রাসুলুল্লাহ (সা.) কখন কখন মিসওয়াক করতেন

বিভিন্ন হাদিস থেকে জানা যায়, রাসুলুল্লাহ (সা.) দিন-রাতের বিভিন্ন সময় মিসওয়াক করতেন। কিছু সময়ের নির্দেশনা দেওয়া যাক:

১. ঘুম থেকে উঠেই বা তাহাজ্জুদ আদায়ের আগে: হুজাইফা (রা.)–র বর্ণনায় আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) রাতের বেলা তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য উঠে মিসওয়াকে মুখ পরিষ্কার করে নিতেন। (বুখারি, হাদিস: ১,১৩৬; মুসলিম, হাদিস: ৫১৬)

২. ঘরে প্রবেশ করে: আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন ঘরে প্রবেশ করতেন, প্রথমে মিসওয়াক করতেন।’ (মুসলিম, হাদিস: ২৫৩)

৩. শয্যার পাশে মিসওয়াক রাখা: আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেছেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘুমানোর সময় শয্যার পাশে মিসওয়াক রেখে ঘুমাতেন। যখনই ঘুম থেকে জেগে উঠতেন, প্রথমেই তিনি মিসওয়াক করতেন।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ৫,৯৬৯)

৪. অজুর আগে: আয়েশা (রা.) বলেছেন, ‘দিনে বা রাতে যখনই রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘুম থেকে জেগে উঠতেন, অজু করার আগে মিসওয়াক করে নিতেন।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ২৪,৯০০)

আরও পড়ুন

৫. নামাজ ও অজুর সময়: রাসুলুল্লাহ (সা.) অজুর আগে মিসওয়াক করার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন।

৬. জুমার দিনে: আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বরাতে একটি হাদিসে আছে যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য জুমার দিন গোসল ও মিসওয়াক করা কর্তব্য এবং সে সামর্থ্য অনুযায়ী সুগন্ধিও ব্যবহার করবে।’ (মুসলিম, হাদিস: ১,৮৪৫)

এ ছাড়া মুখ অপরিষ্কার থাকলে, কোরআন তিলাওয়াত করার আগে, মসজিদের ঢোকার আগে, কারও সঙ্গে দেখা করার আগে, কোনো ধর্মীয় মজলিশে যাওয়ার আগে মিসওয়াক করার কথা হাদিসের বিভিন্ন বর্ণনায় পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন