মুসলিম সভ্যতায় বিশ্বভাবনার অনুবাদ আন্দোলন
ইসলামের জয়যাত্রার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রসারিত হচ্ছিল তার জ্ঞানচর্চার দিগন্তও। মুসলমানরা নিত্যনতুন সভ্যতা, ভাষা ও ঐতিহ্যের সংস্পর্শে আসছিলেন। একদিকে যেমন ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে আরবি ভাষা শিক্ষার আগ্রহ বাড়ছিল, তেমনই মুসলিম বিশ্বের কাছে বিভিন্ন সভ্যতার জ্ঞানভান্ডার পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজন হয়ে পড়ল বিপুল অনুবাদের।
ধর্মীয় ও রাজনৈতিক কারণেই তৎকালীন বিশ্বে আরবি ছিল সংযোগ ও ভাবপ্রকাশের মূল মাধ্যম। কিন্তু আরবদের নিজস্ব লিখিত সম্পদ ছিল যৎসামান্য।
প্রাচীন আরবেরা গণিত বা বিজ্ঞানের চেয়ে সাহিত্যানুরাগী ছিলেন বেশি। তাঁদের কবিতা ও বাগ্মিতার ঐতিহ্য ছিল অত্যন্ত সমৃদ্ধ। সেই সাহিত্যে জ্ঞানের যে প্রকাশ দেখা যেত, তা মূলত ভূয়োদর্শন ও অভিজ্ঞতালব্ধ; যাকে তাঁরা বলতেন ‘হিকমা’।
অন্যান্য সভ্যতার মুখোমুখি হয়ে আরবেরা যখন এক বিপুল জ্ঞানসমুদ্রের সন্ধান পেলেন, তখন তাঁরা উপলব্ধি করলেন যে এই জ্ঞান কেবল স্মৃতিতে ধরে রাখা সম্ভব নয়।
জ্ঞানের সংরক্ষণে লিপিবদ্ধকরণের পরিবর্তে তাঁরা বেছে নিয়েছিলেন শ্রুতি ও স্মৃতির পথ। প্রজন্মের পর প্রজন্মে বাহিত হতো সেই জ্ঞান, এক স্মৃতি থেকে অন্য স্মৃতিতে। লেখার প্রচলন ছিল সামান্যই।
অন্যান্য সভ্যতার মুখোমুখি হয়ে আরবেরা যখন এক বিপুল জ্ঞানসমুদ্রের সন্ধান পেলেন, তখন তাঁরা উপলব্ধি করলেন যে এই জ্ঞান কেবল স্মৃতিতে ধরে রাখা সম্ভব নয়। ইবনে সাইদ আন্দালুসি তাঁর তাবাকাতুল উমাম গ্রন্থে লিখেছেন, ইসলামের আবির্ভাবের পর আরবেরা ভাষা ও সাহিত্যের পাশাপাশি ধর্মীয় বিধিবিধানকে জ্ঞানচর্চার অন্তর্ভুক্ত করে।
তবে চিকিৎসাবিদ্যার ক্ষেত্রে তাঁদের জ্ঞান ছিল মূলত লোকায়ত ও আঞ্চলিক পদ্ধতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ; চিকিৎসকও ছিলেন হাতে গোনা। অনুবাদপর্ব শুরু হওয়ার পর চিকিৎসাবিদ্যা শিক্ষায় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নানা নির্দেশিকা।
উমাইয়া আমলে ইসলামি সাম্রাজ্য উত্তর আফ্রিকা থেকে মধ্য এশিয়া অবধি বিস্তৃত হয়। এই বিশাল ভূখণ্ডে নানা ভাষা, সংস্কৃতি ও সভ্যতার মানুষের বাস। আলেকজান্দ্রিয়া, জুন্দিশাপুর, এন্টিয়ক, হাররান ও নুসাইবিনের মতো বহু জ্ঞানচর্চা কেন্দ্র ইসলামি ছত্রচ্ছায়া আসে। এই কেন্দ্রগুলোতে গ্রিক গ্রন্থাদির বিশেষ চর্চা হতো।
এখানকার অধিকাংশ অধিবাসী ছিলেন সুরিয়ানি খ্রিষ্টান, যাঁরা মেসোপটেমিয়া ও প্যালেস্টাইনের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বসবাস করতেন। এই সুরিয়ানিরাই হয়ে উঠেছিলেন গ্রিক ও আরবি সভ্যতার মধ্যে যোগসূত্র। তাঁদের হাত ধরেই গ্রিক থেকে আরবিতে অনুবাদের পথ প্রশস্ত হয়।
খলিফা আবদুল মালিক বিন মারওয়ান যখন আরবিকে প্রশাসনিক ভাষার মর্যাদা দিলেন, তখন প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক কারণেও অনুবাদের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পায়।
