ফুটবলে আবার নিটল গ্রুপ

২০০০-০৫ সাল পর্যন্ত দেশব্যাপী আলোড়ন তুলেছিল নিটল টাটা জাতীয় ফুটবল লিগ। জমে ওঠা ওই লিগের সমাপ্তি টেনে ২০০৬ সালে ঢাকাকেন্দ্রিক পেশাদার লিগ চালু করতেই ফুটবল পৃষ্ঠপোষণা থেকে সরে যায় নিটল টাটা। কারণ নিটল টাটা লিগের বিশেষত্বই ছিল, ওটা হবে দেশের বিভিন্ন ভেন্যুতে। লটারির মাধ্যমে তখন দর্শকদের মোটরসাইকেল উপহার দিয়ে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করেছিলেন নিটল টাটা বাংলাদেশের কর্ণধার আবদুল মাতলুব আহমাদ। তাঁর হাত ধরে চ্যাম্পিয়ন দল পেত গাড়ি উপহার।

সেই মাতলুব আহমাদ প্রায় ১০ বছর পর ফুটবল পৃষ্ঠপোষণায় ফিরলেন। যার অর্থ, তিন পর্বের চলতি প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বের প্রায় শেষ দিকে সপ্তম পেশাদার লিগের টাইটেল স্পনসর হলো নিটল টাটা।

প্রকাশ না করলেও জানা গেছে, লিগ স্পনসর বাবদ নিটল গ্রুপ বাফুফেকে দিচ্ছে ৬০ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কটা কমই। তার পরও দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার জেরে স্পনসর-শূন্য হয়ে পড়া বাফুফের পাশে দাঁড়ানোয় নিটল গ্রুপকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বাফুফের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সালাম মুর্শেদী।

মাতলুব আহমাদও ফুটবলে ফিরে খুশি। বাফুফে ভবনে কাল চুক্তি সাক্ষর ও লোগে উন্মোচন অনুষ্ঠানে বললেন, ‘ফুটবলের পাশে ছিলাম। ১০ বছর পর ফিরে এসে ফুটবল উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চাই।’

কীভাবে কী করবেন, তার একটা রূপরেখা নিয়েই এসেছিলেন। জানালেন, মাঠে দর্শক-খরা দূর করতে দর্শকদের জন্য লটারির মাধ্যমে অন্তত ১০টি মোটরসাইকেল দেওয়া হবে। লিগের শেষ ১২টি ম্যাচের প্রতিটিতে একটি করে এলইডি টেলিভিশন থাকবে দর্শকদের জন্য। চ্যাম্পিয়ন দলকে দেওয়া হবে টাটা এইস পিকআপ। লিগে বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কার পাওয়া সেরা তিন খেলোয়াড়ও পাবেন মোটরসাইকেল। সাংবাদিকেরাও বাদ পড়বেন না এই তালিকা থেকে। পুরস্কারের ডালি সাজানো সারা!

জানা গেল, নিটল গ্রুপ ভারতের হিরো হোন্ডার সঙ্গে যৌথভাবে মোটরসাইকেল তৈরি করছে, যা শিগগিরই বাজারজাত করা হবে। টেলিভিশনও বাজারজাত করতে যাচ্ছে তারা। সেসবেরই বিপণন কার্যক্রমের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে থাকছে ফুটবল।