সেই শুরু

১১ বছর আগে উৎসাহের আবহেই শুরু হয়েছিল আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি

.
.

ইতিহাসের প্রথম টেস্ট অস্ট্রেলিয়া জিতেছে। ইতিহাসের প্রথম ওয়ানডেও। প্রথম টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচটাও জিতেছে এই অস্ট্রেলিয়াই। এই রেকর্ড কোনো দলই অস্ট্রেলিয়ার কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারবে না। টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি—কোনোটিরই প্রথম ম্যাচ তো আর হবে না!
টি-টোয়েন্টির জন্মই বিনোদনের ফেরিওয়ালা হিসেবে। ২০০৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে ইতিহাসের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিতেও মূর্ত ছিল সেই স্লোগান। রিকি পন্টিং করেছিলেন ৬২ বলে অপরাজিত ৯৮, অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেটে ২১৪। ১৭০ রানে অলআউট হয়ে নিউজিল্যান্ড ম্যাচটা হেরেছিল ৪৪ রানে। ভাবছেন, এ রকম একটা একপেশে ম্যাচে বিনোদিত হওয়ার মতো কী ছিল? সেটি ছড়িয়ে ছিল ম্যাচের আবহেই। কৃতিত্বটা নিউজিল্যান্ডেরই বেশি। ক্রিস কেয়ার্নস-হামিশ মার্শালরা এ ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন সেই আশির দশকের ক্রিকেটারদের সাজে। পুরোনো জার্সির সঙ্গে পুরোনো হেয়ারস্টাইলে মাঠে এসে চমকে দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড দল।
টুকরো-টাকরা মজা তো ছিলই। গ্লেন ম্যাকগ্রা যেমন আন্ডার-আর্ম বোলিং করতে গেলেন আর আম্পায়ার তাঁকে দেখিয়ে দিলেন লাল কার্ড। হাসি-আনন্দের সেই টি-টোয়েন্টিই এখন কী গুরুতর ব্যাপারই না হয়ে দাঁড়িয়েছে!
সংক্ষিপ্ত স্কোর

অস্ট্রেলিয়া
২০ ওভারে ২১৪/৫ (গিলক্রিস্ট ১, মাইকেল ক্লার্ক ৭, সাইমন্ডস ৩২, পন্টিং ৯৮*, মার্টিন ৩, ক্যাটিচ ৩০, হাসি ৩১*; টাফি ১/৫০, মিলস ৩/৪৪, কেয়ার্নস ১/২৮, উইলসন ০/৪৩, অ্যাডামস ০/৪০)।

নিউজিল্যান্ড
২০ ওভারে ১৭০ (ম্যাককালাম ৩৬, ফ্লেমিং ১৮, সিনক্লেয়ার ০, স্টাইরিস ৬৬, ম্যাকমিলান ৯, কেয়ার্নস ১, মার্শাল ৮, অ্যাডামস ৭, উইলসন ১৮, মিলস ০, টাফি ৫*; ব্রেট লি ১/২৬, ম্যাকগ্রা ২/৪৮, কাসপ্রোভিচ ৪/২৯, হোপস ১/২৩, সাইমন্ডস ১/৩৩, ক্লার্ক ০/১১)।
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৪৪ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রিকি পন্টিং।