পেলে

সিনেমার নাম পেলে
সিনেমার নাম পেলে

মোজা দিয়ে বানানো বলে লাফিয়ে হেড করতে যাচ্ছে পাশের ছবির যে ছেলেটি, তাকে আরেকবার ভালো করে দেখুন তো! চেনা যায়? নাকি মনে হচ্ছে, শহরের গলির ভেতর দিনভর বল নিয়ে ছুটোছুটি করে, পাড়া-প্রতিবেশীদের জ্বালিয়ে মারে যে দুষ্ট ছেলের দল, তাদেরই কেউ একজন?
এমন কিছু ভেবে থাকলেও ভুল হয়নি আপনার। ফুটবলের রাজা পেলের জীবনের গল্পটা তো এমনই। ব্রাজিলের ত্রেস কোরাকোয়েস শহরের বস্তিতে জন্ম। অভাবের সংসারে সাহায্য করতে চায়ের দোকানে ফরমাশ খাটার চাকরি আর রক্তে ফুটবলের নেশা। দুরন্ত এই ছেলেটিই বড় হয়ে পেলে নামে পরিচিত হবে সারা পৃথিবীতে। বাবা-মা যার নাম রেখেছিলেন এডসন অরান্তেস দো নাসিমেন্তো।
খুব চেনা এ গল্পটাই সিনেমার পর্দায় নতুন করে বলবেন পরিচালক মাইকেল ও জেফ জিম্বালিস্ট ভ্রাতৃদ্বয়। পাশের ছবিটা পেলে নামে সেই সিনেমারই একটা দৃশ্য। লাফিয়ে ওঠা ছেলেটা সিনেমায় কিশোর পেলে, আসল নাম লিওনার্দো লিমা কারভালহো। জীবনের প্রথম ছবিতেই পেলের চরিত্রে অভিনয়, কপাল বটে! পরিচালকের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়ে নিশ্চয়ই বলে হেড করার মতোই লাফিয়ে উঠেছিল ব্রাজিলিয়ান কিশোর! সিনেমায় ১০ থেকে ১৩ বছর বয়সী পেলের চরিত্রে অভিনয় করবে সে। বস্তির বন্ধুরা তখনো যাকে চিনত ‘ডিকো’ নামে।
গত অক্টোবরের শুরুতে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে শুটিং শুরু হয়েছে সিনেমাটার, মুক্তি পাবে সামনের বছর। ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির জীবনী নিয়ে এই প্রথম কোনো বাণিজ্যিক ছবি হলেও রুপালি পর্দার সঙ্গে পেলের যোগাযোগটা বেশ পুরোনো। ১৯৬৯ সালে ব্রাজিলিয়ান টেলিভিশনের ধারাবাহিক ওস এস্ত্রানহোতে প্রথম দেখা গিয়েছিল কালো মানিককে। হলিউডের ছবি এসকেপ টু ভিক্টোরিতে মাইকেল কেইন, সিলভেস্টার স্ট্যালোনদের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এক যুদ্ধবন্দীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন পেলে। সেগুলো ছিল ফুটবলার পেলের অভিনেতা হয়ে ওঠার চেষ্টা। কিন্তু এবার তিনি নিজেই সিনেমার বিষয়। এত গল্প থাকতে হঠাৎ কেন পেলের জীবনটাকেই বেছে নিলেন? পরিচালক মাইকেল জিম্বালিস্টের জবাব, ‘জিনিয়াসদের বোঝার চেষ্টা করাটা আমার কাছে সব সময়ই রোমাঞ্চকর মনে হয়। পেলে সেই গল্প।’ এএফপি।