আগামীর ঢাকা ও বিশদ নগর পরিকল্পনা

বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) ও প্রথম আলোর আয়োজনে ২১ নভেম্বর ২০২০ ‘আগামীর ঢাকা ও বিশদ নগর পরিকল্পনা’ শীর্ষক এক ভার্চ্যুয়াল গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই আলোচনায় আবাসন, জলাশয় রক্ষা, রাস্তা প্রশস্ততা, পরিবহন, যোগাযোগ, পরিবেশ, জলাবদ্ধতা, ভূমি ব্যবহারসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের উল্লেখযোগ্য পরামর্শ ও মতামত এখানে প্রকাশিত হলো।

আলোচক

আইনুন নিশাত, ইমেরিটাস অধ্যাপক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়

মোহাম্মদ আওয়াল

সাবেক সভাপতি, রিহ্যাব

এফ আর খান

ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিটিআই

মোবাশ্বের হোসেন, সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট

মো. আশরাফুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক, ড্যাপ

আকতার মাহমুদ, প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স

ইকবাল হাবিব

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাপা

সোহেল রানা, সহসভাপতি, রিহ্যাব

শামছুল হক, অধ্যাপক, বুয়েট

কাজী গোলাম নাসির

সাবেক প্রধান স্থপতি, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট (আইএবি)

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, প্রধান নির্বাহী, বেলা

খ. নিয়াজ রহমান, কনসালট্যান্ট, ড্যাপ

এহসান খান

সহসভাপতি, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট

ইশরাত ইসলাম: অধ্যাপক, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা, বুয়েট

আদিল মুহাম্মদ খান: সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স

জলাশয় রক্ষা

আইনুন নিশাত: আশুলিয়াকে জলাধার হিসেবে রাখা হোক। এখানে নিরাপদ পানি পাওয়া যায়, ফসল হয়, প্রকৃতি রক্ষা ও বিনোদনের ব্যবস্থা হতে পারে।

ইশরাত ইসলাম: ড্যাপের প্রস্তাব অনুযায়ী সাধারণ জলস্রোত এলাকার ২০ থেকে ৪০ শতাংশ জায়গা জলাধার হিসেবে রেখে বাকিটা ভরাট করলে ব্লু নেটওয়ার্ক ধ্বংস হবে।

ইকবাল হাবিব: জলাধার ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

খাল ও জলাধার দখলদারদের উচ্ছেদ করতেই হবে।

রাস্তা প্রশস্তা

আইনুন নিশাত

নাগরিকের সুবিধার জন্য যেকোনো এলাকায় রাস্তা প্রশস্তের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

আকতার মাহমুদ

ঢাকা শহরে অনেক ছোট রাস্তা আছে। দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য এসব রাস্তা প্রশস্ত করতে হবে।

শামছুল হক

রাজউকের পারফরম্যান্স মোটেই আশাব্যঞ্জক নয়। রাস্তায় চরম অব্যবস্থাপনা।

খ. নিয়াজ রহমান

■ রাস্তার প্রশস্ততা নির্ভর করে এর ব্যবহারের ওপর। বর্তমান ড্যাপে রাস্তার প্রশস্ততা নিয়ে বলা আছে।

■ পুরান ঢাকার সব রাস্তা প্রশস্ত করা অবাস্তব। তা ছাড়া এখানে একটা ঐতিহ্যেরও বিষয় আছে।

যোগাযোগ ও পরিবহন

আইনুন নিশাত

■ কমিউটার ট্রেনের মাধ্যমে ঢাকার পাশের জেলার সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। বংশাল, সদরঘাট, নারিন্দা—এসব এলাকার যোগাযোগ উন্নত করা প্রয়োজন।

■ ঢাকার চারপাশে নৌপথে চলাচলের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

■ পপুলেশন প্রজেকশন অর্থাৎ নগর কোন দিকে বাড়বে, সেটা ঠিক করতে হবে।

■ সাভার ও কল্যাণপুরে অলিগলিতে ভরে যাচ্ছে, কোনো পরিকল্পনা নেই। এসব জায়গায় বড় রাস্তা না করলে বসবাস করা যাবে না।

আকতার মাহমুদ

গণপরিবহনের বিষয়টি আরও বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করা লাগবে। মডেল করা লাগবে।

ইকবাল হাবিব

সড়কও একটা গণপরিসর। নতুন ড্যাপে সড়ক প্রশস্তকরণের বিষটি বাদ দেওয়া হয়েছে।

শামছুল হক

■ ভূমি ব্যবহারের ঘনত্ব বাড়লে পরিবহনের ওপর চাপ পড়বে। এসব না জেনে যদি স্বপ্ন দেখি, তাহলে সেটা বাস্তবায়ন হবে না।

■ দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, রাজউকের অনুমোদন প্রক্রিয়া বিজ্ঞানের ধারেকাছেও নেই।

■ গাড়ি চলার সক্ষমতা আছে কি না, সেটা না দেখেই বিআরটিএ অনুমোদন দেয়।

■ ফুলবাড়িয়ায় যে হোলসেল মার্কেট, এখানে পরিবহন কোথায় থামবে। মালপত্র কোথায় ওঠানো–নামানো হবে, রাজউক কি এসব কোনো দিন ভেবেছে?

মোবাশ্বের হোসেন

ঢাকা মহানগরে মানুষের আগমন নিয়ন্ত্রণ করতে হলে কম খরচে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার দ্রুতগতির ট্রেনের ব্যবস্থা করতে হবে। কলকাতায় এ ব্যবস্থা আছে।

আবাসন

আকতার মাহমুদ

নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের আবাসনের প্রতি অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। ওয়ার্ড ও এলাকাভিত্তিক ম্যাপিং করে শহরকে বসবাসের উপযোগী করতে হবে।

এহসান খান

পুরান ঢাকার লাখ লাখ মানুষের বসবাসকে এড়িয়ে কোনো উন্নয়ন সম্ভব নয়।

ইকবাল হাবিব

রাজউককে অবৈধ ভবন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

অবৈধভাবে যেসব ভূমি ও আবাসন ব্যবসায় চলে গেছে, তা উদ্ধার করা জরুরি।

এফ আর খান

■ প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় সিটি করপোরেশন এলাকায় আবাসনের খরচ অনেক বাড়বে।

■ ভবন নির্মাণে অনিয়ম করে টাকা দিয়ে পার পেলে এটা একটা ভুল বার্তা যাবে।

শামছুল হক

পিডব্লিউডি আজিমপুরে ৪ তলা ভবন ভেঙে ২০টা ২০ তলা ভবন করছে। ইস্কাটনসহ বিভিন্ন জায়গায় একই বিষয় ঘটছে। এটা সমস্যা আরও জটিল করে তুলবে।

আদিল মুহাম্মদ খান

ঢাকার সবচেয়ে বড় একটি সমস্যা হলো ক্ষুদ্র প্লট। এ থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে।

মোবাশ্বের হোসেন

আকাশের সীমা নেই। দুই বা তিনতলা ২০টা ভবন এক জায়গায় না রেখে ২০ তলা একটা ভবন করলে ১৯টা ভবনের জায়গা ফাঁকা হবে। সেখানে খেলার মাঠ, আলো-বাতাস—সবকিছু পাওয়া যাবে।

কাজী গোলাম নাসির

জনঘনত্ব উচ্চতার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত নয়, কম উঁচু ভবনে বেশি মানুষ আবার উঁচু ভবনেও কম মানুষ বাস করতে পারে। এটা ডিজাইনের বিষয়।

ইশরাত ইসলাম

বস্তিবাসী মানুষের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় সবার সাধ্যের মধ্যে আবাসনের কথা বলা হয়েছে।

খ. নিয়াজ রহমান

এই শহরে মাত্র ৪ শতাংশ মানুষ গাড়ি ব্যবহার করে। বাধ্যতামূলক কার পার্কিং থাকার যুক্তি নেই। এটা শুধু আবাসিক ভবনের ক্ষেত্রে।

সোহেল রানা

রাস্তার কথা চিন্তা না করে এলাকাভিত্তিক ভবন নির্মাণের উচ্চতা কমিয়ে দিলে ফ্ল্যাটের সংখ্যা কমে যাবে। অন্যদিকে মূল্য অনেক বেড়ে যাবে।

পরিকল্পনার ধারাবাহিকতা

ইকবাল হাবিব

আগের বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার সঙ্গে সমন্বয় করে নতুন বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা জরুরি।

এহসান খান

পূর্ববর্তী ড্যাপ, বিএনবিসিসহ অন্যান্য পরিকল্পনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা দরকার।

পরিবেশ

আইনুন নিশাত

পদ্মা নদী থেকে পানি না এনে বুড়িগঙ্গার পানি দূষণমুক্ত করতে হবে।

আকতার মাহমুদ

জলাশয়, পুকুর, খাল-বিল, নদী-নালা সংরক্ষণের জন্য যতটা গুরুত্ব পাওয়ার কথা, নতুন ড্যাপে ততটা পায়নি। বর্জ্য ব্যবস্থা নিয়ে ভাবতে হবে।

খ. নিয়াজ রহমান

অনেক সময় তথ্য পাওয়া যায় যে জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে ড্যাপে কিছু বলা নেই। আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি, এবারের ড্যাপে এ বিষয়ে সবচেয়ে বেশি বলা হয়েছে।

জনবল

আকতার মাহমুদ

■ রাজউকের জনবল বাড়াতে হবে।

■ রাজউকের জনবলের সঙ্গে পেশাজীবী ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের যুক্ত করা প্রয়োজন।

জলাবদ্ধতা

আইনুন নিশাত

জলাবদ্ধতা নিরসনে ওয়ার্ডভিত্তিক ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা করতে হবে।

আকতার মাহমুদ

মহানগরের বড় সমস্যা জলজট, পানিনিষ্কাশনে আরও গুরুত্ব দেওয়া দরকার।

ভূমি ব্যবহার

আকতার মাহমুদ

মিশ্র ভূমি ব্যবহারে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেন আবাসিক পরিবেশ ক্ষুণ্ন না হয়।

ইকবাল হাবিব

ঢাকার অনেকাংশ ইতিমধ্যে ভূমি ব্যবসায়ী ও ব্যক্তিমালিকের অধীনে চলে গেছে।

আদিল মুহাম্মদ খান

ঢাকা যদি মাওয়া পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়, তাহলে এর একটা পরিকল্পনা করতে হবে।

মোহাম্মদ আওয়াল

■ যত দিন পর্যন্ত সমগ্র বাংলাদেশকে বসবাসযোগ্য করে গড়ে তোলা না যাবে, তত দিন ঢাকা সিটিকে বাসযোগ্য করা যাবে না।

■ ফসলের জমি বাদ দেওয়ার পর যে জমি থাকবে, তার কত অংশ শিল্পকারখানা, কত অংশে রাস্তাঘাট, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ ইত্যাদি হবে, তা–ও ঠিক করতে হবে। এরপর যে পরিমাণ জমি থাকবে, তার ওপর আবাসিক ভবন নির্মাণ করতে হবে।

কাজী গোলাম নাসির

উন্নয়ন অধিকার বিক্রয় প্রস্তাবটি ভালো, কিন্তু ঢালাও উন্নয়ন অধিকারের বিক্রয় অনুমোদন দিলে ক্রয়-বিক্রয় এলাকাভেদে পেশিশক্তির উদ্ভব ঘটাবে।

খ. নিয়াজ রহমান

ড্যাপে ১৩ ধরনের ভূমি ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। এখানে স্পষ্টভাবে জলাশয় কোথায় আছে, এর ব্যবহার কী হবে, সব বলা আছে।

বিবিধ

আইনুন নিশাত

ড্যাপের সঙ্গে মেয়র, ওয়ার্ড কমিশনারসহ সাধারণ মানুষকে যুক্ত করতে হবে।

আকতার মাহমুদ

নগর–পরিকল্পনায় ভূমি ব্যবহার, পরিবহন, পরিবেশ, শিক্ষাসহ সবকিছুকে সমন্বয় ও বিশ্লেষণ করে নগর–পরিকল্পনা করতে হবে।

কাজের অগ্রাধিকার ঠিক করতে হবে।

ইকবাল হাবিব

মতামত গ্রহণের পর সেটা নিয়ে আবার আলোচনা করতে হবে। এটা মূল মতামতকে আরও সমৃদ্ধ করে।

আদিল মুহাম্মদ খান

ঢাকার পরিকল্পনার সঙ্গে বাংলাদেশের পরিকল্পনার সম্পর্ক আছে। পদ্মা সেতু হচ্ছে। ঢাকার জনসংখ্যা আরও বাড়বে না বিকেন্দ্রীকরণ হবে, সেটা ভাবতে হবে।

