শিক্ষামন্ত্রীর কাছে মিষ্টিবিক্রেতার চিঠি

.
.

শ্রদ্ধেয় শিক্ষামন্ত্রী,
পত্রের শুরুতেই আমাদের সালাম নেবেন। দেশের অতি সাধারণ মিষ্টিবিক্রেতাদের একজন আমি। আমাদের মধ্যে অনেকেই তিন পুরুষ ধরে ব্যবসা করছেন। তাই দেশের হালচাল নিয়ে আমাদেরও অভিজ্ঞতা কম নয়। সেই কবে থেকে দেখে আসছিলাম এসএসসির ফল প্রকাশিত হওয়ার পর মিষ্টি ক্রয়ের ধুম পড়ে যেত। আমরাও মেধাবীদের ভালো ফলাফল উপলক্ষে তৈরি করে রাখতাম নানা ধরনের মিষ্টি। বোর্ড স্ট্যান্ড করা ছাত্রছাত্রী ছাড়াও প্রথম বিভাগ, স্টার মার্কস পাওয়া ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবকেরা আনন্দে মিষ্টি ক্রয় করতেন।
সেই দিন পার হয়ে এল জিপিএ ৫-এর যুগ। তাতে অবশ্য সমস্যা হলো না, আমাদের বিক্রি চলতে থাকল। পত্রপত্রিকায় জিপিএ-৫-এর সংখ্যা দেখে আমরা সেই অনুযায়ী মিষ্টি তৈরি করে রাখতাম। কিন্তু কয়েক বছর ধরে পাল্লা দিয়ে জিপিএ-৫সহ পাসের হার বেড়েছে। দুঃখের বিষয় হলো, সে সঙ্গে কমে যাচ্ছে মিষ্টি বিক্রির হার। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ২২ হাজার ৩১৩ জন, অথচ সে অনুপাতে মিষ্টি বিক্রি হয়নি।
শিক্ষামন্ত্রী, বিজ্ঞজনেরা বলছেন, এভাবে জিপিএ-৫ দেওয়াতে দেশের শিক্ষার মান কমে যাচ্ছে। আমরা ব্যবসায়ী মানুষ, অতশত বুঝি না। কিন্তু এটুকু বুঝি যে এত জিপিএ-৫ পাওয়ার ফলে এর গুরুত্ব কমে যাচ্ছে। যার প্রভাব পড়েছে আমাদের বেচাকেনায়। আপনার কাছে অনুরোধ, শিগগিরই আপনি একটা ব্যবস্থা নিন। যাতে করে শিক্ষার মান অন্তত না কমে। পরিশেষে সব জিপিএ-৫ পাওয়া ভাইবোনকে জানাই শুভকামনা।
ইতি
এ দেশের একজন সাধারণ মিষ্টিবিক্রেতা