উমাইয়া যুগেই এই অনুবাদ আন্দোলনের সূচনা হয়। সপ্তম শতাব্দীর শেষ ভাগে উমাইয়া শাহজাদা খালিদ বিন ইয়াজিদ চিকিৎসাবিদ্যা ও রসায়নের গ্রন্থ আরবিতে অনুবাদে আগ্রহী হন। মিসরে থাকা গ্রিক পণ্ডিতদের সাহায্যে তিনি রসায়ন ও জ্যোতির্বিদ্যার বই অনুবাদ করান।
খলিফা আবদুল মালিক বিন মারওয়ান যখন আরবিকে প্রশাসনিক ভাষার মর্যাদা দিলেন, তখন প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক কারণেও অনুবাদের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পায়।
গ্রিক থেকে আরবিতে অনূদিত প্রথম গ্রন্থ হিসেবে দার্শনিক হার্মিসের লেখা একটি জ্যোতির্বিদ্যার বইয়ের উল্লেখ পাওয়া যায়, যার আরবি নামকরণ হয়েছিল আহকামুন নুজুম। খলিফা ওমর বিন আবদুল আজিজের অনুরোধে বসরার ইহুদি চিকিৎসক মাসারজাওয়াই আলেকজান্দ্রিয়ার যাজক আহরানের লেখা একটি চিকিৎসাবিষয়ক বই অনুবাদ করেন।
উমাইয়া যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অনুবাদক ছিলেন ইয়াকুব রাহাউয়ি, যিনি একাধিক গ্রিক গ্রন্থ আরবিতে ভাষান্তর করেছিলেন।
আব্বাসীয় আমলে এই অনুবাদের স্রোত এক প্রকৃত আন্দোলনের রূপ নিল। তাঁরা পারসিক ও অন্যান্য অনারবীয় সংস্কৃতি ও সভ্যতার প্রতি বিশেষ আগ্রহী ছিলেন। খলিফা আবু জাফর আল-মানসুর গ্রন্থানুবাদে বিপুল উৎসাহ জোগান। তাঁরই অনুরোধে ইসহাক বিন হুসাইন হিপোক্রেটিস ও গ্যালেনের চিকিৎসাবিষয়ক কয়েকটি বই অনুবাদ করেন।
পারস্য বংশোদ্ভূত আবদুল্লাহ ইবনে মুকাফফা অনুবাদ করেন ভারতের বিদপাই নামে পণ্ডিতের পঞ্চতন্ত্র। আরবিতে এর নামকরণ হয় কালিলা ওয়া দিমনা। আরব্য রজনীর মতো জনপ্রিয়তা না পেলেও আরবি গদ্যের এক অনবদ্য নিদর্শন এবং বিশ্বসাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ হিসেবে এই গ্রন্থ আজও স্বীকৃত।
এই গ্রন্থের বিশ্বজনীন আবেদন সম্পর্কে সাহিত্যিক সালমান রুশদির পর্যবেক্ষণটি প্রণিধানযোগ্য, “এই শিয়ালের গল্প প্রায় আরব্য রজনীর গল্পের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে, আরবি ও ফারসি দুই রূপেই এই গল্পের উপস্থিতি রয়েছে। এই নবরূপে শিয়াল দুটির নাম কালিলা আর দিমনা। এই শিয়ালগুলো আবার হিব্রু আর ল্যাটিন গল্পে আবির্ভূত হয়েছে। অবশেষে ওরা ইংরেজি আর ফরাসিতে ফেবলস অব বিদপাইয়ে হাজির। তবে আরব্য রজনীর গল্পের সঙ্গে এই গল্পগুলোর তফাত হলো আধুনিক পাঠকদের কাছে এসব গল্প পরিচিত নয়; সম্ভবত গল্পগুলোর ‘হ্যাপি ইন্ডিং’ বা লোকদেখানো আনন্দের সমাপ্তি না থাকায় ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানির এই বিষয়ে তেমন আগ্রহ নেই।”
তাই বলে তাদের প্রভাব যে কম, তা নয়। এই প্রভাবের কারণ দৈত্য-দানব-জাদুমন্ত্র যা–ই থাক না কেন, এই গল্প মানবচরিত্রের এক বিশ্বস্ত চিত্র আঁকে (এমনকি মানবস্বভাবসদৃশ জীবজন্তু গল্পের চরিত্র)। এখানে আমরা মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ চিত্র পাই, তার সাহস আর কাপুরুষতা, তার নীতিনিষ্ঠা আর ভ্রষ্টচরিত্র, তার সরলতা আর কুটিলস্বভাব।
