খুদে দাবাড়ুদের সামনে 'খোলা দরজা'
একসময় নিয়মিত দাবা খেলতেন। জাতীয় সাব-জুনিয়রে চ্যাম্পিয়নও হয়েছিলেন ফিদে মাস্টার শওকত হোসেন। কিন্তু রুটিরুজির সন্ধানে কৈশোরেই খেলা ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন স্কটল্যান্ডে। প্রায় এক যুগ পর দেশে ফিরে দাবা নিয়ে নিজের অপূর্ণ স্বপ্নটা পূরণ করার উদ্যোগ নিলেন। একটু অন্যভাবে। দাবা ফেডারেশনের সহায়তায় ছাত্রছাত্রীদের দীর্ঘমেয়াদি কোচিং প্রশিক্ষণ দিতে হাতে নিলেন ‘বিডি চেস ইন স্কুল’ কর্মসূচি।
লেখাপড়ার পাশাপাশি স্কুলগুলোতে দাবাকে ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া এই কর্মসূচির অন্যতম লক্ষ্য। এই কর্মসূচির আওতায় রাজধানীর ১৮টি স্কুলের ১০০ জন ছাত্রছাত্রীকে আজ থেকে দেওয়া হবে দাবা প্রশিক্ষণ। সম্পূর্ণ বিনা খরচে। ফেডারেশন কার্যালয়ে আপাতত প্রতি শুক্রবার দাবাড়ুদের প্রশিক্ষণ দেবেন শওকত হোসেন। ডিসেম্বরে স্কুলগুলোর বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হলে শনিবারেও দাবা শেখানো হবে।
এরই মধ্যে রাজধানীর প্রথমসারির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা সাড়া দিয়েছেন এই কার্যক্রমে। তবে একটা কমতি থেকেই যাচ্ছে। দাবার প্রথম তিন গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোরশেদ, জিয়াউর রহমান ও রিফাত বিন সাত্তার যে স্কুল থেকে উঠে এসেছেন, সেই সেন্ট যোসেফ স্কুলই তালিকাতে নেই! শওকত জানালেন, ‘সেন্ট যোশেফেও আমরা গিয়েছিলাম। কিন্তু পরীক্ষা চলছে তাই ওরা এখন এই কার্যক্রমে সাড়া দিতে আগ্রহী নয়। তবে ডিসেম্বরের পরে তাদেরও পেতে পারি।’
ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক গাজী সাইফুল তারেকের কাছ থেকে জানা গেল, শুধু রাজধানীতেই নয়, বার্ষিক পরীক্ষার পর সারা দেশে বড় পরিসরে টুর্নামেন্ট করার পরিকল্পনা রয়েছে ফেডারেশনের। শেখ রাসেল দাবা ক্লাবের পৃষ্ঠপোষকতায় ৬৪ জেলায় ১২৮টি টুর্নামেন্ট করা হবে। সেখান থেকে সেরা ৫টি জেলা নিয়ে হবে গ্র্যান্ড ফাইনাল।