জিনের উদ্ভব কখন
ইবনে আব্বাস (রা.), আতা ইবনে রাবাহ (রহ.), হাসান বসরি (রহ.), মুকাতিল ও কাতাদা (রহ.) সহ অধিকাংশের মতে, ‘আল্লাহ জিন জাতিকে সৃষ্টি করেছেন মানবজাতির আগেই। আল্লাহ বলেছেন, ‘আমি তো ছাঁচে-ঢালা শুকনো ঠনঠনে মাটি থেকে মানুষ সৃষ্টি করেছি, আর এর আগে খুব গরম বাতাসের ভাপ থেকে জিন সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা হিজর, ২৬-২৭)
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা জান্নাতে আদমের প্রতিকৃতি তৈরি করার পর নির্দিষ্ট একটি সময় পর্যন্ত রেখে দেন। তখন ইবলিস আদমের মাটির প্রতিকৃতির চারপাশ ঘুরে ঘুরে এর মধ্যে ফাঁকা দেখে সে বুঝতে পেরেছিল, এটা এমন এক সৃষ্টি, যারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।’ (মুসলিম, হাদিস: ২,৬১১)
ইবনে আব্বাস (রা.)-এর সূত্রে ইমাম হাকিম (রহ.) বর্ণনা করেন, ‘মানুষ সৃষ্টির দুই হাজার বছর আগে আল্লাহ জিন জাতিকে সৃষ্টি করেন। পৃথিবীর সর্বত্র তারা ফেতনা-ফ্যাসাদ ছড়াতে থাকে। অবশেষে আল্লাহ ফেরেশতাদের আদেশ করেন, তাদেরকে পিটিয়ে সমতলভূমি থেকে উচ্ছেদ করে সমুদ্রের বিভিন্ন দ্বীপে পাঠিয়ে দিতে। এরপর আল্লাহ যখন ফেরেশতাদের বললেন, পৃথিবীতে তিনি তাঁর প্রতিনিধি পাঠাবেন। ফেরেশতারা বলল, আপনি কি এমন জাতি পাঠাবেন, যারা ফিতনা-ফ্যাসাদ ও রক্তপাত করবে; আগে যেমন জিন জাতি করেছিল?’ (মুসতাদরাকে হাকিম, ৩,০৩৫)