শবে কদর অনুসন্ধান করুন

মসজিদুল হারাম, মক্কা

রমজান বিষয়ক রাসুলের (সা.) আদর্শ ও যাপন পদ্ধতি গভীরভাবে পর্যালোচনা করলে এ বিষয়টি ফুটে উঠে যে, তিনি অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে শবে কদরের অনুসন্ধান করতেন, সারা রাত জেগে কাটাতেন। অন্য যে-কোনো রাতের তুলনায় অধিক ফজিলতের হওয়ার কারণে রাসুল (সা.) শবে কদরকে এতটা গুরুত্ব দিয়েছেন।

তিনি কদর অনুসন্ধান করার জন্য সাহাবিদের উৎসাহ দিতেন। যেমন তিনি বলেছেন, ‘রমজানের শেষ দশ দিনে তোমরা শবে কদর অনুসন্ধান কোরো।’ (বুখারি, হাদিস: ২,০২০)

আবার বলেছেন, ‘রমজানের শেষ দশ দিনের বেজোড় সংখ্যক রাতে তোমরা শবে করের খোঁজ করো।’ (বুখারি, হাদিস: ২,০১৭)

আরও পড়ুন

তবে যারা দুর্বল ও অসুস্থ, রাসুল (সা.) তাদের ক্ষেত্রে কেবল শেষ সাত রাত্রিতে অনুসন্ধানের আদেশ দিয়ে বলেছেন, ‘যদি তোমাদের কেউ দুর্বল হয়, কিংবা অক্ষম হয়ে পড়ে, তবে শেষ সাতে যেন পরাভূত হয়ে না পড়ে।’ (মুসলিম, হাদিস: ২,৮২২)

সাহাবিদের জীবনাচার পুঙ্খানুপুঙ্খ দৃষ্টিতে বিচার করলে দেখা যাবে, রাসুল (সা.) তাদেরকে যার মাধ্যমে শবে কদরের ব্যাপারে সর্বাধিক উৎসাহিত ও উদ্দীপিত করেছেন, তা হলো: কর্মের মাধ্যমে মূর্ত আদর্শ সকলের সামনে তুলে ধরা। রাসুল (সা.) যে রাতকে ভাবতেন শবে কদর হিসেবে, সে রাতের ইবাদতে তিনি কঠিন পরিশ্রম করতেন। সাহাবিগণ সরাসরি রাসুলের (সা.) সংস্পর্শে সে রাত যাপন করতে উৎসাহিত হতেন। সুতরাং নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার কর্তব্য কদরের রাত্রি অনুসন্ধান করা এবং রাত জেগে এবাদত-বন্দেগি করা।

আরও পড়ুন