৮৪ রানের লক্ষ্যে ৯ রানে ৩ উইকেট নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের

শুরুতেই ৩ উইকেট নেন খালেদএএফপি

প্রথম সেশনে ৪ উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় সেশনে বিনা উইকেটে পার করে দেওয়া—অ্যান্টিগা টেস্টে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ সেশনে ১৪.৫ ওভার ব্যাটিং করেই শেষ ৪ উইকেট হারিয়েছে তারা, কেমার রোচই নিয়েছেন এর ৩টি। ফলে ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন তিনি। সিরিজের প্রথম টেস্ট জিততে এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে করতে হবে ৮৪ রান।

রান তাড়ায় অবশ্য শুরুতেই খালেদ আহমেদের তোপে পড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৯ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়েছে তারা। ক্রেগ ব্রাফেট ও রেমন রিফার ক্যাচ দিয়েছেন নুরুল হাসানের হাতে, বোল্ড হয়েছেন এনক্রুমা বোনার।

চতুর্থ ইনিংসে এ মাঠে এখন পর্যন্ত রান তাড়া করতে নেমে হারের ঘটনা আছে একটিই। ২০১৯ সালে ভারতের দেওয়া ৪১৯ রান তাড়া করতে নেমে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ গুটিয়ে গিয়েছিল ১০০ রানেই। এ ছাড়া বাকি ৭ ম্যাচের দুইটিতে জিতেছে রান তাড়া করা দল, ড্র হয়েছে বাকি ৫টি।

ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় অর্ধশতক পান নুরুল
এএফপি

শেষ সেশনে বাংলাদেশের জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ ছিল দ্বিতীয় নতুন বল। রোচ জ্বলে ওঠেন সেটিই পেয়েই। দ্বিতীয় নতুন বলে তাঁর প্রথম ওভার সামলেছিলেন নুরুল, পরের ওভারে তুলে মারতে গিয়ে কাভারে ক্রেগ ব্রাফেটের হাতে ধরা পড়েন ৯৯ বলে ৬৩ রান করা সাকিব। তাঁর উইকেটের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের উল্লাসটাই বলে দিচ্ছিল, কত বড় বাধা হয়ে ছিলেন তিনি তাদের জন্য।

আরও পড়ুন

সাকিবের উইকেটে ভাঙে নুরুলের সঙ্গে তাঁর ২২১ বলে ১২৩ রানের জুটি। সব মিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে তাদের বিপক্ষে যে কোনো উইকেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ জুটি এটি বাংলাদেশের।

১২৩ রানের জুটি গড়েন সাকিব ও নুরুল
এএফপি

সাকিব ফেরার পর টেল এন্ডারদের নিয়ে ব্যাটিংয়ের চ্যালেঞ্জটা নিতে হয় নুরুলকে। ইতিবাচকই ছিলেন, জোসেফের হাভ ভলি পেয়ে একটা চারও মারেন। তবে রোচের অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়েই বিপদ ডেকে আনেন তিনি। ১৪৭ বলে ৬৪ রান করে ফিরতে হয় তাঁকে, ক্যারিয়ারে এটি যৌথ সর্বোচ্চ ইনিংস তাঁর।

বাংলাদেশের গুটিয়ে যাওয়া এরপর সময়ের অপেক্ষাই হয়ে দাঁড়ায়। ৮৯তম ওভারে রোচকে অবশ্য ম্যাচে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ছয় মেরে সেটি একটু বিলম্বিত করার ইঙ্গিত দেন মোস্তাফিজ। তবে জোসেফকে বড় শটের চেষ্টায় লাইন মিস করে বোল্ড হন ৯ বলে ৭ রান করে।

আরও পড়ুন

শেষ উইকেটের জন্য এরপর খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ইবাদত হোসেনকে বোল্ড করে ইনিংসে পঞ্চম উইকেটটি নেন রোচ, ক্যারিয়ারে এ পেসার এ নিয়ে দশম বার ইনিংসে ৫ বা এর বেশি উইকেট নিলেন। এ উইকেট দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের মধ্যে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় মাইকেল হোল্ডিংয়ের সঙ্গে যৌথভাবে ছয়েও উঠে এলেন রোচ।