ক্রেস্টের স্বর্ণের ১২ আনাই মিছে!

>

স্বাধীনতাযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশি বন্ধু ও সংগঠনকে কয়েক পর্বে সম্মাননা জানানো হয়। ২০১২ সাল থেকে শুরু হওয়া এই সম্মাননায় তাঁদের সোনার ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছিল। এই ক্রেস্টে ব্যবহৃত সোনার মধ্যে খাদের পরিমাণই ছিল বেশি। বিষয়টি নিয়ে ৬ এপ্রিল প্রথম আলো ‘ক্রেস্টের স্বর্ণের ১২ আনাই মিছে!’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। 

.
.

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অবিস্মরণীয় অবদানের জন্য বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়ক, রাজনীতিবিদ, দার্শনিক, শিল্পী-সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, বিশিষ্ট নাগরিক ও সংগঠনকে সম্মাননার সময় দেওয়া ক্রেস্টে যে পরিমাণ স্বর্ণ থাকার কথা ছিল, তা দেওয়া হয়নি। আর ক্রেস্টে রুপার বদলে দেওয়া হয় পিতল, তামা ও দস্তামিশ্রিত সংকর ধাতু।
জাতীয় মান সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরীক্ষায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সাত পর্বে দেওয়া ওই সম্মাননার তৃতীয় পর্বে ৬১ ব্যক্তি ও সংগঠনের জন্য তৈরি করা ক্রেস্ট সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অর্থাৎ​ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় বিএসটিআইয়ের কাছে পরীক্ষার জন্য পাঠায়।
বিদেশিদের সম্মাননা প্রদান-সংক্রান্ত নীতিমালায় বলা আছে, প্রতিটি ক্রেস্টে এক ভরি (১৬ আনা) স্বর্ণ ও ৩০ ভরি রুপা থাকবে। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে করা বিএসটিআইয়ের পরীক্ষায় দেখা গেছে, এক ভরির (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) জায়গায় ক্রেস্টে স্বর্ণ পাওয়া গেছে মাত্র ২ দশমিক ৩৬৩ গ্রাম (সোয়া তিন আনা)। এক ভরির মধ্যে প্রায় ১২ আনাই নেই। আর রুপার বদলে ৩০ ভরি বা ৩৫১ গ্রাম পিতল, তামা ও দস্তামিশ্রিত সংকর ধাতু পাওয়া গেছে।

জানতে চাইলে বিএসটিআইয়ের উপপরিচালক তাহের জামিল প্রথম আলোকে এই পরীক্ষার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় বিএসটিআইয়ের পরীক্ষার প্রতিবেদন পেলেও ক্রেস্ট সরবরাহকারীসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

বরং একটি বিলে দেখা গেছে, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে একটি ক্রেস্টের জন্য অন্যান্য খরচের সঙ্গে দুই ভরির বেশি (২৩ দশমিক ৫ গ্রাম) স্বর্ণ ও ৩০ ভরি (বিলে লেখা গ্রাম, কিন্তু দাম ভরির) রুপার দাম পরিশোধ করা হয়েছে।

উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান ছাড়া এই ক্রেস্ট কেনা হয়েছিল। ৩৩৮টির মধ্যে ৬০টি ছাড়া বাকি সব ক্রেস্ট সরবরাহ করেছে এমিকন নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তবে ৬০টি ক্রেস্ট কোন প্রতিষ্ঠান সরবরাহ করেছে—মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে তা জানা সম্ভব হয়নি।

ক্রয় কমিটিতে ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) গোলাম মোস্তফা, উপসচিব এনামুল কাদের খান ও জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব বাবুল মিয়া।

অনুমোদিত নকশা অনুসারে ক্রেস্ট তৈরির পর তাতে দেওয়া স্বর্ণ এবং রুপার মান ও পরিমাণ যাচাই করার জন্য তিনটি নমুনা পাঠানো হয় বিএসটিআইতে। নথিপত্রে দেখা যায়, সম্মাননা প্রদানের তৃতীয় পর্বে ২০১২ সালের ১৮ অক্টোবর এই পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় এবং ওই দিনই প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। তার দুই দিন পর ২০ তারিখে ৬১ জন বিদেশি অতিথির হাতে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।

এরপর আরও চার পর্বে যথাক্রমে ৬২, ১, ৬৯ ও ৬০ ব্যক্তি-সংগঠনকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়। সেগুলোর ক্ষেত্রে একইভাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল কি না, তা মন্ত্রণালয় থেকে জানা সম্ভব হয়নি।

তবে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বলেছে, একবারই তিনি পরীক্ষার বিষয়ে জেনেছেন। কিন্তু সময় না থাকায় ক্রেস্ট পরিবর্তন করতে পারেননি। এর আগে প্রথম দুই পর্বে যথাক্রমে একজন এবং ৮৪ ব্যক্তি ও সংগঠনকে সম্মাননা দেওয়া হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে সরকার স্বাধীনতার চার দশক পূর্তি উপলক্ষে সাত পর্বে বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু স্বনামধন্য ৩৩৮ বিদেশি ব্যক্তিত্ব ও সংগঠনকে অন্যান্য উপহারসামগ্রীর সঙ্গে একটি করে ক্রেস্ট দেয়। তিন শ্রেণিতে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। বাংলাদেশ স্বাধীনতা সম্মাননা, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা ও মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা হিসেবে সবার হাতে একটি করে ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর মধ্যে স্বাধীনতা সম্মাননা পান একজন, ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী (মরণোত্তর)। ভারতের বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিসহ ১৩ বিশিষ্টজনকে দেওয়া হয় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা। বাকি সব ব্যক্তি ও সংগঠনকে দেওয়া হয় মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা।

ইন্দিরা গান্ধীকে দেওয়া স্বাধীনতা সম্মাননা ক্রেস্টটি ২০০ ভরি স্বর্ণ দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। এটিও সরবরাহ করে এমিকন। ২৪ ক্যারেটের (বিশুদ্ধতার সূচক) স্বর্ণ দিয়ে এটি তৈরি করার কথা ছিল। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় পরমাণু শক্তি কমিশনে ওই ক্রেস্টটি পরীক্ষা করে দেখতে পায়, তাতে ১০ দশমিক ১১ ভরি স্বর্ণ রয়েছে। বাকিটা খাদ। ফলে এটি আবার সরবরাহকারীকে দিয়ে নতুন করে করানো হয়েছিল। সর্বশেষ পরীক্ষায় তাতে ২৩ দশমিক ৫ ক্যারেটের স্বর্ণ পাওয়া যায়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম ও মন্ত্রণালয়ের তখনকার সচিব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিএসটিআইয়ের পরীক্ষার ফলাফলের বিষয়ে জানতে চাইলে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এমিকনের মালিক মীর দাউদ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, গলানোর সময় স্বর্ণের সঙ্গে রুপা মিশে গেছে। এ জন্য বিএসটিআইয়ের পরীক্ষায় স্বর্ণের পরিমাণ কম এসেছে। তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, বিএসটিআই স্বর্ণগুলো মেশিনে তাপ দিয়ে গলিয়েছে। গলানোর পর পানি বের হয়েছে এবং তার সঙ্গে স্বর্ণ চলে গেছে। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশের কোথাও এসব স্বর্ণ সঠিকভাবে পরিমাপের কোনো যন্ত্র নেই। স্বর্ণ গলানোরও কোনো নিয়ম নেই।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান আমিনুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গলানো হলে বড়জোর ১ শতাংশ স্বর্ণ কমবেশি হতে পারে।

ক্রয় কমিটির অন্যতম সদস্য বাবুল মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্বর্ণ তো কোটিং করা হয়েছে। কোটিংকে আলাদা করে পরীক্ষা করা হলে পুনরায় স্বর্ণ পাওয়া দুষ্কর।’

মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে জাতীয় কমিটির সিদ্ধান্তে ক্রয় কমিটি করে ‘কোটেশন’ পদ্ধতিতে এই কেনাকাটা করা হয়।

কাজটি কীভাবে পেলেন—জানতে চাইলে সরবরাহকারী দাউদ আহমেদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা সরাসরি কাজ পেয়েছি। শেষ সময়ে এসে কাজটি পাওয়ায় দিনরাত কাজ করতে হয়েছে। যেমন ১০ দিন আগে বলেছে, ৮০টি পদক দাও। আবার ১৫ দিন পর বলছে, আরও ৫০টা দাও।’ তিনি বলেন, ‘আমরা বরং স্বর্ণ অনেক বেশি দিয়েছি, এ জন্য পরীক্ষায় স্বর্ণ পাওয়া গেছে।’

সরবরাহ করা ক্রেস্টের প্রতিটির জন্য আলাদা বিল পেয়েছেন, নাকি একসঙ্গে বিল পেয়েছেন—জানতে চাইলে দাউদ আহমেদ বলেন, ‘প্রতিবার সরবরাহ করার পরই এক মাসের মধ্যে আমরা বিল পেয়েছি।’

 সব কটি ক্রেস্টের জন্য প্রায় সাড়ে পাঁচ শ ভরি স্বর্ণ কার কাছ থেকে কিনলেন জানতে চাইলে দাউদ আহমেদ বলেন, ‘তাঁতীবাজার থেকে কিনেছি।’ কোন দোকান থেকে কিনেছেন—এ প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট কোনো জবাব দেননি তিনি। স্বর্ণ কেনার রসিদ আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনেক দিন আগের কাগজপত্র। তাই খুঁজে পাব কি না, সন্দেহ।’

তবে শুরুতে দাউদ আহমেদের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তাঁর প্রতিষ্ঠানের বনানী কার্যালয়ে গেলে সব কাগজপত্র দেখাবেন বলে জানান। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার সেখানে গেলে তিনি আর কোনো কাগজপত্র দেখাননি। বলেছেন, অনেক পুরোনো কাগজপত্র, এখন খুঁজে পাওয়া যাবে না।

