তাঁর মতো মানুষ আমি দ্বিতীয়টি দেখিনি

জানুয়ারি ১০, ১৯৭২: লন্ডন থেকে ঢাকায় আসার পথে ব্রিটিশ সরকারের বিশেষ বিমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশে ভারতীয় কর্মকর্তা ভেদ মারওয়া
জানুয়ারি ১০, ১৯৭২: লন্ডন থেকে ঢাকায় আসার পথে ব্রিটিশ সরকারের বিশেষ বিমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশে ভারতীয় কর্মকর্তা ভেদ মারওয়া
ভেদ মারওয়ার জন্ম ১৯৩২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অবিভক্ত ভারতের পেশোয়ারে। বাবা ফকির চাঁদ দেশভাগের পর ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। ভেদ মারওয়া চাকরিজীবনে দিল্লির পুলিশ কমিশনার, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মহাপরিচালক, জম্মু-কাশ্মীর, বিহারের উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন রাজ্যে সরকারের বেশ কিছু বড় পদে কৃতিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন মেয়াদের মণিপুর (১৯৯৯-২০০৩), মিজোরাম (২০০০-২০০১) ও ঝাড়খন্ড (২০০৩-২০০৪) রাজ্যের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকালে লন্ডন থেকে ঢাকায় ফেরার পথে বিমানে সফরসঙ্গী ছিলেন। ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ দিল্লিতে এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে ভেদ মারওয়ার সঙ্গে পরিচয় হয় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের। দীর্ঘ যাত্রাপথে খুব কাছ থেকে দেখা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে তাঁর অনুভূতি তুলে ধরেন ভেদ মারওয়ার। ২০০৯ সালের ১০ জানুয়ারি প্রথম আলোর সাপ্তাহিক ক্রোড়পত্র ছুটির দিনেতে প্রকাশিত সেই সাক্ষাৎকারমূলক স্মৃতিচারণা থেকে কিছু অংশ পুনর্মুদ্রিত হলো।

১৯৭২ সালে আমি লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি হিসেবে কর্মরত ছিলাম। একদিন সকালে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনের কাছ থেকে আমি একটি বার্তা পেলাম। বার্তায় আমাকে দ্রুত দিল্লিতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে বলা হলো। কী এমন জরুরি ঘটনা ঘটল এবং কেন আমাকে দিল্লিতে যেতে হবে, এটা ভেবে আমি কিছুটা বিস্মিত হলাম। আমাদের অনেকের কাছে শেখ মুজিব ছিলেন ওই সময় ‘হিরো’। ব্রিটিশ গণমাধ্যমে তখন শেখ মুজিব ছাড়া কোনো কথা নেই। পাকিস্তানি কারাগার থেকে সদ্য মুক্তি পেয়ে তিনি লন্ডনে আসছেন। যদিও তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন, এটা কেউ জানত না। তাই আমাকে বলা হলো, ‘ভারতীয় সরকার চাচ্ছে, শেখ মুজিব ঢাকায় যাওয়ার পথে আপনি ব্রিটিশ সরকারের দেওয়া বিশেষ বিমানে তাঁকে সঙ্গ দেবেন।’

এক সন্ধ্যায় লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর থেকে আমরা একটা বিমানে চাপলাম। এটা হোপিং ফ্লাইটের বিশেষ একটা বিমান। আমাদের গন্তব্যপথ ছিল হিথরো থেকে প্রথমে নিকোশিয়া। সেখান থেকে বাহরাইন। বাহরাইন থেকে দিল্লি হয়ে ঢাকা।
পথে নিকোশিয়ায় আমরা যাত্রাবিরতি করি। পরে বাহরাইন হয়ে দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছার পর শেখ মুজিবকে ব্যাপক সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে তিনি জনসমাবেশে যোগ দেন। সেখানে রাষ্ট্রপতি ভি ভি গিরি ও প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ছিলেন।
বিমানে আমরা চার-পাঁচজন লোক ছিলাম। শেখ মুজিব, কামাল হোসেন, তাঁর স্ত্রী, আমি এবং লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের আরেকজন কর্মকর্তা। যত দূর মনে পড়ে তাঁর নাম ছিল এস ব্যানার্জি। পরে জানতে পেরেছি তিনি শশাঙ্ক শেখর ব্যানার্জি। বিস্ময়ের আরেকটি ব্যাপার ছিল। দীর্ঘদিন কারাবন্দী থাকা সত্ত্বেও শেখ মুজিবকে বেশ চাঙা দেখাচ্ছিল। ওই সময় তিনি ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে ওপরে (তাঁকে দেখে তা-ই মনে হচ্ছিল)। সবকিছুতেই তাঁর মধ্যে প্রচণ্ড উত্সাহ কাজ করছিল। এই অবস্থায় তিনি আমাকে তাঁর পাশের আসনে বসার জন্য ডাকলেন। আমাদের মধ্যে দ্রুত একটা বোঝাপড়ার ব্যাপার তৈরি হয়ে গেল। একজন তরুণ হিসেবে শেখ মুজিবের মতো ব্যক্তির পাশে বসার অভিজ্ঞতা আমাকে রোমাঞ্চিত করেছিল। তখন শেখ মুজিবকে কথায় পেয়ে বসেছিল। কামাল হোসেন ও আমার সঙ্গে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে টানা কথা বললেন। তবে এ মুহূর্তে আমার সব কথা ঠিকঠাক মনে পড়ছে না। এটা সম্ভবও না। কেননা, সেটা ৩৬ বছর আগের কথা। তবে কিছু বিষয় এখনো আমার চোখের সামনে ভাসে, যা ওই সময় আমার মধ্যে গভীর ছাপ ফেলেছিল।
প্রথমত, শেখ মুজিবের ব্যক্তিত্ব। আমি যেমনটা বলেছি, তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক মানুষ। আশপাশের সবার সঙ্গে দ্রুত হৃদ্যতা গড়ে তুলতে সক্ষম ছিলেন তিনি। তিনি আমার সঙ্গে কেবল কথা বলার জন্যই কথা বলেননি। তাঁর বলার ভঙ্গি ছিল অত্যন্ত আন্তরিক। যেন আমি তাঁর কত দিনের চেনা।
দ্বিতীয়ত, তিনি নিজেকে নিয়ে চিন্তিত ছিলেন না। তাঁর যত চিন্তা ছিল বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে। পাকিস্তানের কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি জানতেন না, তাঁর ভাগ্যে কী আছে। কী ঘটতে পারে, এটা নিয়েও তাঁর মধ্যে চিন্তার ছাপ ছিল না। বন্দিজীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি কোনো কথা বলেননি। তাঁর কথাবার্তায় ঘুরেফিরে আসছিল সদ্য জন্ম নেওয়া বাংলাদেশের নানা সমস্যার কথা।
আমাকে বলা কথাগুলো ঢাকায় অবতরণের পর রেসকোর্স ময়দানে দেওয়া সেই বিখ্যাত ভাষণেও তিনি বলেছিলেন। সুতরাং আমার মনে হয়েছিল বিমানে ভ্রমণের সময়ই তিনি বক্তৃতায় কী বলবেন, তা মনে মনে গুছিয়ে রেখেছিলেন। তাঁর ওই ভাষণ শুনলেই আপনি বুঝতে পারবেন আমাদের মধ্যে কী কথা হয়েছিল। তাঁর আরও কয়েকটি বিষয় আমার মনে গভীর দাগ কেটেছিল। বিষয়গুলো ঢাকা থেকে ফেরার পর ওই সময় প্রধানমন্ত্রীর (ইন্দিরা) মুখ্য সচিব পি এন হাকসারকে জানিয়েছিলাম।
