
বিশ্বকাপ, দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের পর্দা ওঠার আর মাত্র ২৩ দিন বাকি। দুরু দুরু বুকে ফুটবলপ্রেমীরা ক্ষণগণনা শুরু করে দিয়েছেন নিশ্চয়ই। শুরু হয়েছে প্রথম আলো অনলাইনেরও ‘কাউন্ট ডাউন’। প্রতিদিন ধারাবাহিকভাবে ক্ষণগণনা নিয়ে একটি বিশেষ রচনা থাকছে। আজ থাকছে ‘২৩’ সংখ্যাটি নিয়ে—
১৯৫৪ সালে বিশ্বকাপে প্রথম জার্সিতে নম্বর লেখার চল শুরু হয়। সেটিও ইচ্ছামতো নম্বর নেওয়ার সুযোগ নেই। নিতে হবে ধারাবাহিকভাবে। ১, ২, ৩...এভাবে। কিন্তু ২০০২ বিশ্বকাপে এসে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় ২৩ নম্বর জার্সি। এর আগে বিশ্বকাপে এই জার্সিটি ছিল না।
থাকবে কী করে, ১৯৯৮ বিশ্বকাপ পর্যন্ত যে বিশ্বকাপ স্কোয়াড দিতে হতো ২২ জনের। ২০০২ বিশ্বকাপ থেকেই সংখ্যাটা ২৩-এ উন্নীত হয়।
মজার ব্যাপার হলো, আনুষ্ঠানিকভাবে চালুর আগেই বিশ্বকাপে ‘২৩’ নম্বর জার্সিটি অনানুষ্ঠানিকভাবে হলেও দুবার দেখা গিয়েছিল। ১৯৬২ বিশ্বকাপে এটার প্রথম অনানুষ্ঠানিক অভিষেক হয় বিশ্বকাপে। ২৩ নম্বর জার্সি পরে খেলেছিলেন উরুগুয়েরে গিলেমো এস্কালাদা। কারণ? দলের কোনো খেলোয়াড়ের ১৩ নম্বর জার্সিটি ছিল না। ১৩ সংখ্যাটা যে অপয়া! ফলে ২২ জনের স্কোয়াড হলেও উরুগুয়ে দলে ছিল ২৩ নম্বর জার্সিধারী এক খেলোয়াড়।
১৯৯৮ বিশ্বকাপে, যেবার সর্বশেষ ২২ জনের স্কোয়াড নিয়ে খেলা হয়েছে, সেবারও এক খেলোয়াড়ের জার্সির নম্বর ছিল ২২। বিশ্বকাপ শুরুর আগমুহূর্তে চোটের কারণে দল থেকে ছিটকে যান দক্ষিণ আফ্রিকার রিজার্ভ গোলরক্ষক, ২২ নম্বর জার্সিধারী পল এভান্স। তাঁর পরিবর্তে দলে জায়গা পাওয়া সিমোন গোপান খেলেন ২৩ নম্বর জার্সি নিয়ে।