যে কারণে টক শোতে ডাক্তারদের ডাকা হয় না

আঁকা: জুনায়েদ
আঁকা: জুনায়েদ

উপস্থাপক: ডাক্তার সাহেব, আপনাকে আমাদের স্টুডিওতে স্বাগতম। প্রথমেই আপনার কাছে জানতে চাইব দেশের রাজনৈতিক সমস্যা নিয়ে আপনি কী ভাবছেন?
ডাক্তার: ধন্যবাদ আমাকে ডাকার জন্য। এই প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ। আচ্ছা, এই যে রাজনৈতিক সমস্যার কথা বললেন, এটা দিনে হয় নাকি রাতে?
উপস্থাপক: ডাক্তার সাহেব, এটা তো সব সময় হয়। দিনে, রাতে, বিকেলে, দুপুরে সব সময়।
ডাক্তার: আই সি। সমস্যা তো বেশ গুরুতর দেখছি।
উপস্থাপক: হ্যাঁ, অবশ্যই গুরুতর। চারদিকে জ্বালাও-পোড়াও...
ডাক্তার: জ্বালা-পোড়া?
উপস্থাপক: হ্যাঁ। অনেক।
ডাক্তার: বলেন কী? আচ্ছা, আগে কি কোনো ট্রিটমেন্ট নেওয়া হয়েছিল?
উপস্থাপক: হ্যাঁ, অনেকবার সংলাপের চেষ্টা করা হয়েছে।
ডাক্তার: সংলাপ? আই মিন কাউন্সিলিং? অহ নো... কাউন্সিলিং ইজ এ ভাইটাল পার্ট আই নো। বাট সবকিছু কি কাউন্সিলিং দিয়ে হয়? ইউ নিড স্পেসিফিক সলিউশন।
উপস্থাপক: হ্যাঁ ডক্টর, এটাই জানতে চাচ্ছি। সলিউশনটা কী?
ডাক্তার: বলছি। প্রথমেই আমাদের জানতে হবে এটা কতটা গুরুতর। এ জন্য দরকার কিছু ইনভেস্টিগেশন। আচ্ছা, ইনভেস্টিগেশন কি করা হয়েছে?
উপস্থাপক: হ্যাঁ। অনেক। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তো নিয়মিত ইনভেস্টিগেট করে যাচ্ছেন।
ডাক্তার: ফাইন্ডিং কিছু পাওয়া গেছে?
উপস্থাপক: হ্যাঁ, অনেক ফাইন্ডিংস আছে। সেগুলো হলো উত্তপ্ত পরিস্থিতি, ফরেন কিছুর আনাগোনা আর অনেক জ্বালাও-পোড়াও।
ডাক্তার: নাইস। ট্রিটমেন্ট সহজ। উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে ঠান্ডা করতে হলে লাগবে অ্যান্টিপাইরেটিক। ফরেন আনাগোনা বন্ধে অ্যান্টিবায়োটিক হলে চলবে। আর জ্বালা-পোড়ার জন্য ভালো অ্যান্টাসিড হলেই হবে। আপনাকে ধন্যবাদ আমাকে ডাকার জন্য।
উপস্থাপক: :O :O :O

ভারবাহী কিন্তু বিবৃতিপাঠক
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, বিএনপি
ক্যারিকেচার: নিয়াজ চৌধুরী