জিভের জড়তা কাটাতে মুসা (আ.) যে প্রার্থনা করেছিলেন
মুসা (আ.) তার শৈশবকাল তৎকালীন মিশরের রাজা ফেরাউনের বাড়িতে কাটিয়েছিলেন। শৈশবে তার সামনে খেজুর ও আগুনের অঙ্গার রাখা হয়েছিল। তিনি অঙ্গার উঠিয়ে নিয়ে মুখে পুরে দেন। ফলে তাঁর জিহ্বায় আড়ষ্ট হয়ে যায়।
কিন্তু ফেরাউনের কাছে আল্লাহর বাণী নিয়ে যাবার নির্দেশ যখন মুসাকে (আ.) আল্লাহ দিলেন, তখন তিনি তাঁর কাছে প্রার্থনা জানালেন, ‘রাব্বিশ রাহলি সাদরি ওয়া ইয়াসসিরলি আমরি..’ অর্থাৎ. ‘হে আমার প্রতিপালক আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দাও, আর আমার কাজ সহজ করে দাও। আমার জিহ্বার জড়তা দূর করে দাও। যাতে ওরা আমার কথা বুঝতে পারে। আর আমার আত্মীয়দের মধ্য থেকে আমার জন্য একজন সাহায্যকারী দাও।’ (সুরা তাহা, আয়াত: ২৫-২৯)
যেমন ফেরাউন বলেছিল আমি উত্তম, না এই ব্যক্তি? সে তো গরিব ও তুচ্ছ। সে তো স্পষ্টভাবে কথাও বলতে পারে না।
হাসান বসরি (র.) বলেন যে, হজরত মুসা (আ.) জিহ্বার জড়তা কাটানোর জন্য প্রার্থনা করেছিলেন, তা কবুল হয়েছিল। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, হজরত মুসার (আ.) এই ভয় ছিল যে, না জানি হয়তো ফেরাউন তার ওপর হত্যার অভিযোগ এনে তাকে হত্যা করে ফেলে। তার জিহ্বায় জড়তা ছিল তা তিনি জড়তা পরিষ্কার করে দেওয়ার জন্য প্রার্থনা করেন যাতে লোকেরা তার কথা বুঝতে পারে। তার দোয়া কবুল হয়।
তারপর তিনি দোয়া করেন যে, তার ভাই হারুন (আ.)-কে যেন নবী করে দেওয়া হয়। তাঁর এই দোয়া আল্লাহ মঞ্জুর করেন। উরওয়া (রা.) থেকে জানা যায় যে, একবার আয়েশা (রা.) ওমরাহ করতে যান। তিনি একজন বেদুঈনের বাড়িতে অবস্থান করেছিলেন। শুনতে পান যে, একজন লোক প্রশ্ন করল দুনিয়ায় কোন ভাই তার নিজের ভাইকে সবচেয়ে বেশি উপকৃত করেছিলেন? তার এই প্রশ্ন শুনে সবাই নীরব হয়ে যায় এবং বলে আমাদের এটা জানা নেই। ওই লোকটি তখন বলে আল্লাহর শপথ, আমি ওটা জানি, তিনি হলেন হারুন (আ.), যিনি নবুয়তের প্রচারে তার ভাই মুসার (আ.) সহযোগী ছিলেন।