২০১১ থেকে ২০১৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছিল। তখন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন এ বি তাজুল ইসলাম। বিএসটিআইয়ের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ইন্দিরা গান্ধীর ক্রেস্টের বিষয়টি তদারক করেছি। কারণ, ওটা পুরোটাই স্বর্ণ ছিল। অন্যগুলোর বিষয় নজর দিতে পারিনি।’

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওই সময়ের সচিব মিজানুর রহমান বলেন, ‘সম্মাননার ক্রেস্ট বিএসটিআইয়ে পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়েছিল কি না, তা আমার জানা নেই। তবে বিএসটিআইয়ের প্রতিবেদনের যে তথ্য আপনি বললেন, তাতে এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক।’

এ-সংক্রান্ত ক্রয় কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) গোলাম মোস্তফার সঙ্গে কথা বলতে তাঁর কক্ষে গেলে তিনি সচিবের সঙ্গে বৈঠক আছে বলে বেরিয়ে যেতে উদ্যত হন। পাঁচ মিনিট সময় চেয়ে এই প্রতিবেদক তাঁর কাছে ক্রেস্টের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘কোন সচিবের সময় এটা হয়েছিল, বলেন তো? বিল কত দেওয়া হয়েছিল? কত ভরি স্বর্ণ দেওয়ার কথা ছিল? ঠিকই দিয়েছিল বোধ হয়। তবে স্বর্ণ একটু কমবেশি হতে পারে। কিন্তু এত কম হবে কী করে!’ দরপত্র আহ্বান না করার কারণ জানতে চাইলে গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘তাড়াহুড়োয় সম্ভব হয়নি।’

 তবে ক্রয় কমিটির সদস্য ও জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব বাবুল মিয়া বলেন, ‘বিএসটিআইয়ের মান পরীক্ষায় স্বর্ণের পরিমাণ কম দেখা যাওয়ায় আমাদের কর্তৃপক্ষ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বসেছিল। সরবরাহকারী বলেছিলেন, সোনা গলানোর পর ছাঁচে লাগানো হলে পরিমাণে একেবারে হুবহু পাওয়া সম্ভব নয়। আমরা বলেছি, যা দেওয়ার কথা ছিল, তা-ই যেন দেওয়া হয়।’

কিন্তু সরবরাহকারী দাউদ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিএসটিআইয়ের পরীক্ষার পর তারা (মন্ত্রণালয়) আমার কাছে বিষয়টি জানতে চেয়েছে। আমি বলেছি, গলানোর পর রুপার সঙ্গে স্বর্ণ মিশে গেছে। তবে তখন আর সময় ছিল না বলে ক্রেস্ট বদল করারও সুযোগ ছিল না।’

একটি বিল: ক্রেস্ট সরবরাহকারী এমিকনকে মন্ত্রণালয়ের পরিশোধ করা একটি বিলে দেখা যায়, একটি ক্রেস্টের জন্য তাদের ২৩ দশমিক ৫ গ্রাম স্বর্ণ আর ৩০গ্রাম রুপার বিল দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নীতিমালা অনুযায়ী স্বর্ণ দেওয়ার কথা ছিল ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম।

ওই বিলে ২৩ দশমিক ৫ গ্রাম স্বর্ণ এক লাখ ১৬ হাজার ৩২৫ টাকা, ৩০ গ্রাম রুপার জন্য ৮৭ হাজার টাকা, ধাতব মানপত্র পাঁচ হাজার টাকা, রুপা গলানো ও খাঁচ তৈরি বাবদ ১৫ হাজার টাকা, ক্রেস্ট রাখার জন্য জামদানির বর্ডার দেওয়া কাঠের বাক্স বাবদ ১৫ হাজার টাকা, স্বর্ণ ও রুপা প্রক্রিয়াকরণ বাবদ ২৫ হাজার টাকা মিলিয়ে মোট দুই লাখ ৬৩ হাজার ৩২৫ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।

দুই ভরি স্বর্ণের বিল কেন দেওয়া হলো, জানতে চাইলে ক্রয় কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঠিক বুঝতে পারছি না। নথিপত্র দেখে বলতে হবে।’ দেখে বলার জন্য অনুরোধ করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে খোঁজখবর শুরু হওয়ায় নথিপত্র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাঁর কাছে নিয়ে রেখেছেন।

এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আরেকজন কর্মকর্তার কাছে সহযোগিতা চাইলে তিনি সংশ্লিষ্ট শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে দেখিয়ে দেন। ওই কর্মকর্তাও জানান, এ-সংক্রান্ত তথ্য জানানো নিষেধ আছে।

জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমিও কিছুটা শুনেছি এ বিষয়ে। প্রমাণিত হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে যে-ই হোক।’

আরও পড়ুন :