‘আমি সত্য বলার চেষ্টা করি’

আকবর আলি: এটা বিলাত থেকে জাতিসংঘের উদ্যোগে প্রকাশিত হয়। আরও একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন রিসোর্স ট্রেনিং সেন্টারে থাকতে সেখানে পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশনের ওপর ট্রেনিং করতে গিয়ে গভর্ন্যান্স ও পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিষয়ে আমি গবেষণা শুরু করি। পরবর্তীকালে সেটি আরও অনেক বই লিখতে সহায়তা করেছে।

আকবর আলি: আরও অনেক বিষয় রয়ে গেছে, যেগুলো এখনো আমি লিখে উঠতে পারিনি। জানি না পারব কি না। নানা সময়ে নানা কারণে বিচিত্র বিষয়ে আমার আগ্রহ হয়েছে। তবু আরও অনেক বিষয় ছিল, যেগুলোতে আগ্রহ হলে ভালো হতো। বিশেষ করে বিজ্ঞানের বিষয়গুলো নিয়ে খুব পড়াশোনা করিনি, সেটা আমার একটা বড় দুর্বলতা। আপনি যেমন বিজ্ঞান পড়েছেন, আমি পড়তে পারিনি। যদিও প্রবেশিকা পরীক্ষায় আমার অ্যাডিশনাল সাবজেক্ট ছিল বিজ্ঞান। প্রায় ৭০ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলাম আমি। আমার মায়ের ইচ্ছা ছিল আমি যেন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ি। অনায়াসে আমি হয়তো ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পারতাম। কিন্তু পড়িনি। বিজ্ঞানের অধিকাংশ জগৎ আমার কাছে অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। কিন্তু বিজ্ঞানের যে পদ্ধতি, সেটা আমাকে শিখতে হয়েছে। সেই পদ্ধতিতেই আমি কাজ করি।

আকবর আলি: হ্যাঁ। গণিতে বেশ দুর্বল ছিলাম আমি। পিএইচডি করার সময় আমার স্ত্রী হামীম খান আমাকে সাহায্য করেছিলেন। তিনি বিজ্ঞানী ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি অনার্সে (পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ) প্রথম শ্রেণিতে পাস করেছিলেন তিনি। তবে আমি পিএইচডি করতে বিদেশ যাওয়ায় আমার স্ত্রী এমএসসি সম্পন্ন করতে পারেননি। তিনি সানবীমস স্কুলে ২০ বছর গণিতের শিক্ষক ছিলেন।

আকবর আলি: বাংলাদেশের ইতিহাসের ওপরে কিছু কাজ আমি শুরু করেছি।

আকবর আলি: হ্যাঁ। এ ছাড়া বাংলাদেশে ইসলামের অভ্যুদয় সম্পর্কে একটা বই আছে—বাংলায় ইসলাম প্রচারে সাফল্য: একটি ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ।

আকবর আলি: দ্বিতীয় খণ্ড লিখতে বছর দুয়েক সময় লাগবে বলে ধারণা করি। কারণ, প্রথম খণ্ড যেখানে শেষ হয়েছে, তার পরের ৪০–৪৫ বছরের জীবনে অনেক কিছু ঘটে গেছে। এগুলো সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও গবেষণার পর লিখতে হবে। সে জন্য আমার একটু সময় লাগবে। সবশেষে এর প্রকাশকাল ইত্যাদি নির্ধারণ করতে পারব।

আকবর আলি: হয়তো তা-ই। আপনি পাঠক, আপনিই ভালো বলতে পারবেন। তবে আগের কথারই পুনরাবৃত্তি করছি, আমার মনে হয়, বাংলাদেশের পাঠক বিশ্বাস করে যে আমি যথাসাধ্য সত্য কথা বলার চেষ্টা করি। এটাকেই মূলত তারা পছন্দ করে।

আকবর আলি: এর সঙ্গে আরেকটি বিষয় যুক্ত করি। যদি কোনো বিষয়ে আমার নিজের কোনো বক্তব্য না থাকে, তাহলে সেটি নিয়ে আমি লিখি না। আমার প্রতিটা বই-ই আমার নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা। আমার নিজস্ব বক্তব্যটি কারও কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে, না-ও হতে পারে। কিন্তু সেটি পাঠককে আকর্ষণ করে। যেমন ধরুন, আমি তো বাংলা সাহিত্যে বিশেষজ্ঞ নই। কিন্তু চাবিকাঠির খোঁজে: নতুন আলোকে জীবনানন্দের বনলতা সেন বইটা এ কারণেই জনগণের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করেছে যে আমি নতুন একটি দৃষ্টিকোণ থেকে জীবনানন্দ দাশকে দেখার চেষ্টা করেছি।

আকবর আলি: কীভাবে ঠিক জানি না। তবে শেষ পর্যন্ত যতটুকু পেরেছি, সে জন্য আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আরও কাজ করতে পারি যেন, সেই দোয়া করবেন।

আকবর আলি: বই পড়া। আমার বই পড়তে ভালো লাগে। এবং বই পড়তে গেলেই বিভিন্ন প্রশ্ন জাগে, যার উত্তর সন্ধান করতে গিয়ে আমি আরও একটি বই লিখে ফেলি। এই বই পড়ার জন্যই আমার সারা জীবন এভাবে কেটেছে।

আকবর আলি: খুব ভালো লাগে আমার। এই যে গ্রন্থকীট থেকে গ্রন্থ-লেখক হতে পেরেছি, এটা না পারলে আমার মনে খেদ থেকে যেত যে আমি কাজটি করতে পারিনি।

আকবর আলি: আমিও এখনো ভালো বইয়ের সন্ধান পেলে কিনে ফেলি। সব তো পড়া হয়ে ওঠে না, হয়তো বইয়ের নির্যাসটা নেওয়ার চেষ্টা করি। আবার যেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়, সেটা লাইন বাই লাইন পড়ার চেষ্টা করি। আমার প্রথম জীবনে যেসব বই সংগ্রহ করেছিলাম—ছাত্রাবস্থাতেই, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সেই বইগুলো হারিয়ে যায়। এরপর পেশাগত কারণে আমেরিকা-কানাডা-বাংলাদেশে আসা-যাওয়া করেছি, তাতেও অনেক বই হারিয়ে গেছে। এর পরও প্রায় হাজার পাঁচেক বই আমার কাছে জমা হয়েছিল। শুনে খুশি হবেন যে বইগুলো আমি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়কে দান করে দিয়েছি। তারা সেটা গ্রহণ করেছে। আমার মনে হয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রতিষ্ঠান হবে। তাদের লাইব্রেরি এই বইগুলো গ্রহণ করায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি। বইগুলো হয়তো এখনকার অনেক গবেষক ও লেখকের কাজে দেবে।

আকবর আলি: এখনকার মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি শিক্ষিত হচ্ছে। তারপরও সবাই কিন্তু সমানভাবে বই পড়ে না। কিছুসংখ্যক মানুষ বই পড়েন এবং যারা বই পড়েন, তাদের বেশির ভাগ গবেষণার জন্যই পড়েন। তবে যেটা দেখা যায়, যাঁরা ঐতিহাসিক বিষয়ে গবেষণা করেন না, তাঁরা ছাড়া অন্যরা পুরোনো বই খুব বেশি খোঁজ করেন না। অর্থনীতি-বিষয়ক পুরোনো বই পড়েন, যখন অর্থনীতিবিদেরা বৃদ্ধ হয়ে যান। বেশির ভাগ বৃদ্ধ অর্থনীতিবিদ জীবনের শেষ প্রান্তে এসে অর্থনৈতিক চিন্তার ইতিহাস সম্পর্কে বই লেখেন। অর্থাৎ কারা কারা আগে চিন্তা করেছে, কেন চিন্তা করেছে—সেটা বোঝার চেষ্টা করেন। আমার মনে হয়, অর্থনীতির মতো হয়তো সোশিওলজি বা অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রেও এই একই ব্যাপার।

আকবর আলি: এটা আমার সারা জীবনের দুঃখ। এটাই আমার জীবনের একমাত্র হিপোক্রেসি। আমি বিশ্বাস করতাম সমাজতন্ত্রে। এখনো বিশ্বাস করি, দুর্বল মানুষকে সহায়তা করা দরকার। সমাজের অর্থনীতিতে কোনো জনগোষ্ঠীর অনগ্রসর থাকা উচিত নয়। কিন্তু তাদের জন্য আমি যথেষ্ট কাজ করতে পারিনি। শুধু যে করতে পারিনি, তা-ও নয়। যখন করতে পারতাম, তখন মনে হয়েছে যে এটা করলে আমার সিগারেট খাওয়ার কী হবে, আমার বই পড়ার কী হবে, আমার খাওয়া-দাওয়ার কী হবে? এই সব চিন্তা করে আমি সরাসরি সমাজতান্ত্রিক রাজনীতিতে যেতে পারিনি। আমার যেসব বন্ধুবান্ধব সরাসরি সমাজতন্ত্রের লড়াইয়ে যুক্ত হয়েছে, যেমন শামসুজ্জোহা মানিক, সে সরাসরি চলে গিয়েছিল লড়াই করতে। আমার ধারণা, ইচ্ছা করলেই সে পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সার্ভিসে একজন কর্মকর্তা হতে পারত। কিন্তু সব ছেড়ে দিয়ে সে চলে গেছে সমাজতন্ত্র করতে। হয়তো পারেনি, কিন্তু সেটা নিয়ে সে কাজ করেছে। এটাই তার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব।

আকবর আলি: কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমি সফল হয়েছি। কিন্তু সব ক্ষেত্রে তো আমি সফল হইনি। অতি সামান্য ক্ষেত্রে হয়তো প্রভাব রাখতে পেরেছি। কিন্তু যদি সত্যিকার অর্থে পরিবর্তন আনতে হয়, তাহলে সামগ্রিকভাবে পরিবর্তন করতে হবে। সেই সামগ্রিক পরিবর্তনের কোনো প্রয়াস বাংলাদেশ কখনো দেখিনি।

আকবর আলি: হয়তো রোমান্টিকতা। আমার মনে হয় যে হায়দার আকবর খান রনো সারা জীবন মানুষের মুক্তির পেছনে সংগ্রাম করে গেছেন। তাঁকে আমি শ্রদ্ধা করি। তাঁর জীবনের জন্য আমার ঈর্ষা হয়। আমি তো অমনটা হতে পারিনি। আমি শামসুজ্জোহার মতো হতে পারিনি, রনোর মতোও হতে পারিনি।

আকবর আলি: তাঁরা তাদের কাজ করেছে। আমি আমার কাজ করেছি। একটা সমাজ গঠনে বহু ধরনের উপাদান লাগে। শামসুজ্জোহা বা রনো যে ধরনের উপাদান দিয়েছেন, সেটাও আমাদের সমাজের জন্য প্রয়োজন। আমি যা করেছি, হয়তো সেটাও সমাজকে উপকৃত করতে পারে।

আকবর আলি: শুধু তা-ই নয়। আমাদের বামপন্থীদের প্রধান দুর্বলতা হলো, সবাই লেনিন হতে চায়। সেটা তো সম্ভব নয়। এই দুর্বলতার জন্যই কদিন পরপর দল ভাঙে। যদি চারজন কর্মী থাকে, সেটা ভেঙে দুটি দল হয়ে যায়। দেখুন, এখনো দল ভাঙছে। সবাই নেতা হতে চায়।

আকবর আলি: সমাজতন্ত্র মানে লেনিন যে ধরনের রাষ্ট্র বলেছিলেন, সেটা নয়। সমাজতন্ত্র মানে সাধারণ মানুষ যে সমাজ পরিচালনা করবে, যেখানে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। এই অর্থে যে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন, সেটি হয়তো উত্তর আমেরিকাতে শুরু হবে। তারা নতুন নতুন কৌশল দেখাবে। কীভাবে হবে? যেমন ধরা যাক সবকিছু সমাজতান্ত্রিক না হলেও চিকিৎসাব্যবস্থা রাষ্ট্রকে পরিচালনা করতে হবে। বেকারদের সমস্যাও রাষ্ট্রকে সমাধান করতে হবে। শিক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকে। এ ধরনের বিষয়গুলো সামনে আসবে।

আকবর আলি: এ ধরনের সমাজের দিকে আমরা যাব। কিন্তু সেটার বিপক্ষে এখনো বিরাট শক্তি কেন্দ্রীভূত রয়েছে। উত্তর আমেরিকা থেকেই হয়তো এটার ভাঙন শুরু হবে।

আকবর আলি: আপাতদৃষ্টে এখন মনে হয় যে দেশের পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। কিন্তু আমার মনে হয়, আমরা আসলে একটা পরিবর্তিত পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। ভেতরে ভেতরে পরিবর্তন ঘটছে। আমাদের এখানেও হয়তো আগামী ২০-৩০ বছরে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আসবে। তবে আজ কিংবা কাল পরিবর্তন হয়ে যাবে—এমনটি আশা করা বোধ হয় ঠিক হবে না।

