সরাসরি মাঠ থেকে

আঁকা: শিখা
আঁকা: শিখা

গ্যালারি থেকে তেলাপোকা, লিখেছেন একমাত্র রস+আলোয়
স্টেডিয়াম ঠিকঠাক করতে গিয়ে ব্রাজিল সরকার যত তেলাপোকার প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, নারায়ণগঞ্জেও এত প্রাণ যায়নি। আর কত তেলাপোকাকে যে বাস্তুহারা করেছে তার তো কোনো ইয়ত্তা নেই। তার পরও আমরা নেইমারদের সঙ্গে আছি। সিম কার্ড কিংবা ন্যাশনাল আইডি কার্ড নয়, সুযোগ পেলে আমরা এই সরকারকে লাল কার্ডই দেখাব বলে ঠিক করেছি।

আঁকা: শিখা
আঁকা: শিখা

আকাশ থেকে বাজপাখি, লিখেছেন একমাত্র রস+আলোয়
আমি নিজের চোখে দেখেছি ব্রাজিল-মেক্সিকোর খেলায় যে বলটি দিয়ে খেলা হয়েছিল, সেটি পুরোপুরি গোল ছিল। এ বিষয়ে সমালোচকেরা একেবারেই না জেনে নানা পত্রপত্রিকায় আবোলতাবোল লিখছেন। আরে ভাই, এটা তো আর আর্সেনিক বা দুধের সর দিয়ে তৈরি বিশ্বকাপ নয়, এটি হলো খাঁটি সোনার তৈরি বিশ্বকাপ। এদিকে, কোনো ক্রিকেট ম্যাচ ছাড়াই এবারের বিশ্বকাপ সম্পন্ন করার ব্যাপারে পূর্ণ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ঢিল মার রুসেফ।

আঁকা: শিখা
আঁকা: শিখা

মাঠের তলদেশ থেকে কেঁচো, লিখেছেন একমাত্র রস+আলোয়
আমি গতকাল দুই মাঠ পরিচর্যা-কর্মীর কাছ থেকে শুনলাম, এবারের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতাকে পেনসিল হিল কিংবা হাওয়াই চপ্পল নয়, গোল্ডেন বুট দিয়েই সম্মানিত করা হবে। খাঁটি গোল্ডে যেন ভেজাল না ঢুকে যায়, সে জন্য এ-সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মন্ত্রী বা কর্মকর্তাদের কেউ যেন আশপাশে না থাকে, সে ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।

আঁকা: শিখা
আঁকা: শিখা

ডেভিড লুইসের চুল থেকে উঁকুন, লিখেছেন একমাত্র রস+আলোয়
লেগ দিয়ে যখন বল মারে তখন সেটা লেগ হয় না। অথচ হেড দিয়ে যেটা মারে সেটা নাকি হেড হয়। খেলাটা হেডবল নাকি? আমার মতে, হ্যান্ডে বল লাগানো যেমন নিষিদ্ধ, তেমনি হেডে লাগলেও ফাউল দেওয়া উচিত। তাহলে ফুটবল খেলাটা যেমন আরও পিওর হবে, তেমনি অনেক তাজা উঁকুনের প্রাণহানির আশঙ্কাও কমবে। শুধু শুধু অকালে কিছু কচি উঁকুনের প্রাণ যায়, এটা মেনে নেওয়া যায় না। যেমন মেনে নেওয়া যায় না রোনালদোর শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপন নামধারী সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডকেও। কারণ, এই শ্যাম্পু ব্যবহারে আমাদের বংশ নির্বংশ হয়ে যাচ্ছে!

আঁকা: শিখা
আঁকা: শিখা

ঘাসের চিপা থেকে পিঁপড়া, লিখেছেন একমাত্র রস+আলোয়
কী যে সৌভাগ্য আমার! একটু হলেই সেদিন নেইমারের পাড়া খেতে পারতাম। গুম হয়ে মরার চেয়ে অন্তত বেশি সুখের মৃত্যু হতো সেটা। ওই খেলার দিন আমি ঐতিহাসিক একটা ঘটনার সাক্ষী হলাম। খেলার সময় হঠাৎ দেখি রেফারি পকেট থেকে কী একটা যেন বের করে নেইমারকে দিতে চাইছিলেন। নেইমার খুব করে বলল, ‘লাগবে না’, বিনয়ী লোক তো। যা হোক রেফারি মনে হয় নেইমারকে বেশ পছন্দই করেন। তাই বারবার না করার পরও রেফারি জিনিসটা বের করলেন। তারপর ওতে নেইমারের নাম লিখে চোখের সামনে ধরলেন। জিনিসটা ছিল হলুদ রঙের একটা কার্ড। বুঝলাম, সেটা ছিল রেফারির গায়েহলুদের কার্ড। নেইমার খুব মন খারাপ করলেন। করবেন না? এত বড় একজন খেলোয়াড়কে বিয়ের দাওয়াত না দিয়ে কি না গায়েহলুদের দাওয়াত দিলেন রেফারি!
সাইড বেঞ্চ থেকে ছারপোকা, লিখেছেন একমাত্র রস+আলোয়
আমি যখন এই লেখাটি লিখছি তখন আমার খুব কাছ থেকে দুজন খেলোয়াড় লাফিয়ে উঠে মাঠের ভেতরে থাকা রেফারির মুণ্ডুপাত করছেন। রেফারি নাকি ভুল সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। ওটা নাকি হ্যান্ডবল ছিল না। আহা রে মানুষ কত বোকা, হ্যান্ডবল খেলায় বলে পা লাগালেই কি ওই বলটার চেহারা বদলে ফুটবল হয়ে যায়? যায় না। তাহলে ফুটবলে হ্যান্ড লাগলেই হ্যান্ডবল হবে কেন!

আঁকা: শিখা
আঁকা: শিখা