প্রশ্নপত্র ফাঁস

প্রশ্নপত্র ফাঁস আমাদের দেশে নতুন কোনো ঘটনা নয়। বিগত দিনে এর কোনো সুষ্ঠু তদন্ত বা বিচার করা হয়েছে—এ কথা জোর গলায় বলা যাবে না। প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্র সব সময়ই থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা কোনো সরকার না নেওয়ায় এখন প্রশ্নপত্র ফাঁস শুধু নয়, প্রশ্নের উত্তর কপিও (ফটোকপি করা) ছাত্রছাত্রীদের হাতে চলে যাচ্ছে। ফলে যেসব শিক্ষার্থী নিজের মেধা, ঘাম, শ্রম দিয়ে পড়ালেখা করে, তাদের তুলনায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে ভালো রেজাল্ট করে মেধাহীনদের পেরিয়ে যাওয়ার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত, অবাঞ্ছিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। এতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় উৎসাহ হারিয়ে ফেলছে।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের উৎস খুঁজে বের করে আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ায় এসব চক্র বরাবরই তৎপর। এ ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ওপরই দায়িত্বটা বর্তায় বেশি।
উল্লেখ্য, বিসিএস, মেডিকেলে ভর্তি এবং প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা উদ্বেগের। শিশু-কিশোরদের পঞ্চম শ্রেণীর সমাপনী, জেএসসি, জেডিসির মতো পরীক্ষাতেও প্রশ্নপত্র ফাঁস এখন নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ, বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে দ্রুত প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ
শ্যামগঞ্জ, ময়মনসিংহ।