হজের সময় সাফা আর মারওয়া দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী পথের কিছুটা স্থান দৌড়াতে হয় এবং বাকি পথ হাঁটতে হয়। পাহাড় দুটি এখন মসজিদুল হারামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে এবং পাহাড় দুটির বেশির ভাগই মেঝের নিচে অদৃশ্য হয়ে গেছে। শুধু চূড়ার কিছু অংশ দেখা যায়। দুই পাহাড়ের মাঝামাঝি জায়গাটা সমান।

বৃদ্ধ ও অসুস্থ লোকদের জন্য হুইল চেয়ারের আলাদা লেন আছে। মসজিদ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিনামূল্যে হুইল চেয়ার সংগ্রহ করা যায়। হুইল চেয়ার ব্যবহারকারীর আত্মীয়স্বজনও হুইল চেয়ার ঠেলতে পারেন। লোক ভাড়া পাওয়া যায়, যারা পয়সার বিনিময়ে হুইল চেয়ারে তাওয়াফ ও সায়ী করিয়ে দেয়। তাওয়াফের জন্যও হুইল চেয়ারের আলাদা লেন আছে।

আরও পড়ুন

হজরত আদম (আ.)–এর পৃথিবীতে পদার্পণ

অনেক হুইল চেয়ার ব্যবহারকারী হাজার হাজার লোকের ভিড় ঠেলে তাওয়াফ ও সায়ী করে থাকেন, দ্বিতীয়, তৃতীয় তলাতেও সায়ীর ব্যবস্থা আছে। সেখানেও সায়ীর পথটুকু সমতল হওয়ায় সায়ী করা সহজ।

হজরত হাজেরা (আ.) এবং শিশু পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে কাবার পাশে বড় একটি গাছের ছায়ায় রেখে গিয়েছিলেন হজরত ইব্রাহিম (আ.)। তখন কাবা শরিফের স্থানটি ছিল উঁচু একটি টিলার মতো। তাঁদের দিয়ে যান কিছু খেজুর আর এক মশক পানি। পানি ফুরিয়ে গেলে হজরত হাজেরা (আ.) পানির জন্য কাবার সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় ছোটাছুটি করতে থাকেন। সাতবার ছোটাছুটির পর একটি আওয়াজ শুনে তিনি কাবার পাশে এসে দেখেন, চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে পানি। তিনি পানির উৎসে চারদিকে বালির বাঁধ দেন। পরে খনন করে এই কূপকে আরও প্রশস্ত করেন হজরত ইব্রাহিম (আ.)। এইটাই জমজম সাফা মারওয়ায় দৌড়ানোর কাহিনি।

আরও পড়ুন

হজযাত্রীদের বিনা মূল্যে দেওয়া হচ্ছে হজ গাইড

দুই পাহাড়ের মধ্যে একটি জায়গায় এলে কিছুটা স্থান দৌড়াতে হয় এবং বাকি পথ হাঁটার রেওয়াজ। বিবি হাজেরা (আ.) পানির জন্য যে জায়গাগুলোতে ছুটোছুটি করেছিলেন এখন সেখানে ওমরাহ বা হজে হজযাত্রীরা দৌড়ান। এই পাহাড় দুটি এখন মসজিদুল হারামের অন্তর্ভুক্ত।

আরও পড়ুন

এ বছর হজে যাচ্ছেন ...