গল্পগুলোতে সাহিত্যের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী প্রশ্নটির উত্তর সন্ধান করা হয় যখন সাধারণ মানুষের জীবনে অসাধারণের আবির্ভাব হয়, তখন তারা কীভাবে তার মোকাবিলা করে? এসব গল্প তার উত্তরে বলে—কখনো কখনো আমরা খুব ভালোভাবে মোকাবিলা করি না, আবার কখনো কখনো নিজের মধ্যে অজানা শক্তি কোথাও থেকে সঞ্চয় করি, শিরদাঁড়া সোজা করে উঠে দাঁড়াই, দৈত্যকে পদানত করি। বিউলফ গ্রেন্ডেলকে হত্যা করে, তার আরও ভয়ংকর মাকে খুন করে; রেড রাইডিং হুড নেকড়েকে খুন করে; বিউটি বিস্ট বা দৈত্যের মনের প্রেম আবিষ্কার করে, তখন আর সে দানবিক থাকে না। এটাই সেই জাদু, মানুষের জাদু, রূপকথার আসল জাদু।
হারুনুর রশিদ ও বিশেষত মামুনুর রশিদের শাসনকালে জ্ঞানচর্চা ও অনুবাদ এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়। আল মামুন গ্রিক দর্শন, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও গণিতের প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট ছিলেন।
আবদুল্লাহ ইবনে মুকাফফা কেবল সাহিত্যেই নয়, গণিত ও যুক্তিশাস্ত্রেও পারদর্শী ছিলেন। সিন্ধ হিন্দ এবং ইউক্লিডের গ্রন্থও তিনি অনুবাদ করেছিলেন।
হারুনুর রশিদ ও বিশেষত মামুনুর রশিদের শাসনকালে জ্ঞানচর্চা ও অনুবাদ এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়। আল মামুন গ্রিক দর্শন, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও গণিতের প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট ছিলেন। সাম্রাজ্যের পণ্ডিতদের তিনি গ্রিক, ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের লেখা গ্রন্থাবলি সংগ্রহ করে বাগদাদে আনার নির্দেশ দেন।
তাঁর স্বপ্ন ছিল এমন এক জ্ঞানচর্চার পরিবেশ তৈরি করা, যেখানে আলেমরা কেবল নতুন জ্ঞান সৃষ্টি ও গবেষণায় মগ্ন থাকবেন। ৮৩০ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর এই স্বপ্ন আলো দেখল। নির্মিত হলো আরব জগতের প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণাগার ও জ্ঞানকেন্দ্র-‘বায়তুল হিকমাহ’ বা হাউস অব উইজডম।
ইবনে নাদিম বর্ণনা করেছেন, আল মামুন স্বয়ং রোমান সম্রাটকে চিঠি লিখে তাঁর রাজ্যের প্রাচীন পুঁথিপুস্তক বাগদাদে পাঠানোর অনুরোধ জানান। প্রথমে রাজি না হলেও পরে রোমান সম্রাট সেই অনুরোধ রক্ষা করেন। সেসব বই অনুবাদের জন্য নিযুক্ত হন হাজ্জাজ বিন মাতার, ইবনে বিত্রিক, সালাম প্রমুখ।
তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেন বহু তরুণ অনুবাদক। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন বনু মুসা ভাতৃত্রয় (মুহাম্মদ, আহমদ ও আল হাসান)। গণিতের বই সংগ্রহের জন্য বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে তাঁদের। আল মামুন হুনাইন বিন ইসহাককে রোমে পাঠান, যিনি সেখান থেকে কিছু দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থ সংগ্রহ করে আনেন।
অষ্টম শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে যেখানে সিরীয় ভাষা থেকে আরবিতে অনুবাদের চল ছিল, নবম শতাব্দীতে তার মোড় ঘুরল। এবার সরাসরি গ্রিক থেকেই আরবিতে অনুবাদ শুরু হলো। নবম ও দশম শতাব্দীতে এই অনুবাদ আন্দোলন শিখর স্পর্শ করে। চিকিৎসাবিদ্যা থেকে দর্শন, জ্যোতির্বিদ্যা থেকে গণিত—জ্ঞানের প্রায় সব শাখার গ্রন্থই আরবিতে অনূদিত হতে থাকে।