মোবাশ্বের হোসেন

■ রাজউককে আবাসনের ব্যবসা বন্ধ করে তদারকিতে মনোযোগ দিতে হবে।

■ নগর সরকারের ব্যবস্থা করতে হবে।

■ প্রতিটি জেলায় উন্নত শিক্ষা, চিকিৎসা ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে ঢাকায় জনসংখ্যার চাপ কমবে।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

■ এমন পরিকল্পনা করতে হবে যেন ২০৩৫ সালের মধ্যে ঢাকা শহর বিশ্বের একটা দৃষ্টান্ত হয়।

■ রাজউককে প্রথমে একটা স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান দিতে হবে। একটা ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান কখনো মাস্টার প্ল্যান হতে পারে না। এখানে তাড়াহুড়ার কিছু নেই। একটি দুর্বল ত্রুটিপূর্ণ ড্যাপ হলে এটা রাজউককে গণবিচ্ছিন্ন করে দেবে। ভালো উদ্দেশ্যে করলেও ভালো হবে না। রাজনৈতিক নেতৃত্ব যদি ভূমিদস্যুদের পক্ষে থাকেন, তাহলে রাজউক কিছু করতে পারবে না। ওই চাপে যদি নতি স্বীকার না করতে চান, তাহলে আমাদের নিয়ে কাজ করেন।

■ ২ হাজার ২০০ স্থাপনাকে হেরিটেজ সাইট হিসেবে দেখাতে হবে।

■ রাজউকের বোর্ডে পেশাদার লোক থাকতে হবে।

ইশরাত ইসলাম

সমাজে লাভ-ক্ষতি সমানভাবে বণ্টন ছাড়া কোনো ন্যায্য পরিকল্পনা হতে পারে না। জলাভূমি ভরাট
করে কেউ ধনী হবে, কেউ বিতাড়িত হবে, এটা হতে পারে না।

মো. আশরাফুল ইসলাম

■ বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে ড্যাপকে আরও সমৃদ্ধ করতে চাই।

■ একটা বাস্তবধর্মী ড্যাপ প্রণয়ন করতে চাই।

■ জনঘনত্ব নিয়ন্ত্রণের জন্য এলাকাভিত্তিক নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা করতে হবে।

■ মিশ্র ভূমির ব্যবহার নিয়ে বুয়েট, বিআইপিসহ গুরুত্বপূর্ণ সব স্টেকহোল্ডারের মতামত নিয়েছি। সবকিছু গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করব।

■ ঢাকার বৈশিষ্ট্য অনুসারে যেকোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা অনেক কঠিন।

■ একজন পেশাজীবী হিসেবে মনে করি, ঢাকায় জলাশয় ও কৃষিজমি থাকবে। কিন্তু ঢাকার কোনো এলাকার মানুষ চায় না যে তার এলাকা জলাশয় বা কৃষিজমি হিসেবে চিহ্নিত হোক।

■ ঢাকায় জলাশয় বা কৃষিজমির জন্য কৃষক লাভবান হবেন না। এ জন্য ট্রান্সফার অব ডেভেলপমেন্ট রাইটস করেছি।

■ ঢাকায় বহুতল ভবনের সংখ্যা ১ হাজার ৮০০।

■ ওয়ার্কশপ করা হবে। সেখানে সব স্টেকহোল্ডার মতামত দিতে পারবেন। সবার কথা শুনতে চাই। সবার মতামত গ্রহণ করতে চাই। আজকের আলোচনার দিকনির্দেশনা বিবেচনা করা হবে।

■ পূর্ববর্তী ড্যাপ ও নির্মাণ বিধিমালা অনুসরণ করা হবে।

■ শুধু রাজউকের আওতাধীন এলাকা নয়, সমগ্র বাংলাদেশ নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে।

■ ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে।

■ পদ্মা সেতুর জন্য কেরানীগঞ্জ নিয়ে নতুনভাবে পরিকল্পনা করতে হবে।

■গণশুনানি, সবার মতামত এসবের সারসংক্ষেপ ও পর্যালোচনা করতে হবে। তারপর ওয়ার্কশপের মাধ্যমে এগুলো চূড়ান্ত করতে হবে।