হজে গিয়ে ২১ বাংলাদেশির মৃত্যু

প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লাখো ধর্মপ্রাণ মুসলমান পবিত্র কাবায় হজ পালনে সমবেত হনছবি: এপি

হজ পালন করতে সৌদি আরব গিয়ে এখন পর্যন্ত ২১ বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী। এর মধ্যে মক্কায় মারা গেছেন ১৬ জন, মদিনায় ৪ জন ও মিনায় ১ জন। প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা যান গত ১৫ মে।

মারা যাওয়া হজযাত্রীরা হলেন নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মো. আসাদুজ্জামান (৫৭), ভোলার মো. মোস্তফা (৯০), কুড়িগ্রামের মো. লুৎফর রহমান (৬৫), ঢাকার নবাবগঞ্জের মো. মুরতাজুর রহমান (৬৩), চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার মোহাম্মদ ইদ্রিস (৬৪), ঢাকার কদমতলির মোহাম্মদ শাহজাহান (৪৮), কুমিল্লার মো. আলী ইমাম ভূঁইয়া (৬৫), কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মো. জামাল উদ্দিন (৬৯), কক্সবাজারের রামু উপজেলার মোহাম্মদ নুরুল আলম (৬১), কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মাকসুদ আহমদ (৬১), ফরিদপুরের নগরকান্দার মমতাজ বেগম (৬৩), ঢাকার রামপুরার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম (৫৭), গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার মো. সোলাইমান (৭৩), রংপুরের তারাগঞ্জের গোলাম কুদ্দুস (৫৪), রংপুরের পীরগঞ্জের শাহাজুদ আলী (৫৫), রংপুরের তারাগঞ্জের গোলাম কুদ্দুস (৫৫), কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের শাহ আলম (৭৭), কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া সুফিয়া আক্তার খাতুন (৬২) ও টাঙ্গাইল সদরের আলমগীর হোসেন খান (৭৩)।

সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে মারা গেলে তাঁর মরদেহ সেখানেই দাফন করা হয়। নিজ দেশে আনতে দেওয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তিও গ্রহণ করা হয় না। মক্কায় হজযাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে ও মদিনায় মসজিদে নববিতে জানাজা হয়।

এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে এবারের পবিত্র হজ মৌসুমে অন্তত সাড়ে পাঁচ শ হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন মিসরের হজযাত্রী। চরম উষ্ণ আবহাওয়া ও প্রচণ্ড গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে তাঁদের অনেকেই মারা গেছেন বলে গতকাল মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট কূটনীতিকেরা জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট অন্তত দুজন আরব কূটনীতিক এএফপিকে বলেন, মারা যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে মিসরের অন্তত ৩২৩ জন আছেন। তাঁদের অধিকাংশই প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন।