বাংলা চলচ্চিত্রে চিকিৎসাব্যবস্থা

রোগী: সিরিয়াস পাঞ্চন
বয়স: সর্বদা ২৪ বছর
সমস্যা: পায়ে সাপের কামড়।
খাবারের আগে পা কামড়ে দিতে হবে।
১+০+১ —৭ দিন

রোগী: কোমর সানী
বয়স: বলতে চাচ্ছেন না
সমস্যা: আঘাতজনিত কারণে স্মৃতিশক্তি নষ্ট হওয়া।
চৌধুরী সাহেব কর্তৃক মাঝমাথা বরাবর কষে বাড়ি লাগানো।
০+১+০ —১ বার

রোগী: কবির শত্রু
বয়স: ৬২ বছর
সমস্যা: হার্ট অ্যাটাকড হয়ে মৃত্যুপথযাত্রী, যার পাল্সও পাওয়া যাচ্ছে না।
সন্তান কর্তৃক কানের ফুটো বরাবর সজোরে ‘বাবা’ ‘বাবা’ বলে চিৎকার করতে থাকা।
০+০+২০ (চোখের পানি ফেলতে পারলে কার্যকারিতা বাড়বে)

রোগী: কতবেল
বয়স: ৩০-৩২ বছর
সমস্যা: সন্ত্রাসী কর্তৃক মাথা ফেটে যাওয়া (পুলিশ কেস)।
নায়িকার ঘামের দুর্গন্ধ এবং জীবাণুযুক্ত আঁচল দিয়ে দ্রুত ব্যান্ডেজ করা।
—একবারই যথেষ্ট।

রোগী: ভাব নূর
বয়স: ১২-১৩ বছর
সমস্যা: মানসিক সমস্যা। চৌধুরী সাহেবের মেয়ে হওয়া, যখন তখন রিকশাওয়ালার প্রেমে পড়া।
দরজা আটকে রাখা
—এক মাস
ফোন বন্ধ রাখা
—দুই মাস
বি. দ্র.: এ রোগ কোনো চিকিৎসায়ই পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য নয়।

রোগী: কই সুমী
বয়স: ??
সমস্যা: হাতের জয়েন্টে দুর্বলতায়, সামান্য ধাক্কায় হাত থেকে সব বইপত্র পড়ে যাওয়া।
এটি একটি জটিল সমস্যা। হাতের ব্যায়াম আবশ্যক। ধাক্কাদানকারী বখাটে নায়কের তৎক্ষণাৎ উচিত গাল বাড়িয়ে দিয়ে নায়িকার হাতের ব্যায়ামে সহায়তা করা।
—দুই গালে দুটি, দিনে একবার।