অন্তর্ভুক্তিমূলক স্থানীয় সরকার ও উন্নয়ন: প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিনিধিত্ব ও অংশগ্রহণ

এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও প্রথম আলোর আয়োজনে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক স্থানীয় সরকার ও উন্নয়ন: প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিনিধিত্ব ও অংশগ্রহণ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় পটুয়াখালীতে ৪ মার্চ ২০২১। আলোচকদের বক্তব্য সংক্ষিপ্ত আকারে এই ক্রোড়পত্রে প্রকাশিত হলো।

গোলটেবিলে অংশগ্রহণকারী

শিলা রানী দাস

উপপরিচালক, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, পটুয়াখালী

মো. শফিকুল ইসলাম

কান্ট্রি ডিরেক্টর, এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ

এস এম শাহাজাদা

সহকারী পরিচালক, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, পটুয়াখালী

মো. হেমায়েত উদ্দিন

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, পটুয়াখালী সদর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়, পটুয়াখালী

আবুল কালাম

চেয়ারম্যান, পানপট্টি ইউনিয়ন পরিষদ, গলাচিপা

ফিরোজ আলম

চেয়ারম্যান, জৈনকাঠি ইউনিয়ন পরিষদ, পটুয়াখালী সদর

মো. মেহেদী হাসান

শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা, পটুয়াখালী

মো. অলিউল ইসলাম

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, গলাচিপা, পটুয়াখালী

মো. মিজানুর রহমান

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী

মো. রুহুল আমীন

প্রতিবন্ধীবিষয়ক কর্মকর্তা, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্যকেন্দ্র

শ ম দেলোয়ার হোসেন

সভাপতি, জেলা শিশু সুরক্ষা কমিটি, পটুয়াখালী

কে এম এনায়েত হোসেন

নির্বাহী পরিচালক, এসডিএ

গোলাম ফারুক হামিম

হেড অব প্রোগ্রাম, এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ

মো. নাজমুল হোসাইন খান: ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর, এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ

সঞ্চালনা

ফিরোজ চৌধুরী

সহকারী সম্পাদক, প্রথম আলো

আরও যাঁরা অংশ নেন

মো. জালাল আহমেদ: সেক্রেটারি, পটুয়াখালী প্রেসক্লাব

রাহিমা আক্তার: ইউপি সদস্য, লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ, কলাপাড়া

মো. হুমায়ুন কবির: চেয়ারম্যান, আউলিয়াপুর ইউনিয়ন, পটুয়াখালী সদর

মো. সাহাবুদ্দিন আহমেদ: চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত), ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন, কলাপাড়া

মণীন্দ্র চন্দ্র দত্ত: প্রধান শিক্ষক, শহীদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়

মাফুজা ইসলাম: পরিচালক, শুকতারা মহিলা উন্নয়ন সংস্থা

ইশিতা দে: জেলা সমন্বয়কারী, এলজিসি (ইউনিসেফ)

শাহাদত হোসেন: সভাপতি, আলোর দিশারী প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংগ্রাম সংস্থা

মো. মতিউর রহমান: সহসভাপতি, সোনার বাংলা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা

আলোচনা

গোলাম ফারুক হামিম

২০১৮ সালে এডিবি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ পটুয়াখালীতে প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছিল। আমাদের লক্ষ্য ছিল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের স্থানীয় সরকারে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। সরকার ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে কাজ করার ফলে স্থানীয় সরকারে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ অনেকটা নিশ্চিত হয়েছে। আমাদের সঙ্গে গণমাধ্যম রয়েছে। সেদিক থেকে আমরা মনে করি, আজকের বক্তব্য দ্রুত মানুষের মধ্যে পৌঁছাতে পারব।

আমাদের তিন বছরের কাজের প্রায় সমাপ্তি পর্যায়ে এসেছি। আশা করা যায়, আজকের আলোচনায় অনেক পরামর্শ উঠে আসবে। সে সব পরামর্শ নিয়ে নতুন কর্মপরিকল্পনা তৈরি হবে এবং ভবিষ্যতে নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নে তা সহায়ক হবে।

আবুল কালাম

এডিডি ইন্টারন্যাশনাল আমাদের ইউনিয়নে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করার ফলে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত আমরা তাদের তথ্য পেয়েছি। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য আমরা জনপ্রতিনিধি, সরকার, সমাজসেবা অধিদপ্তর—সবাই তৎপর ছিলাম। তাদের তালিকাভুক্ত করেছি। জানতে পেরেছি তাদের কার কী সমস্যা। আমি মাইকে ঘোষণা করে সব প্রতিবন্ধীকে কার্ড করে দিয়েছি। প্রায় একজনও বাকি ছিল না। পরবর্তী সময়ে দেখা গেল যে এলাকা থেকে কিছু প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অন্য জায়গায় গেছে, তারা তালিকার বাইরে ছিল। আজ আপনাদের সামনে ঘোষণা করতে চাই, সামনে যে বরাদ্দ আছে, সেটা পাওয়ার পর আমাদের এলাকার কোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সহায়তার বাইরে থাকবে না।

সব প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সরকারের সহায়তার আওতায় আসবে। তারা একটি আশঙ্কামুক্ত জীবন পাবে বলে আশা করি। স্থানীয় পর্যায়ের কাজের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করব।

প্রায় সব প্রতিবন্ধী সামাজিক সুরক্ষার আওতায় এসেছে। যদি কেউ অন্তর্ভুক্ত না হয়, তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা করব। বাজেটে প্রতিবন্ধীদের অন্তর্ভুক্ত করেছি। তাদের জন্য কিছু হুইলচেয়ার, সেলাই মেশিন ও সাদাছড়ির ব্যবস্থা করেছি। আমাদের পরিষদের পক্ষ থেকে যা কিছু করা প্রয়োজন, আমরা সেটা করতে চেষ্টা করব। সরকারের যত ধরনের সুযোগ-সুবিধা আছে, আমি তাদের দেওয়ার চেষ্টা করব।

মো. অলিউল ইসলাম

আমরা এডিডি ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে সমন্বয় করে পটুয়াখালীর গলাচিপায় কাজ করছি। উপজেলা পর্যায়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে আগে খুব একটা মিটিং হতো না। এখন এডিডির সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা সেটা করতে পারছি। এসব মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত যেন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণে কাজে লাগে, সে ব্যাপারে এডিডি সহযোগিতা করছে।

মাঠপর্যায়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের যে সমস্যা ছিল, সেটা দিন দিন কমে এসেছে। এডিডি ও আমাদের সমন্বিত উদ্যোগের ফলে ভবিষ্যতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আরও বেশি কল্যাণ হবে বলে আশা করি।

ফিরোজ আলম

এডিডি ইন্টারন্যাশনাল ২০১৮ সাল থেকে পটুয়াখালীতে কাজ করছে। তাদের এ কাজের ফলে আমাদের এলাকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা উন্নয়ন সহযোগিতা পেয়েছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এডিডির সহায়তায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তি নিবন্ধন করতে পেরেছে। কারণ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির যদি নিবন্ধন না থাকে, তাহলে সে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পায় না। নিবন্ধন না থাকলে শুধু ভাতাই নয়, শিক্ষাসহ অন্যান্য সুযোগ থেকে তারা বঞ্চিত হয়। এ জন্য সব প্রতিবন্ধী ব্যক্তির নিবন্ধন করা জরুরি। আমার ইউনিয়নে সবশেষ ১৯১ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে ভাতার আওতায় আনা হয়েছে। এর আগে কখনো এত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে ভাতা দেওয়া হয়নি। এডিডি ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতার জন্য এটা সম্ভব হয়েছে বলে আমি মনে করি। এভাবে যদি সারা বাংলাদেশে কাজ হয়, তাহলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। তাদের আর সমাজের বোঝা মনে হবে না।

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা দেশের মানবসম্পদে পরিণত হবে। আজ সময় এসেছে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মেধা কাজে লাগানোর। তাদের মেধাকে কাজে লাগাতে পারলে তারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে।

মো. নাজমুল হোসাইন খান

২০১৮ সাল থেকে এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় সরাসরি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জাতীয় পর্যায়ের দুটি নেটওয়ার্ক সংস্থা—এনজিডিও ও এনসিডিডব্লিউর মাধ্যমে ‘পিআরপিপিএলজিডি’ নামে একটি প্রকল্প যথাক্রমে পটুয়াখালী, বগুড়া ও রংপুর জেলায় বাস্তবায়ন করে আসছে।

এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো ইউনিয়ন পরিষদে স্থায়ী কমিটি, উন্নয়ন কমিটি ও অন্যান্য কমিটিতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা। স্থানীয় সরকারের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতায় প্রতিবন্ধীদের যুক্ত করা। তাদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক বার্ষিক ইউনিয়ন বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করা। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমাজের মূলধারায় আনা।