আকবর আলি: সমাজের সব স্তরের মানুষকে দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে।

আকবর আলি: নাগরিক সমাজ একা কিছু করতে পারবে না। রাজনৈতিক দলগুলোকেও নাগরিক সমাজের সঙ্গে একত্রে কাজ করতে হবে। ছাত্র, তরুণ ও বুদ্ধিজীবী সমাজ—সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

আকবর আলি: এটা যে শুধু আমরাই তৈরি করতে পারব, তা নয়। পরিবেশও আমাদের বাধ্য করবে।

আকবর আলি: অবশ্যই যাঁরা লেখক–চিন্তক–গবেষক, তাঁদের এ বিষয়ে চিন্তা করতে হবে। আরও লিখতে হবে। ভাবতে হবে। গবেষণা ও অনুসন্ধান করতে হবে।

আকবর আলি: মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য আমরা অত্যন্ত গর্বিত। এ জন্য গর্বিত নয় যে বাংলাদেশ হয়েছে বলে আজ অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি করেছি বা আমাদের লোকজন দেশ শাসন করছে। বরং আমি এ কারণে গর্বিত যে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বাধীনতার চেয়ে বড় অর্জন মনে হয় কিছু হতে পারে না। যেহেতু মুক্তিযুদ্ধ আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, সে জন্য আমি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য সব সময় গর্ব বোধ করি। তবে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের মধ্যে বিভিন্ন আন্তরাজনীতিক কোন্দল ছিল; অনেক সমস্যা ছিল, যেগুলো আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে অসুবিধা সৃষ্টি করেছে। এসব সত্ত্বেও আমি মনে করি যে বাঙালি জাতির জীবনের সবচেয়ে বড় অধ্যায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

উত্তর: এটা বলা মুশকিল হবে। আমার কাছে একটি সেরা বই হলো আমার শিক্ষক স্কট গর্ডনের দ্য হিস্ট্রি অ্যান্ড ফিলসফি অব সোশ্যাল সায়েন্স। তিনি তাঁর সারা জীবন গবেষণা করে সমাজবিদ্যা সম্পর্কে এই বইটি লিখে গেছেন। আর যদি বাংলা বইয়ের কথা বলি, তাহলে বলব অন্নদাশঙ্কর রায়ের সব বইয়ের কথা। কারণ, অনেক বিষয় সম্পর্কে লিখতে গিয়ে আমি শুধু অন্নদাশঙ্করের ভাবধারা দিয়েই প্রভাবিত হয়েছি তা নয়, তাঁর বাক্যবিন্যাস, যে সমস্ত পরিভাষা তিনি প্রয়োগ করেছেন, সেগুলো আমি অনুসরণ করেছি।

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’ থেকে শুরু করে শেষ শয্যায় লেখা ‘তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ করি’—এই সব কবিতা।

উত্তর: আমি যে শুধু সেরা কবিতেই পড়ি, তা নয়। সব ধরনের কবিতাই আমি পড়ি।

উত্তর: ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে/ এ জীবন পুণ্য করো দহন-দানে’।

উত্তর: আমি তো রবীন্দ্রনাথের যুগের মানুষ। আমার যুগের বেশির ভাগ লোক স্বীকার করুক না-করুক, রবীন্দ্রনাথ দ্বারা গভীরভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।

উত্তর: কোনটা রেখে কোনটা যে বলি। প্রথমেই বলতে হবে জহির রায়হানের জীবন থেকে নেয়ার কথা। মুক্তিযুদ্ধের আগে যখন সারা দেশের মানুষ আন্দোলন–সংগ্রামে মুখর ছিল, সে সময় সিনেমাটি সবাইকে খুব উৎসাহিত করেছিল।

উত্তর: সত্যজিৎ রায়ের সিনেমা, বিশেষ করে অপু ট্রিলজি—পথের পাঁচালি, অপরাজিত ও অপুর সংসার।

উত্তর: তাঁদের অনেক সিনেমা আমি দেখেছি। আমার কাছে তাঁরাই সেরা অভিনেতা–অভিনেত্রী।

উত্তর: হ্যাঁ। গন উইথ দ্য উইন্ড–এর কথা এখনো মনে পড়ে। নায়ক ক্লার্ক গেবল, নায়িকা ভিভিয়ান লেইয়ের অভিনয় চোখে লেগে আছে।