আকিকা শিশুর অধিকার

প্রাক-ইসলাম আরবেও আকিকার প্রচলন ছিল। ইহুদিরা কেবল পুত্রসন্তানের জন্য আকিকা দিত। রাসুল (সা.)-এর একটি হাদিস থেকেও তা জানা যায়। দাউদ-আল-জাহিরিসহ কয়েকজন আলেম আকিকাকে অবশ্যপালনীয় ওয়াজিব বলে গণ্য করেছেন। ইমাম আবু হানিফা (র.)-এর মতে, এটি শুধুই মুস্তাহাব বা পুণ্যজনক।

মুসলমান পরিবারে শিশুর জন্মের পর সপ্তম দিনে আল্লাহর উদ্দেশে নবজাতকের মঙ্গল-কামনায় পালিত অনুষ্ঠানের নাম আকিকা। এই দিন শিশুর নাম রাখা হয়। এ উপলক্ষে প্রথম চুলকাটা ও কোরবানি দেওয়া সুন্নত। কোনো কারণে সপ্তম দিনে এ অনুষ্ঠান করা সম্ভব না হলে পরে, এমনকি শিশু বড় হয়ে নিজেও তা করতে পারে। শিশুর কর্তিত কেশকেও আকিকা নামে অভিহিত করা হয়। শরিয়তে এই কর্তিত কেশের সমপরিমাণ রুপা দান করার নির্দেশ আছে। আকিকার মাধ্যমে শিশুর অশুচি দূর করা হয়।

আরও পড়ুন

হজরত সালমান ইবনে আমির (রা.) এর বরাতে আকিকা সম্পর্কে একটি হাদিসটি জানা যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সন্তানের পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত কর (অর্থাৎ আকিকার জন্তু জবেহ করো) এবং তার অশুচি (চুল, নখ ইত্যাদি) দূর করে দাও। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৪৭১)

আকিকা উপলক্ষে জবাই করা পশুর মাংসের তিন ভাগের এক ভাগ দরিদ্র ও দুস্থদের মধ্যে এবং এক ভাগ আত্মীয়স্বজনের মধ্যে বিতরণ করতে হয়। বাকি এক ভাগ মা-বাবা ও পরিবারের জন্য রাখতে হয়। আকিকাতে ছেলে-শিশুর জন্য দুটি এবং মেয়ে-শিশুর জন্য একটি ছাগল বা ভেড়া কোরবানি করার নির্দেশ রয়েছে।

আরও পড়ুন