এ প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে বর্তমানে কর্ম এলাকায় ইউনিয়ন ও পৌরসভা পর্যায়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষাসংক্রান্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন সম্পর্কে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিরা ধারণা লাভ করেন। পৌরসভায় স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার বিষয়ে খুব বেশি ধারণা ছিল না। ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক জারি করা পরিপত্র সম্পর্কেও সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবগত করা হয় এবং এর আলোকে অ্যাডভোকেসির ফলে জেলা প্রশাসন ২০১৯ সালে একটি চিঠির মাধ্যমে জেলার সব ইউনিয়ন পরিষদে একটি অতিরিক্ত স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেন। ফলে ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভার প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য অতিরিক্ত একটি স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়। সে অনুযায়ী এডিডি কর্ম এলাকায় ১২টি ইউনিয়নের ১০টিতে এই কমিটি গঠিত হয়। যেখানে এখন ৬ জন নারী এবং ১১ জন পুরুষ প্রতিনিধিত্ব করছেন।

এ প্রকল্পের কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের কর্মব্যস্ততার কারণে অনেক সময় ওপিডি সদস্যরা যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হন। যদি কোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সামাজিক সুরক্ষাবেষ্টনীর কোনো একটি সহায়তা ভোগ করে, তবে সে অন্য সহায়তার আওতায় আসে না।

আমাদের কাজ হলো প্রতিবছর ইউনিয়ন বা পৌরসভা পর্যায়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য বাজেট বরাদ্দ এবং ব্যয় নিশ্চিত করণ। ইউনিয়ন বা পৌরসভার স্থায়ী কমিটিতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অংশগ্রহণ ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণ।

আমাদের লক্ষ্য: প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে সামাজিক সুরক্ষাবেষ্টনীর একাধিক সহায়তা প্যাকেজের আওতায় আনয়ন। ইউনিয়ন পরিষদে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও সংরক্ষণ। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষাসংক্রান্ত কমিটির সভা নিয়মিতকরণ। অন্তর্ভুক্তি ও অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণে স্থানীয় পর্যায়ে সমন্বয়, পর্যবেক্ষণ ও জবাবদিহি বাড়ানো।

প্রতিবন্ধিতাবান্ধব স্থানীয় সরকারব্যবস্থা এবং ডিপিও বা সিএসওর ভূমিকা বিষয়ে আইনপ্রণেতা, সেবাদানকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, প্রতিবন্ধিতাবিষয়ক কর্মী এবং অন্য উন্নয়নকর্মীদের সচেতনতা বৃদ্ধি অব্যাহত রাখা। প্রকল্পের ধারাবাহিক তথ্য ও শিখন একত্র করা এবং পরবর্তী সময়ে ডিপিও ও সিএসওর সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ ও পলিসি অ্যাডভোকেসি অব্যাহত রাখা।

সিএসও, ডিপিও এবং তাদের নেটওয়ার্কগুলো জেলার ও জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নকর্মীদের সম্মেলন ও প্ল্যাটফর্মে অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখা।

এস এম শাহাজাদা

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়। ২০১৩ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের তালিকা করে তাদের সাহায্যের আওতায় আনা হয়।

আমরা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, সমাজসেবা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। ২০১৩ একটি জরিপের আলোকে ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩০ হাজার ৬৩০ জনকে সুবর্ণ নাগরিকের তালিকায় আনতে পেরেছি। ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ২৩ হাজার ৩২ জনকে ভাতা কার্যক্রমের আওতায় এনেছি। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি কার্যক্রমের আওতায় এনেছি। আমরা প্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন উপকরণ দিয়েছি। তাদের জন্য সরকারের যেসব নির্দেশনা রয়েছে, সেসব পালন করছি। ২০১৩ সালের আইনের আলোকে প্রতি উপজেলায় একটি করে কমিটি আছে। এসব কমিটিতে সুবর্ণ নাগরিকদের মধ্য থেকে একজন পুরুষ ও একজন নারী প্রতিনিধিত্ব করবেন।

বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধীদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকার থেকে প্রতি মাসে তাদের জন্য মিটিং করার নির্দেশ এসেছে। সুবর্ণ নাগরিকদের হয়রানির কিছু অভিযোগও আছে। তবে ভবিষ্যতে আপনাদের যদি কেউ হয়রানি করে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সার্বক্ষণিক আমরা আপনাদের পাশে আছি।

