পুষ্টিনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ‘বায়োফর্টিফাইড’ জিংক ধানের ভূমিকা

হারভেস্টপ্লাসের আয়োজনে ‘পুষ্টিনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে “বায়োফর্টিফাইড” জিংক ধানের ভূমিকা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠক বিএআরসি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় ১৩ নভেম্বর ২০২২ । এ আলোচনার বক্তব্য সংক্ষিপ্ত আকারে এই ক্রোড়পত্রে প্রকাশিত হলো। 

অংশগ্রহণকারী

সায়েদুল ইসলাম

সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়

মার্গারিটা ক্যাপালবি

প্রোগ্রাম ম্যানেজার, এগ্রিকালচার ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন, ডেলিগেশন অব দ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন টু বাংলাদেশ

মো. খায়রুল বাশার

কান্ট্রি ম্যানেজার, হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশ

মো. বেনজীর আলম

মহাপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর 

মো. শাহজাহান কবীর

মহাপরিচালক, বাংলাদেশে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)

মোস্তফা ফারুক আল বান্না

সহযোগী গবেষণা পরিচালক, এফপিএমইউ

মো. আবু সালেক

ডেপুটি কান্ট্রি ম্যানেজার, হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশ

রূদাবা খন্দকার

কান্ট্রি ডিরেক্টর, গেইন

শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার

নির্বাহী পরিচালক, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল

মেরী রশীদ

টিম লিডার, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ

সায়কা সিরাজ

কান্ট্রি ডিরেক্টর,নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল

সঞ্চালনা

আনোয়ার ফারুক

সাবেক সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন—

মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিএডিসি; বাংলাদেশ পুষ্টি পরিষদের তাহেরুল ইসলাম, কৃষক প্রতিনিধিসহ অনেকে।

আলোচনা  

মো. খায়রুল বাশার

হারভেস্টপ্লাস সিজিআইএআর রিসার্চ প্রোগ্রাম, যা আন্তর্জাতিক খাদ্যনীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইএফপিআরআই) দ্বারা পরিচালিত। হারভেস্টপ্লাস মিনারেল ও ভিটামিন–সমৃদ্ধ বায়োফর্টিফাইড খাদ্যশস্যের উদ্ভাবন ও বিস্তারের মাধ্যমে পুষ্টি এবং জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে কাজ করে। বায়োফর্টিফিকেশন প্রযুক্তি বিস্তারে বৈশ্বিক নেতৃত্ব প্রদান করে। বায়োফর্টিফিকেশন হলো প্রচলিত উদ্ভিদ প্রজনন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফসলের পুষ্টিমান বৃদ্ধি করা। 

বাংলাদেশের নিম্ন আয়ের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যারা প্রতিদিন মাছ, মাংস, দুধ, ডিম খেতে পারে না, তারা পুষ্টির জন্য নির্ভর করে ভাতের ওপর। বর্তমানে বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী ২৮ শতাংশের বেশি শিশু এবং প্রায় ৫৪ ভাগ নারী জিংকের অপুষ্টিতে ভুগছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ বেশ কিছু গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বায়োফর্টিফাইড ফসলের জাত উদ্ভাবনে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে বায়োফর্টিফাইড জিংক ধান, ব্রি ধান৬২, ব্রি ধান৬৪, ব্রি ধান৭২, ব্রি ধান৭৪, ব্রি ধান৮৪ এবং বিনা ধান২০, জিংক বায়োফর্টিফাইড গম, বারি গম৩৩ এবং জিংক ও আয়রন বায়োফর্টিফাইড মসুর, বারি মসুর৬, বারি মসুর৭ ও বারি মসুর৮ মাঠপর্যায়ে চাষাবাদ হচ্ছে। 

হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশ ২০১৩ সাল থেকে বায়োফর্টিফাইড ফসলের গবেষণা ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন, দেশব্যাপী বিভিন্ন এনজিও এবং বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ পর্যন্ত দেশে প্রায় ৩১ লাখ কৃষি পরিবার সরাসরি বায়োফর্টিফাইড শস্যের চাষাবাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ২০২২ সালে ১৮ হাজার মেট্রিক টন জিংক চাল সাধারণের খাওয়ার জন্য মিলিং হয়েছে।

মানুষের প্রয়োজনীয় শক্তির ৮৪ শতাংশ ভাত থেকে আসে। ৭০ শতাংশ জমিতে ধান চাষ হয়। কাজেই সরকারি ক্রয় ও বিতরণব্যবস্থায় বায়োফর্টিফাইড জিংক ধান অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। বায়োফর্টিফাইড ফসল তথা জিংক ধান গবেষণা ও সম্প্রসারণের অঙ্গিকার পূরণ এবং সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ও সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল অর্জনের একটি অবিস্মরণীয় পদক্ষেপ ও দিগন্ত উন্মোচিত হতে পারে।

মো. আবু সালেক

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহ-অর্থায়নে ৫৪ মাসব্যাপী বিংগস প্রকল্পটি হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশ, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, উন্নয়ন সংঘ এবং ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (আইডিএস) অংশীদারত্বে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর জামালপুর ও শেরপুর জেলার মোট ছয়টি উপজেলায় শুরু হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে জিংক ধান, জিংক গম ও জিংক আয়রন মসুরের প্রায় ৬২৪০টি প্রদর্শনী প্লট স্থাপন এবং বিভিন্ন পর্যায়ে প্রশিক্ষণসহ সচেতনতামূলক কার্যক্রম করা হয়ছে। পুষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করে স্থানীয় পর্যায়ে সরকারের সব বিভাগ এখন বায়োফর্টিফাইড জিংক রাইস সম্পর্কে সচেতন হয়ে স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি খাত এটি বাণিজ্যিকীকরণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই জাতগুলোর সম্প্রসারণ ও স্থানীয় বাজারে বীজের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা এবং আরও বিনিয়োগের প্রয়োজন বলে মনে করেন স্থানীয় প্রকল্প অংশীদারগণ।

মো. শাহজাহান কবীর

বায়োফর্টিফাইড ধান নিয়ে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৩ সালে বিশ্বে ব্রি প্রথম জিংক ধান ব্রি ধান৬২ অবমুক্ত করে। এরপর জিংক ব্রি ধান৭২, ৭৪, ৮৪ ও বঙ্গবন্ধু ধান১০০ ও ব্রি ধান১০২ অবমুক্ত করে। ব্রি উদ্ভাবিত বায়োফর্টিফাইড জিংক ধানের জাতগুলো অনুকূল পরিবেশে চাষের উপযোগী। ব্রি বর্তমানে স্ট্রেস সহনশীল বায়োফর্টিফাইড ধানের জাত উদ্ভাবনের জন্য কাজ করছে। ভবিষ্যতে গবেষণা কর্মসূচিতে বায়োফর্টিফিকেশন অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে।

মো. বেনজীর আলম

আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার পায় না। সে জন্য বায়োফর্টিফাইড জিংক চাল উত্কৃষ্ট সমাধান। বায়োফর্টিফাইড জিংক ধান এখন আমন ও বোরো—উভয় মৌসুমেই চাষ করা হচ্ছে। তবে উত্পাদন বৃদ্ধিও জন্য আরও বেশি প্রদর্শনী প্লট স্থাপন করা প্রয়োজন।

মেরী রশীদ 

আমাদের জনগোষ্ঠীর সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করতে সমন্বিত কর্মসূচির বাস্তবায়নে যথাযথ অংশীদারত্বের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টির উন্নয়নে যৌথ প্রচেষ্টার কোনো বিকল্প নেই। তদুপরি কাঠামোগত সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও প্রয়োজনীয় দক্ষতা বৃদ্ধির ফলে পুষ্টিবিষয়ক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়ন সময়ের দাবি। বিংগস প্রকল্পে প্রয়োজনীয় দক্ষতার বিবেচনায় অংশীদার সংস্থাগুলো একযোগে কাজ করছে। আমরা সরকারি ও সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সঙ্গে কাজ করছি, যাতে আমাদের প্রকল্পের অভিজ্ঞতাগুলো জাতীয় কর্মসূচির মাধ্যমে মূলধারায় আনা যায়।

মোস্তফা ফারুক আল বান্না

জিংকের অভাবজনিত সমস্যার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে অঞ্চলভেদেও পার্থক্য রয়েছে। যেসব অঞ্চলে জিংকের অভাবজনিত সমস্যা বেশি, সেসব অঞ্চলের জনগণের মধ্যে জিংক–সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণের জন্য প্রচারণামূলক কার্যক্রম চালানো প্রয়োজন। পাশাপাশি ওই সব অঞ্চলে খাদ্যভিত্তিক সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে জিংক–সমৃদ্ধ বায়োফর্টিফাইড চাল অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। 

রূদাবা খন্দকার

সরকার ইতিমধ্যে কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বায়োফর্টিফাইড চালের প্রসারের ক্ষেত্রে কাজ করছে। জাতীয় পুষ্টি কৌশলপত্র ২০১৫-২০২৪, দ্বিতীয় পুষ্টি কৌশলপত্র ২০১৬-২০২৫, জাতীয় খাদ্যনিরাপত্তা নীতি ও অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বায়োফর্টিফিকেশনের বিষয়টি এরই মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আমরা বায়োফর্টিফাইড চালের বাণিজ্যিকীকরণের জন্য হারভেস্টপ্লাসের সঙ্গে কাজ করছি। 

বায়োফর্টিফাইড চাল উৎপাদন স্কেল আপ করতে সরকারের নেতৃত্বে পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারভিত্তিতে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। এখন সময় এসেছে বায়োফর্টিফাইড চাল উৎপাদনের জন্য বাজেট বরাদ্দ দিয়ে সরকার, নীতিনির্ধারকসহ সবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা।