ওই সময় শেখ মুজিব বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিরাজমান কয়েকটি সমস্যা চিহ্নিত করেছিলেন। ভারতের প্রতি তাঁর বন্ধুভাবাপন্ন অনুভূতি ছিল। তিনি মূলত দুটি বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। প্রথমত, বাংলাদেশে জনসংখ্যার আধিক্য। শেখ মুজিব বলেছিলেন, এসব মানুষ কোথায় যাবে? এখনো যেসব স্থানে জনসংখ্যার আধিক্য দেখা দেয়নি, কেবল সেসব স্থানই তাদের গন্তব্য হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশের উচিত পরস্পরকে সহযোগিতা করা। স্বাভাবিকভাবেই ওই মুহূর্তে আমি এ ব্যাপারে নিশ্চুপ ছিলাম। আমাকে চুপচাপ থাকতে দেখে মুজিব নিজেই নিজের প্রশ্নের উত্তর দিলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের আর্থিক উন্নয়নে ভারতকে ব্যাপকভাবে সহায়তা করতে হবে।
একপর্যায়ে তিনি সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পরিচয় কী হবে তা নিয়ে কথা বলা শুরু করেন। আমাকে উদ্দেশ করে শেখ মুজিব বলছিলেন, ‘দেখো, আমরা প্রথমে বাঙালি। এটা বাংলাদেশের বহুস্তরবিশিষ্ট পরিচয়ের একটি। এসব স্তরের মধ্যে শীর্ষে হলো বাঙালি পরিচয়। আমরা এ পরিচয় নিয়ে অত্যন্ত গর্বিত। এ পরিচয়কে ভিত্তি করেই স্বাধীনতার সব সংগ্রাম হয়েছে। দ্বিতীয়ত, (আমার যদি ভুল না হয়) আমাদের মুসলিম পরিচয়।’ স্বীকার করতে হবে, তাঁর এ কথায় আমি কিছুটা বিস্মিত হয়েছিলাম। তৃতীয়ত, আঞ্চলিক পরিচয়। তিনি বলছিলেন, এ অঞ্চলের সমস্যাগুলো খুব বেশি অভিন্ন। পরস্পরের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা ছাড়া এসব সমস্যা সমাধানের অন্য কোনো উপায় নেই। আপনি কল্পনা করতে পারেন, একজন মানুষ কতটা আত্মবিশ্বাসী হলে দায়িত্বভার গ্রহণের আগেই এমন সব কথা বলতে পারেন! তাঁর ব্যক্তিত্বের এই প্রখরতা আমার মধ্যে দাগ কেটেছিল।
শেখ মুজিব বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। তাঁর কথায় মনে হচ্ছিল পুরো বাংলাদেশটাই তাঁর হাতের মুঠোয়। যেন তিনিই ছিলেন ‘বাংলাদেশ’। তাঁর মধ্যে এমন একটা অনুভূতি ছিল। কেউ এটাকে ‘মেগালোমিনিয়া’ (অতি ক্ষমতাশালী ভাবার প্রবণতা) বলতে পারেন। তবে বিষয়টা চোখে লাগত না। কেননা, তিনি কথাগুলো বলছিলেন অত্যন্ত সাদাসিধেভাবে। তিনি বলছিলেন, ‘আমার মানুষ, আমার এটা, আমার ওটা।’ সবকিছুই ছিল শেখ মুজিব, শেখ মুজিব এবং বাকিরা। তিনি ছিলেনও তেমন একজন মানুষ।
দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছার পর তাঁকে ব্যাপক সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে আয়োজিত ছোট পরিসরে সংবর্ধনা জনসভায় তিনি বক্তৃতা করেন। দিল্লি বিমানবন্দরে আমাদের বিমান অবতরণ করে বিমানবন্দরের টেকনিক্যাল এরিয়ায়, যেখানে কেবল রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানদের অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়। তাঁকে একজন প্রধানমন্ত্রী, ভিআইপি, রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানের মতোই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
ইন্দিরা গান্ধী তাঁকে অত্যন্ত আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছিলেন। আমি নিজেও তাঁর সঙ্গে টানা চার বছর কাজ করেছি। তিনি ছিলেন অত্যন্ত অন্তর্মুখী মানুষ। কোনো বিষয়ে সহসা অস্থির হতেন না। কথাও বলতেন কম। খুব কম সময়েই তাঁকে দেখেছি বিদেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের মন্তব্যের প্রতি-উত্তর দিতে। অনেক সময় তাঁরা বুঝতেও পারতেন না ইন্দিরা গান্ধী তাঁদের কথা শুনছেন কি না। তাঁর কাছ থেকে কোনো কিছু বের করা ছিল অত্যন্ত কঠিন একটা কাজ। তবে শেখ মুজিবের বেলায় ইন্দিরা গান্ধী ছিলেন পুরো উল্টো। এটা ঠিক, মুজিবকে স্বাগত জানানোর ক্ষেত্রে গান্ধীর মধ্যে অতি-উত্সাহ কাজ করেনি। কিন্তু বিষয়টি এমন ছিল, যেন পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে কত দিন পর দেখা হলো! গান্ধীর এই আন্তরিক ভঙ্গিটি ছিল উল্লেখযোগ্য।