শিলা রানী দাস

২০১৩ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমাজসেবা অধিদপ্তরে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছেন দেশে কত প্রতিবন্ধী ব্যক্তি আছে। প্রয়োজনে প্রতি ঘরে গিয়ে খোঁজ নিতে হবে। তখন আমাদের অধিদপ্তর থেকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার কাজ শুরু হয়। যে বাড়িতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি আছে, সেখানে টিক চিহ্ন দেওয়া হয়, যে বাড়িতে নেই, সেখানে ক্রস চিহ্ন দেওয়া হয়।

২০১৪ সালে আমাদের অধিদপ্তর থেকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হয়। সফটওয়্যারের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে বিভিন্ন তথ্যসংবলিত একটি সরকারি ফরম পূরণ করা হয়। তারপর বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মিলনায়তনে এনে চিকিৎসকের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয় তারা কে কোন ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যক্তি। এরপর তাদের সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সাধারণত বলা হয়ে থাকে, ১৬ থেকে ১৭ শতাংশ মানুষ প্রতিবন্ধী। কিন্তু আমরা কোথাও এক থেকে দেড় শতাংশের বেশি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি পাইনি। এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই যে তিনি এমন একটি পরামর্শ আমাদের দিয়েছিলেন। তা না হলে আমরা প্রকৃত প্রতিবন্ধীর সংখ্যা জানতে পারতাম না এবং তাদের সঠিক সেবা দিতে পারতাম না।

এই করোনাকালে পটুয়াখালীতে আমরা ২১ হাজারের বেশি প্রতিবন্ধীকে সেবা দিয়েছি। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী আছে, তাদের উপবৃত্তি দিয়ে থাকি। সরকারি সহযোগিতার বাইরেও যেন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ করতে পারে, বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করতে পারে, সরকারি নির্মাণ অবকাঠামো স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতালসহ সব ক্ষেত্রে ক্যাম্পের সুযোগ থাকছে।

২০০৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি উপজেলায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য আলাদা বিদ্যালয় করার কথা বলেছেন। যতটুকু জানতে পেরেছি, মোট ১২৬টি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হবে। এখানে একাডেমিক শিক্ষার সঙ্গে কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে, যেন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা কাজ করে স্বাবলম্বী হতে পারে। এডিডি ইন্টারন্যাশনাল কিন্তু পটুয়াখালী থেকে চলে যাচ্ছে না। তবে এখন তারা শুধু কলাপাড়া উপজেলায় কাজ করবে। আর অন্য একটি প্রকল্প পটুয়াখালী সদর ও গলাচিপা উপজেলায় কাজ করবে।

সরকারের যত ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা আছে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য, আমরা সেটা করে যাব। জনপ্রতিনিধিদের কাছে অনুরোধ, আপনাদের জন্য প্রতিবছর যে বাজেট থাকে, সেখান থেকে একটি অংশ যেন আপত্কালে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য রাখা হয়। আপনাদের বাজেট ঘোষণার মধ্যে যেন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ থাকে। তারা যেন তাদের দাবিদাওয়া আপনাদের বলতে পারে।

মো. হেমায়েত উদ্দিন

আমরা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিবন্ধী না বলে সুবর্ণ নাগরিক বলে অভিহিত করি। আমরা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের যে আইডি কার্ড দিই, এর নাম দিয়েছি সুবর্ণ ব্যক্তির আইডি কার্ড। এটা সমাজে তাদের ক্ষমতায়নের জন্য ভূমিকা রাখবে। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সুবর্ণ নাগরিকদের সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনা। যখন তাদের সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে পারব, তখন আমরা বলতে পারব আমাদের সমাজ অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়েছে। আমরা এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) অর্জনের জন্য কাজ করছি।

সেখানে ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা আছে। এর মধ্যে ৮টি লক্ষ্যমাত্রা সরাসরি সুবর্ণ নাগরিকদের সঙ্গে সম্পর্কিত। আমরা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নে কাজ করছি।

এসডিজিতে বলা আছে, কেউ পেছনে থাকবে না। তাহলে আমরা সবার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাতে হাত রেখে সামনে এগিয়ে যাব। সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। অনেক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি আমাদের কাছে এসে বলেন, আমাদের আইডি কার্ড করে দেন। কিন্তু তিনি প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ জরিপের মধ্যে না এলে আমরা তাঁকে সরকারি কোনো সুবিধা দিতে পারি না।

কোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ১৮ বছরের নিচে হলে জন্মসনদ, ওপরে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে তাঁকে সশরীর আমাদের অফিসে আসতে হয়। আমরা একটা ফরম পূরণ করে দিই। এটা নিয়ে তিনি যাবেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে চিকিৎসক প্রতিবন্ধী হিসেবে শনাক্ত করবেন। তখন আমরা তাঁকে কার্ড দিতে পারব।

আমাদের একটি ওয়েবসাইট রয়েছে। সেখান থেকে আমরা জানতে পারি পটুয়াখালী সদর উপজেলায় কতজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি রয়েছে। ৪ হাজার ৩৫০ জনকে উপবৃত্তি ও ভাতার আওতায় এনেছি। ২০৩ জনকে হুইলচেয়ার দিয়েছি। আমরা সব সময় আপনাদের সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি।

মো. রুহুল আমীন

আগের বক্তারা আমার কাজের প্রায় সবই বলেছেন। আমি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সেবার পরামর্শক হিসেবে কাজ করি। আবার তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে কাজ করি। দেশে তিনটি প্রতিবন্ধী সেবা সাহায্য কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে পটুয়াখালী একটি। প্রতিবন্ধী সেবা সাহায্য কেন্দ্রের আর কোনো শাখা পটুয়াখালীতে নেই। বর্তমানে আমাদের কিছুটা সমস্যার জন্য সেবা দিতে পারছি না। খুব দ্রুতই আবার সেবা দেওয়া শুরু করব। প্রতিবন্ধিতা একক কোনো সমস্যা নয়। এখানে সমন্বিতভাবে সবাইকে কাজ করতে হবে। স্থানীয় সরকারের কাজে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ থাকলে তারা তাদের সমস্যা আরও ভালোভাবে বলতে পারবে। স্থানীয় সরকারের কাজে তাদের অংশগ্রহণের বিষয়টিতে সবার গুরুত্ব দিতে হবে। হুইলচেয়ার ও অন্যান্য উপকরণ আমরা দিয়ে থাকি। আপনাদের যেকোনো সহযোগিতায় আমরা প্রস্তুত।

মো. মেহেদী হাসান

প্রতিবন্ধিতা মানবসৃষ্ট কোনো সমস্যা নয়। এটা জন্মগত ত্রুটিসহ বিভিন্ন কারণে হতে পারে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সরকারের উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সহযোগিতায় কাজ করে যাচ্ছে। আমরা জরিপের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শনাক্ত করেছি। আমাদের কাজের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা তাদের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে সচেতন হয়েছে। আমাদের জনবল, প্রচার-প্রচারণার সীমাবদ্ধতা থাকে। তরপরও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সচেতন করার চেষ্টা করি। আমি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মোবাইল নম্বর রাখার চেষ্টা করি। কোনো ভাতা এলে যেন সেটা তাদের দ্রুত পৌঁছে দিতে পারি। এ ক্ষেত্রে সমাজকল্যাণ অধিদপ্তর ও স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিরা সার্বিক সহযোগিতা করেন। আমরা সব সময় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণে কাজ করে থাকি।

মো. মিজানুর রহমান

কলাপাড়া উপজেলায় ৩ হাজার ২৬৯ ব্যক্তি ডিজঅ্যাবল ইনফরমেশন সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৬৮২ জন ভাতা পাচ্ছে। ১৭০ জন শিক্ষা উপবৃত্তি পাচ্ছে। মুজিব শতবর্ষে বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হলো শতভাগ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে ভাতার আওতায় আনা। এখনো যারা ভাতার আওতায় আসেনি, অতি দ্রুত তাদের ভাতার আওতায় আনার চেষ্টা করব।

শ ম দেলোয়ার হোসেন

সুবর্ণ নাগরিকদের জন্য সরকার যেসব সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে, তা সমাজে প্রচার করতে হবে। সরকারের দিক থেকে বর্তমানে সুবর্ণ নাগরিকদের জন্য আরও সুযোগ– সুবিধা বাড়ানো জরুরি।

স্থানীয়ভাবে সমাজের কল্যাণ করার জন্য বাজেট রয়েছে। স্থানীয় সরকারের এ বাজেট থেকে সুবর্ণ নাগরিকদের জন্য আলাদা বরাদ্দ রাখতে হবে। বাজেটের অর্থ তাদের মধ্যে সঠিকভাবে বণ্টন করা হলে তাদের সত্যিকার কল্যাণ হবে।