সায়কা সিরাজ

বায়োফর্টিফিকেশন ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের জাতীয় নীতি ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারের মধ্যে রয়েছে। খাদ্যমূল্য বেশি হওয়ায় এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে সামগ্রিক সংকট থাকায় আগামী দুই বছরে বাংলাদেশে চালের ওপর নির্ভরতা বাড়বে। অতএব এই সময় আমরা সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে বায়োফর্টিফাইড চাল স্বাস্থ্যঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছাতে পারি।

আনোয়ার ফারুক

আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্যের পরিমাণ কম বলে বিশাল জনগোষ্ঠী পুষ্টিহীনতা, বিশেষ করে অণুপুষ্টির অভাবে ভুগছে। দরিদ্র মানুষের পুষ্টি উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার প্রধান খাদ্য চালে ২০১৩ সালে প্রথম জিংক–সমৃদ্ধ চাল অবমুক্ত করে। জিংক–সমৃদ্ধ জাত জনপ্রিয় করতে হলে জাতটি স্বল্প মেয়াদি ও বেশি ফলনশীল সক্ষমতাসম্পন্ন হতে হবে। বেশি উৎপাদনশীল জাতগুলো জিংক–সমৃদ্ধ করে দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে।

এ ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। বিএডিসির মাধ্যমে বেশি পরিমাণ বীজ উৎপাদন ও বাজারজাত করা প্রয়োজন। সরকারের প্রণোদনা ও খাদ্যনিরাপত্তা কর্মসূচিতে জিংক–সমৃদ্ধ চালের প্রাধান্য দিতে হবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অবমুক্ত প্রক্রিয়াধীন সব জাত জিংক/আয়রন/প্রোটিন ইত্যাদি সমৃদ্ধ করতে হবে।

মার্গারিটা ক্যাপালবি

ন্যাশনাল নিউট্রিশন সার্ভিসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ও নারীদের মধ্যে অণুপুষ্টির ঘাটতি দেখা যায়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এসডিজি-২ (শূন্য ক্ষুধা) অর্জনে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিশোরী, শিশু ও নারীদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়ে ইইউ পুষ্টির উন্নয়ন এবং সব ধরনের অপুষ্টি কমাতে খাদ্য ও পুষ্টি কর্মসূচিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করছে।

সায়েদুল ইসলাম

১৯৭১ সালে বাংলাদেশে চালের উৎপাদন ছিল ৯ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন। এখন আমরা প্রায় ৪০ মিলিয়ন মেট্রিক টন চাল উৎপাদন করি। আজ এটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর সব অনুষ্ঠানে কৃষির ওপর জোর দিচ্ছেন। প্রতিবছর জনসংখ্যা বাড়ছে। এ জন্য প্রতিবছর আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। দেশের দরিদ্রদের মধ্যে অণুপুষ্টির ঘাটতি রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বায়োফর্টিফাইড চালই ভালো সমাধান বলে মনে করি। বরিশাল অঞ্চলে ব্যাপক জিংক ধান ব্রি ধান৭৪ উৎপাদিত হচ্ছে। জিংক ধান বঙ্গবন্ধু ধান১০০ ও ব্রি ধান৭৪ উৎপাদিত হচ্ছে। আমাদের গবেষণা প্রতিষ্ঠানের আমন-আউশের জন্য অধিক জাত উন্নয়নের গবেষণা জোরদার করা প্রয়োজন। জিংক ধানসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে মন্ত্রণালয় থেকে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার

ড. হাওয়ার্থ বুইস, যিনি বায়োফর্টিফিকেশনের ধারণাটি আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি এ উদ্যোগকে সফল করতে আবিষ্কার, উন্নয়ন ও প্রচার—এ তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন। যদিও চাল আমাদের প্রধান খাদ্য, তবু অন্য কিছু প্রধান ফসলের বায়োফর্টিফিকেশনের কথা ভাবতে হবে। তাহলে আমাদের ব্যাপক জনগোষ্ঠীর যে পুষ্টির অভাব, সেটা অনেক ক্ষেত্রে দূর করা সম্ভব হবে।

আনোয়ার ফারুক

আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

সুপারিশ

  • বায়োফর্টিফাইড ফসলের গবেষণা, সম্প্রসারণ বীজ উৎপাদনের জন্য আরও বিনিয়োগ প্রয়োজন।

  • পুষ্টিসংবেদনশীল সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কর্মসূচিতে বায়োফর্টিফাইড জিংক চাল অন্তর্ভুক্ত করা দরকার।

  • বায়োফর্টিফাইড চালের উৎপাদন বিপণনব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে।

  • বায়োফর্টিফাইড জিংক জাতের বীজ উচ্চফলনশীল লাভজনক হতে হবে।

  • ধান ব্যতীত প্রধান ফসলের বায়োফর্টিফিকেশন করায় মনোযোগ দেওয়া জরুরি।