এরপর আমরা ঢাকায় আসি। ওই সময় ঢাকা বিমানবন্দরে কোনো কাস্টমস ছিল না, কোনো ইমিগ্রেশনও ছিল না। আমাকে থাকতে দেওয়া হলো হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে। এরপর হোটেলে এলেন ফারুক চৌধুরী। আমার যত দূর মনে পড়ে ফারুক চৌধুরী তখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রটোকল বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি আমাকে আবু সাঈদ চৌধুরীর বাসায় নিয়ে গেলেন। আবু সাঈদ চৌধুরী সে সময় মনোনীত রাষ্ট্রপতি ছিলেন। সেখানে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। বাংলাদেশের সব নেতা সেখানে হাজির ছিলেন। তাঁরা আমাকে দূরের কেউ মনে করেননি। আমার সামনেই তাঁরা সব বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন। আমি যে অন্য দেশের একজন, এটা তাঁরা মনেই করেননি।
এ কথাটা রেকর্ড থাকা দরকার যে আমি বাংলাদেশ সফর করেছিলাম। এটা বাংলাদেশের ইতিহাস বা আমার ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য নয়। এখানে আমাকে অবশ্যই একটা কথা বলতে হবে যে আমার সফর ছিল খুব সংক্ষিপ্ত। বিমানবন্দর থেকে আমি ইমিগ্রেশন অফিসে গেলাম স্ট্যাম্পের জন্য। সেখানে আমি নিজেই নিজের পাসপোর্টে স্ট্যাম্প লাগাই। নিজেই স্বাক্ষর করি। ওই পাসপোর্টটি এখনো আমার কাছে আছে। এই ছিল বিমানবন্দরের অবস্থা।
এখানে আরও কিছু বিষয় বলা দরকার। ভারতে প্রায়ই আমাকে অনেক জনসভায় যোগ দিতে হয়েছে। বিশেষ করে কংগ্রেস পার্টি যখন ভেঙে গেল, ইন্দিরা গান্ধীকে দল থেকে বাদ দেওয়া হলো, তখন ভারতজুড়েই অনেক জনসভা হয়েছে। ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে আমাকেও অনেক সভায় যেতে হয়েছে।
তবে ঢাকায় রেসকোর্স গ্রাউন্ডে যে জনসভা দেখেছি, এর আগে আমি এ রকম কোনো জনসভা দেখিনি এবং এটা ছিল এককথায় অবিশ্বাস্য! আর তাঁর বক্তৃতা ছিল সত্যিকার অর্থেই আবেগপ্রবণ এক বক্তৃতা।
এ রকম কোনো জনসমাবেশ আমি তার আগে দেখিনি। শেখ মুজিব ছিলেন সত্যিকারের সহজাত বক্তা। যে ভঙ্গিমায় তিনি বলা শুরু করলেন তাতে উপস্থিত সব মানুষ মোহিত হয়ে গিয়েছিল। এটা ছিল আমার দেখা সবচেয়ে বড় জনসমাবেশ। এমনকি তাঁর কথা শুনে আমি নিজেও আবেগপ্রবণ হয়ে উঠেছিলাম।
শেখ মুজিব ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে অত্যন্ত আশাবাদী ছিলেন। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়েও তিনি আশাবাদী ছিলেন।
আমার দীর্ঘ কূটনৈতিক জীবনে ভারতে এবং বাইরে অনেক বিদেশি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে শেখ মুজিব ছিলেন সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম একজন মানুষ। তাঁর মতো মানুষ আমি ভারত কিংবা অন্য কোনো দেশে আর দ্বিতীয়টা দেখিনি।