কে এম এনায়েত হোসেন

প্রতিটি উপজেলায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষার জন্য প্রতিবন্ধীদের কমিটি করা হয়েছে। যেসব স্থানে কমিটি নেই, সেসব স্থানে কমিটি করা প্রয়োজন। প্রতিবন্ধীদের এগিয়ে নিতে হবে। তাদের সমাজের মূলধারার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। আপনারা হতাশ হবেন না। আমরা সব সময় আপনাদের পাশে রয়েছি।

মো. শফিকুল ইসলাম

যেকোনো কাজের জন্য সরকারের যেমন প্রকল্প থাকে, তেমনি উন্নয়ন সহযোগীদেরও প্রকল্প থাকে। প্রকল্পের মাধ্যমেই কাজ হয়। এডিডি পটুয়াখালীতে এই প্রকল্পের আগেও কাজ করেছে। আমাদের মূল কাজটা ছিল স্থানীয় সরকারের কর্মকাণ্ডে যেন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ থাকে। তাহলে তারা সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসতে পারবে।

পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া, গলাচিপা ও পটুয়াখালী সদর উপজেলায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ১২টি সংগঠন আছে। আপনারা সবাই বলেছেন ভালো কাজ হচ্ছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা আগের থেকে অনেক ভালো আছে। ৩ মার্চ কলাপাড়ায় তিনটি প্রতিনিধি সংগঠনের সঙ্গে ছিলাম। আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন যে কলাপাড়ার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের তিনটি সংগঠনের প্রায় ৯৯ শতাংশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি নিবন্ধিত হয়েছেন। কেউ যদি বাকি থাকে, তাদেরও নিবন্ধনের চেষ্টা চলছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অনেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজের জন্য উপকরণ পেয়েছেন। সংসারে তাঁরা আয়ের পথ সৃষ্টি করেছেন।

করোনাকালে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠনের নেতারা তাঁদের আশপাশের সবার খোঁজখবর নিয়েছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। এভাবে সবাই যতটা সম্ভব এই দুর্যোগের মধ্যে ভালো থাকার চেষ্টা করেছেন। অনেক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সরকারের ২ হাজার ৫০০ টাকার আর্থিক প্রণোদনাসহ অন্যান্য ভাতা প্রণোদনা পেয়েছে। চেষ্টা ও ইচ্ছা থাকলে অনেক প্রতিবন্ধিতা জয় করা যায়, এই অঞ্চলের প্রতিবন্ধী সংগঠনের নেতারা সেটা প্রমাণ করেছেন।

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষে সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও সুরক্ষা আইন, অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্টাল ট্রাস্ট আইন ও মানসিক স্বাস্থ্য আইন প্রণয়ন করেছে। সরকার ও জাতিসংঘ থেকে যেসব অধিকারের কথা বলা আছে, আমাদের সেসব জানতে হবে। আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় প্রায় তিন বছরের বেশি সময় পটুয়াখালীতে কাজ করেছি।

এ এলাকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা অনেকভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকারের সহযোগিতায় এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি। আমরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ২০০ সংগঠন করে দিয়েছি। তারা কিন্তু ভালোভাবে কাজ করে নিজেদের উন্নয়ন করছে। সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় আগামী পাঁচ বছরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অনেক উন্নয়নের কথা বলা আছে। আপনাদের-আমাদের সবার প্রচেষ্টায় ভবিষ্যতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে।

ফিরোজ চৌধুরী

স্থানীয় সরকারের কর্মকাণ্ডে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারলে তাদের সত্যিকার কল্যাণ হবে বলে আশা করি। আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

সুপারিশ

  • সব প্রতিবন্ধী ব্যক্তির তালিকাভুক্ত করে সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আনা জরুরি।

  • প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে সভা করে তাদের প্রকৃত সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে।

  • নিবন্ধন না থাকলে শুধু ভাতাই নয়, শিক্ষাসহ অন্যান্য সুযোগ থেকেও তারা বঞ্চিত হয়।

  • সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠনের নেতা ও স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা সমন্বিতভাবে কাজ করলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ব্যাপক উন্নয়ন হবে।

  • স্থানীয় সরকারের কর্মপরিকল্পনায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

  • গর্ভাবস্থায় মায়ের পুষ্টি, চেকআপ, সঠিক পরিচর্যা ও শিশুদের জন্মের পর টিকা দেওয়া—এসব ক্ষেত্রে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হলে প্রতিবন্ধিতা অনেকটাই রোধ করা যায়।