আবু তালেবের মৃত্যুর সময়ের ঘটনা কেন্দ্র করে কোরআনে কিছু আয়াত নাজিল হয়। সাঈদ ইবনে মুসাইয়ার (রহ.) তাঁর পিতার সূত্রে ঘটনার বর্ণনা করেছেন।
রাসুল (সা.)–এর চাচা আবু তালেবের মৃত্যুর সময় রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর কাছে উপস্থিত হলেন। সেখানে আবু জাহেল ও আবদুল্লাহ ইবনে আবু উমাইয়া ইবনে মুগিরাকে দেখতে পেলেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, হে চাচাজান! আপনি কালেমা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলুন। আমি আল্লাহর কাছে আপনার জন্য (এই অছিলায়) সাক্ষ্য দেব।
আবু জাহেল ও আবদুল্লাহ ইবনে আবু উমাইয়া বলল, হে আবু তালেব! তুমি কি আবদুল মুত্তালিবের দ্বীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে?
সুরা ইখলাসের ফজিলত
রাসুলুল্লাহ (সা.) এরপরও বারবার ওই কথার পুনরাবৃত্তি করে যাচ্ছিলেন।
আবু তালেব শেষ কথাটি এভাবে বললেন যে তিনি আবদুল মুত্তালিবের দ্বীনের ওপরই রয়েছেন। তিনি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলতে অস্বীকার করলেন।
এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, আল্লাহর কসম! আমি আপনার জন্য অবশ্যই ইস্তিগফার করতে থাকব, যতক্ষণ না আমাকে তা থেকে নিষেধ করা হয়।
এ পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তাআলা নাজিল করেন যে আত্মীয়স্বজন হলেও মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা রাসুলুল্লাহ (সা.) বিশ্বাসীদের জন্য সংগত নয়। আল্লাহ বিশেষভাবে আবু তালেবের ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সা.)–কে উদ্দেশ করে ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ পথ দেখান, যাকে ইচ্ছা করেন। আর কাদের ভাগ্যে হিদায়াত আছে সে সম্পর্কে তিনি সম্যক জ্ঞাত আছেন। (সুরা কাসাস, আয়াত: ৫৬)