রমজানে ছয়টি অভ্যাস

রমজানে ছয়টি অভ্যাস

রোজার মাসে তো বটেই, বছরজুড়ে এই অভ্যাসগুলো থাকা ভালো। এবারের রমজানে কী করবেন, তার একটা ধারণা দেওয়া হলো।

১. প্রতিদিন কোরআন পড়া: রমজানের মাসজুড়েই অল্প অল্প করে কোরআন পড়তে হবে। যদি নিয়ত থাকে খতম দেওয়ার, তাহলে প্রতি ওয়াক্তে পাঁচ পৃষ্ঠা করে পড়া যায়। তাহলে প্রতিদিন ২৫ পৃষ্ঠা এবং মাস শেষ হওয়ার আগেই একটি খতম হয়ে যাবে।

২. তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া: রোজার মাসে ঘুমাতে দেরি হয়। আবার সাহ্‌রির সময়ও দেখা যায় অনেকে আগে আগে ওঠেন। এ সময়টা কাজে লাগানো যায়। ফজরের আগমুহূর্তটা দোয়া কবুলের সময়। এ সময় তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া যায়। শুরুতে ২ রাকাত, ৪ রাকাত নামাজ দিয়েই শুরু করা যায়।

৩. সুন্নত ও নফল নামাজে যত্নশীল হওয়া: প্রতি ওয়াক্তের ফরজ নামাজের আগে বা পরের বেশ কিছু সুন্নত নামাজ রয়েছে। সারা বছর বিভিন্ন ব্যস্ততা বা অলসতার কারণে নিয়মিত এগুলো করা হয় না। এবারের রমজানে কোনো ওয়াক্তেই সুন্নত বা নফল নামাজ যেন বাদ না পড়ে।

আরও পড়ুন

৪. নামাজ শেষে জিকির করা: ফরজ নামাজ শেষে কিছু দোয়া ও জিকির আছে। জিন শয়তান থেকে নিরাপত্তা, কাজে ও কর্মে, রিজিকে বরকত লাভ—ইত্যাদি ক্ষেত্রে এই আমলগুলো বেশি কার্যকরী। প্রতি ওয়াক্তে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট লাগে এগুলো করতে। এগুলো নিয়মিত করা যেতে পারে।

৫. সকাল-সন্ধ্যার জিকির করা: আল্লাহর রাসুল (সা.) সকাল–সন্ধ্যার কিছু জিকির শিখিয়ে গেছেন, যেগুলো অনেক ফজিলতপূর্ণ। রোজার মাসে এগুলো অভ্যাসে পরিণত করা যায়। হিসনুল মুসলিম বা দোয়ার বইতে পাওয়া যাবে।

৬. ইশরাক বা সালাতুদ দোয়া পড়া: সালাতুদ দোয়া হচ্ছে দেহের প্রতিটি হাড় জোড়ার সদকা। (মুসলিম, ৭২০) এই নামাজের সময় বেলা ওঠার ১৫ মিনিট পর থেকে দ্বিপ্রহরের ৫ মিনিট আগপর্যন্ত। সর্বনিম্ন রাকাতসংখ্যা দুই রাকাত থেকে নিয়ে সামর্থ্য অনুযায়ী বেশিও পড়া যায়।

আরও পড়ুন