উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় ইসলাম এসেছে ৭ম শতকেই। মহানবী (সা.) জীবদ্দশায় প্রথম উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর জেইলাতে মুসলিমগণ নির্মাণ করেছিলেন মসজিদ আল-কিবলাতাইন। আজ সোমালিয়া একটি মুসলিম প্রধান দেশ, যেখানে প্রায় ৯৯% জনগণ ইসলামের অনুসারী। ফলে রমজান এ-দেশে আসে মহাসমারোহে, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে।
রমজান মাস আসার আগেই সোমালিয়ার সর্বস্তরে শুরু হয় প্রস্তুতি। ঘরবাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে রাখা এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রমজানের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করা তাদের রেওয়াজ। বাজারেও এর প্রভাব স্পষ্ট, রমজানের আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের চাহিদা বেড়ে যায়।
সোমালিরা প্রতিদিন মাগরিবের পর উল্লাসের সঙ্গে উচ্চ গলায় পরদিনের রোজার নিয়ত করেন। রাতের প্রধান খাবার গ্রহণ করেন এশা ও তারাবির পর। ইসলামি শিক্ষার প্রতি তাদের বিশেষ আগ্রহ রয়েছে, বিশেষ করে কোরআন মুখস্থকরণের ক্ষেত্রে। গ্রামাঞ্চলে বহু কোরআনের হাফেজ পরিবার দেখা যায়।
মসজিদ ছাড়াও ঘরে পরিবারের সবাই মিলে তারাবির নামাজ পড়ার চল প্রায় সর্বত্রই দেখা যায়। তারাবির পাশাপাশি সোমালিয়ার মসজিদগুলোতে রমজান মাসে কোরআন তিলাওয়াত ও ইসলামিক বক্তৃতার আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন শহরে আয়োজিত হয় ইসলামি বইমেলা ও ‘রমজান ফেস্টিভ্যাল’, যেখানে সেমিনার ও আলোচনা অনুষ্ঠানও থাকে।
রমজান মাসে সোমালিয়ার সমাজে দেখা যায় ধর্মীয় উৎসাহ, সামাজিক সংহতি এবং দানশীলতার এক অনন্য উদাহরণ, যা সবার জন্যই অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে।
(সূত্র: হিরান ডটকম)