বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচিত

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচিত
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচিত

একটা গল্প প্রচলিত আছে। এক ব্যক্তি একটি বাচ্চাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার রোল কত?’ ‘আমার রোল এক,’ বলল ছেলেটি। লোকটি বেশ খুশি হলেন, ‘বাহ! খুব ভালো। তো ছাত্র কতজন তোমাদের ক্লাসে?’ ছেলেটি গম্ভীর মুখে জবাব দিল, ‘আমি একাই!’ বাংলাদেশের দশম নির্বাচনের সঙ্গে এই গল্পটি বেশ মিলে যায়। নির্বাচন আগামী ৫ জানুয়ারি।
কিন্তু ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৪টি আসনেই ১৪-দলীয় জোটের প্রার্থী ছাড়া কোনো প্রার্থী নেই! তাই নির্বাচনের আগেই ১৫৪টি আসনে অলরেডি প্রার্থীরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে, ভোটের কোনো সাহায্য ছাড়াই নির্বাচিত হয়ে বসে আছেন। কী দারুণ ব্যাপার! ভোটারদের আর দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে, রোদে পুড়ে ভোট দিতে হবে না। কত সুবিধা! প্রবাদ আছে, কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ। যেহেতু এখন পৌষ মাস চলছে, অতএব কারও যে সর্বনাশ হবে, তাতে অবাক হওয়ার আর কী আছে? সে রকমই সর্বনাশের মুখে পড়েছেন দেশের মূদ্রণ ব্যবসায়ীরা। তাঁদের কত আশা, কত স্বপ্ন ছিল; দেশে নির্বাচন হবে, প্রার্থীদের লাখ লাখ পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট ছাপিয়ে ব্যাপক লাভবান হবেন।
কিন্তু তাঁদের সে আশায় গুড়েবালি, ইট, পাথর...! প্রার্থীই নেই, লিফলেট বানাবে কে? তাই ব্যথিত হূদয় নিয়ে আগের মতোই ‘ভর্তি চলছে’ টাইপ লিফলেট ছাপিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের দুঃখ, তাঁদের বেদনা নিয়ে কেউ ভাবছেই না। অথচ এই ব্যবসায়ীরা কিন্তু নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রার্থী ছাড়া নির্বাচন হতে পারে, কিন্তু প্রেস ছাড়া পোস্টার, লিফলেট হয় না। অতএব, অন্তত এই ব্যবসায়ীদের জন্য হলেও কর্তৃপক্ষের উচিত সব দলের প্রার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। আশা করি, কর্তৃপক্ষ ব্যাপারটি গুরুত্বসহকারে ভাববে।