ঐতিহাসিকদের মতে, মুসলিম সভ্যতায় বিদেশি জ্ঞান-বিজ্ঞানের চারজন শ্রেষ্ঠ অনুবাদক ছিলেন হুনাইন বিন ইসহাক, সাবেত বিন কুররা, ওমর ইবনে ফারুখান আত তাবারি এবং ইয়াকুব ইবনে ইসহাক আল কিন্দি। এই চারজনের মধ্যে হুনাইন বিন ইসহাক ছিলেন সবচেয়ে প্রসিদ্ধ। এই অনুবাদকদের এক বিশেষত্ব ছিল, অনুবাদের আগে তাঁরা কোনো গ্রন্থের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সংস্করণটি খুঁজে বের করতেন। প্রয়োজনে একাধিক সংস্করণ মিলিয়ে দেখে শ্রেষ্ঠটিকে বেছে নিতেন।
এই অনুবাদ আন্দোলন ছিল এক জ্ঞানতীর্থ, যেখানে আরব-ইসলামি মানসে অনারবীয় দর্শন ও বিজ্ঞানের ঐতিহ্য এসে মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল, যা কয়েক শতাব্দী ধরে মানবিক জ্ঞানের অগ্রগতিতে নেতৃত্ব দিয়ে গেছে।জুরজি জায়দান, ‘আল লুগাতুল আরাবিয়্যাহ: কাইনুন হাইয়্যুন’–এর লেখক
জ্ঞান-বিজ্ঞানের অনুবাদের ক্ষেত্রে পরিভাষা একটি বড় সংকট। আরবি ভাষার অনুবাদকেরা এই সংকট উত্তরণে অসামান্য দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন।
আরবি ভাষার শব্দগঠনের নির্দিষ্ট মাপ (মিজান) থাকায় তাঁরা প্রয়োজন অনুযায়ী ধাতুমূল থেকে নতুন পরিভাষা তৈরি করে নিতে পারতেন। বিদেশি শব্দও আত্মীকৃত হয়েছে, তবে সে ক্ষেত্রে আরবি শব্দকাঠামো মানার চেষ্টা করা হতো।
আবার বহু প্রচলিত আরবি শব্দকে তাঁরা নতুন পারিভাষিক অর্থ প্রদান করেন। যেমন ‘কুহল’ শব্দের অর্থ সুরমা। ‘কাহলান’ মানে চোখে সুরমা দেওয়া। এই ধাতুমূল থেকেই চক্ষুচিকিৎসার জন্য ‘কাহালাতুন’ এবং চক্ষুচিকিৎসকের জন্য ‘কাহ্হাল’ শব্দ তৈরি হয়। ‘জুরহ’ মানে ক্ষত। ‘জারাহা’ মানে দেহে ক্ষত তৈরি করা। সেখান থেকেই শল্যচিকিৎসা বা সার্জারির জন্য ‘জিরাহাতুন’ শব্দটির প্রচলন হয়।
জুরজি জায়দান তাঁর আল লুগাতুল আরাবিয়্যাহ: কাইনুন হাইয়্যুন গ্রন্থে লিখেছেন, “আরবি ভাষার এই নমনীয়তাই অনুবাদকদের কাছে আশীর্বাদ হয়ে উঠেছিল। যেসব শব্দ নিয়ে আরবেরা কোনো দিন বৈজ্ঞানিকভাবে চিন্তা করেননি, তার মধ্যেই যে এত সুন্দর রাসায়নিক, প্রাকৃতিক, দার্শনিক, গাণিতিক বা জ্যোতির্বিদ্যাবিষয়ক পরিভাষা লুকিয়ে ছিল, তা হয়তো এই অনুবাদ আন্দোলন ছাড়া জানাই যেত না। এই অনুবাদ আন্দোলন ছিল এক জ্ঞানতীর্থ, যেখানে আরব-ইসলামি মানসে অনারবীয় দর্শন ও বিজ্ঞানের ঐতিহ্য এসে মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল, যা কয়েক শতাব্দী ধরে মানবিক জ্ঞানের অগ্রগতিতে নেতৃত্ব দিয়ে গেছে।”
তথ্যসূত্র
হাসান ইবরাহিম হাসান, তারিখুল ইসলাম
মরিয়ম সালামা, আত-তারজামাতু ফিল আসরিল আব্বাসি
জুরজি জায়দান, আল লুগাতুল আরাবিয়্যাহ: কাইনুন হাইয়্যুন
মীজান রহমান ও অভিজিৎ রায়, শূন্য থেকে মহাবিশ্ব
সালমান রুশদি, ‘নিজেকে শুধান, কোন বই আপনি সত্যি ভালোবাসেন?’, পড়ুয়া, ২য় সংখ্যা, জুলাই ২০২১
ইবনে নাদিম, আল ফিহরিস্ত
ইবনে সাইদ আন্দালুসি, তাবাকাতুল উমাম