্রতিটি পাপ থেকে তওবা করা ওয়াজিব (অবশ্য কর্তব্য)। যদি পাপের সম্পর্কটা আল্লাহর (অবাধ্যতার) সঙ্গে থাকে কিন্তু কোনো মানুষের অধিকারের সঙ্গে না থাকে, তাহলে এ ধরনের তওবা কবুলের জন্য তিনটি শর্ত রয়েছে: ১. পাপ পুরোপুরি বর্জন করতে হবে। ২. পাপ করার কারণে অনুতপ্ত ও লজ্জিত হতে হবে। ৩. ওই পাপ ভবিষ্যতে আর না করার ব্যাপারে দৃঢ় শপথ করতে হবে। যদি এর মধ্যে একটি শর্তেরও লঙ্ঘন হয়, তাহলে সেই তওবা বিশুদ্ধ হবে না।
অথচ সেই পাপ যদি মানুষের অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত হয়, তাহলে সেটি গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য শর্ত চারটি: ওপরের তিনটি, আর (সেগুলোর সঙ্গে) চতুর্থ আরেকটি শর্ত—হকদারদের হক ফিরিয়ে দিতে হবে। অবৈধ পথে কারও সম্পদ বা অন্য কিছু নিয়ে থাকলে তা ফিরিয়ে দিতে হবে। কাউকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে থাকলে বা এ–জাতীয় কোনো দোষ করে থাকলে শাস্তি গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট মানুষটির কাছে নিজেকে পেশ করতে হবে কিংবা তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। কারও কুৎসা করে থাকলে সেই মানুষের কাছে তার মার্জনা চেয়ে নিতে হবে।
আল্লাহ বলেছেন, ‘হে বিশ্বাসীরা, তোমরা সবাই আল্লাহর কাছে তওবা (প্রত্যাবর্তন) করো, যাতে তোমরা সফল হতে পারো।’ (সুরা নুর, আয়াত: ৩১)
আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমরা নিজেদের প্রতিপালকের কাছে (পাপের জন্য) ক্ষমা প্রার্থনা করো, এরপর তাঁর কাছে তওবা (প্রত্যাবর্তন) করো।’ (সুরা হুদ, আয়াত: ৩)
আল্লাহ আরও বলেছেন, ‘হে বিশ্বাসীরা, তোমরা আল্লাহর কাছে তওবা করো—বিশুদ্ধ তওবা।’ (সুরা তাহরিম, আয়াত: ৮)