হজে যেতে এবার সব দেশেই বাড়তি ব্যয়

করোনার টিকা নেওয়া যেকোনো দেশের মুসল্লিরা পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন। করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ায় সৌদি আরবে চলতি বছরের এপ্রিলে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। এবার মোট ১০ লাখ মানুষ পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন। তবে এ বছর পবিত্র হজের ব্যয় বেড়েছে।

বাংলাদেশে এবার প্রত্যেক হজযাত্রীর খরচ পড়েছে প্রায় ৫ হাজার ৫০০ ডলার। মক্কায় মসজিদুল হারামে নানা দেশ থেকে আসা নাগরিকদের সঙ্গে কথায় তাঁদের দেশেও হজের ব্যয়বৃদ্ধির বিষয়টি উঠে এসেছে। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং সৌদি আরব হজযাত্রীদের কর ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করায় এবার হজের খরচ বেড়েছে বলে জানা গেছে।

আরব বিশ্বের দেশগুলোর নাগরিকদেরও হজের ব্যয় বেড়েছে। অতীতের তুলনায় এ বছর সবচেয়ে বেশি অর্থ গুনতে হচ্ছে। আল–জাজিরার তথ্যমতে, এবার কাতারের নাগরিকদের জনপ্রতি হজে খরচ হচ্ছে ১০ হাজার ৯৭১ ডলার। এ ছাড়া আরব বিশ্বের দেশ আমিরাতে ১০ হাজার ৮২১, তিউনিসিয়ায় ৯ হাজার ৮৮৪, ওমানে ১ হাজার ৭৯৭, জর্ডান ২ হাজার ৯৬১, সৌদি আরবে ৩ হাজার ১৯৮, লেবাননে ৯ হাজার, কুয়েতে ৭ হাজার ৫৭৮, বাহরাইনে ৭ হাজার ৫৫৯, মিসরে ৬ হাজার ৯১০, ফিলিস্তিনে ৬ হাজার ২৩৪, আলজেরিয়ায় ৫ হাজার ৮৫৩, সুদানে ৫ হাজার ৪৪৭, ইরাকে ৩ হাজার ৮২৫, সিরিয়ায় ৩ হাজার ৭০০ এবং ইয়েমেনে ৩ হাজার ৪১৬ ডলার খরচ হচ্ছে।

খুতবা দেবেন শায়খ আবদুল করিম আল ঈসা

আরাফাতের ময়দানে এ বছর পবিত্র হজের খুতবা দেবেন শায়খ মোহাম্মদ বিন আবদুল করিম আল ঈসা। সৌদি আরবের স্থানীয় সময় ৯ জিলহজ তিনি এ খুতবা দেবেন। একই সঙ্গে তিনি মসজিদে নামিরায় নামাজে ইমামতি করবেন।

৫ জুলাই হারামাইন শরিফাইনের জেনারেল প্রেসিডেন্সি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ এক আদেশে এ বছর হজের খুতবার জন্য তাঁকে নিযুক্ত করেন।

শায়খ মোহাম্মদ বিন আবদুল করিম আল ঈসা উচ্চ উলামা পরিষদের সদস্য এবং রাবেতা আল-আলম আল-ইসলামির সেক্রেটারি জেনারেল। এ বছর হজের আরবি খুতবা বাংলাসহ ১৪ ভাষায় শোনা যাবে। বাংলায় হজের খুতবা শোনা যাবে https://manaratalharamain.gov.sa এই ওয়েবসাইটে।

হজের খুতবার বাংলা অনুবাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মোহাম্মদ শোয়াইব রশীদ। তাঁর সহকারী হিসেবে থাকবেন খলিলুর রহমান।

এবার বাংলাদেশ থেকে ১৬৫টি হজ ফ্লাইটে প্রায় ৬০ হাজার হজযাত্রী এসেছেন। ফ্লাইটসংখ্যা ১৬৫টি। সৌদি আরবে আসার পর ১৩ হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এঁদের মধ্যে ৯ পুরুষ ও চারজন নারী। ৫ জুন হজ ফ্লাইট চালু হয়। শেষ ফ্লাইট আসে ৫ জুলাই। ফিরতি হজ ফ্লাইট শুরু হবে ১৪ জুলাই, শেষ ফ্লাইট যাবে ৪ আগস্ট।