মেয়েটি ছেলেদের ছদ্মবেশে...

ভেলেজের জার্সিতে নিতা (ডান থেকে সপ্তম)ছবি: সংগৃহীত

‘বাসস্টপে সারা দিনের কর্মক্লান্ত হাতে গুচ্ছ কাগজপত্রের ব্যাগ নিয়ে একটি মেয়ে, নিতান্তই সাধারণ একটি মেয়ে আমার বাড়ির কাছে এসে দাঁড়ায়। তার চূর্ণকুন্তল মুখ এবং মাথার চারপাশ ঘিরে জ্যোতির্মণ্ডল তৈরি করেছে। কিছুবা ঘামে লেপটে গেছে। তার মুখের পাশে সূক্ষ্ম ব্যথার দাগগুলোতে ইতিহাস খুঁজে পাই।’

ঋত্বিক ঘটক এভাবেই আবিষ্কার করেছিলেন তাঁর ‘মেঘে ঢাকা তারা’–র নিতাকে। স্পেনের আলো, হাওয়া, কাদাজলেও এমন এক নিতার জন্ম। মৃত্যুর পর অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় ধরে এই নিতাও বিস্মৃতির মেঘে ঢাকা পড়ে ছিলেন। এ বছর স্পেনের চতুর্থ বিভাগের দল ভেলেজের শতবর্ষপূর্তি সামনে রেখে কয়েক বছর আগে বই লিখতে গিয়ে তাঁকে ‘পুনর্জীবিত’ করেছেন মালাগার ক্রীড়া সাংবাদিক ও সংগ্রাহক হেসুস হুরতাদো।

ভেলেজের খেলোয়াড়দের নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে বিশ শতক নিয়ে ঝামেলায় পড়েন হুরতাদো। এ সময়ের খেলোয়াড়দের পুরো নাম নেই। তথ্য–উপাত্তে শুধু ডাকনামটা আছে। হুরতাদো এভাবেই পেয়ে যান ‘ভেলেতা’–কে। ওই নামটাই শুধু, আর কোনো তথ্য নেই।

ভেলেজ এবং সে সময়ের ফুটবলারদের কাছে ধরনা দেন হুরতাদো। তবু ভেলেতাকে নিয়ে অন্ধকার কাটছিল না। হুরতাদো বুঝতে পারছিলেন, সবাই কিছু একটা গোপন করছেন। কেউ কেউ হুরতাদোর পিঠ চাপড়ে বলতেন, ‘ভেলেতা একটু অন্য রকম ফুটবলার।’ হুরতাদো ভেবেছিলেন, ‘লোকটা (ভেলেতা) সম্ভবত সমকামী কিংবা যুদ্ধ–শরণার্থী ছিলেন, তাই কেউ কিছু বলছে না।’

কষ্ট না করলে কেষ্টর দেখা মেলে না। হুরতাদোও লেগে থাকতে থাকতে একদিন অন্ধকার সুড়ঙ্গে পেলেন আলোর দেখা, ‘ভেলেতা আসলে একজন নারী। সে আমাদের চেয়ে ভালো খেলত। তাই আমরা ওর পরিচয় কখনো প্রকাশ করিনি। পারস্পরিক সমঝোতা (জেন্টলম্যান অ্যাগ্রিমেন্ট) থেকেই তার পরিচয় এত দিন গোপন রাখা হয়েছে।’ হুরতাদোকে কেউ কেউ এটাও বললেন, ‘ভেলেতার কাছ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। দারুণ খেলত। খেলাটা ধরেছিল খুব অল্প বয়স থেকেই। ভেলেতা নামটাও সতীর্থদের দেওয়া।’

নারী হয়ে পুরুষের ফুটবল খেলা, আবার খেলা শেষে নারী হয়ে যাওয়া—এই রূপ বদলানোর ইঙ্গিত বহন করেছে যে নাম।

স্পোর্টিং ক্লাব ডি মালাগার জার্সিতে নিতা
ছবি: সংগৃহীত

হুরতাদো চাইলে এখানেই থেমে যেতে পারতেন। কিন্তু কৌতূহল অন্য জিনিস। খুঁড়তে খুঁড়তে তিনি বের করে আনলেন ভেলেতার আসল পরিচয়, নাম ও ঠিকানা। এভাবেই স্প্যানিশ ফুটবলে ফিরে এল নিতা!

আসল নাম—আনা কারমোনা রুইজ। জন্ম ১৯০৮ সালের ১৬ মার্চ, মালাগার এক সাধারণ পরিবারে। বাবা আন্দ্রেস মালাগা বন্দরে মাল খালাসের কাজ করতেন। মেয়েকে আদর করে ‘নিতা’ নামে ডাকতেন। বন্দরের পাশেই ফাঁকা জায়গায় ইংরেজ নাবিকদের ফুটবল খেলা দেখে বড় হয়েছেন নিতা। খেলাটা তাঁর মনের মধ্যে বাসা বাঁধে তখনই। নাবিকদের সঙ্গে খেলতে ছুটে যেতেন। কাজ শেষে বাড়ি ফেরা বাবা তা পছন্দ করতেন না। মালাগার পুরুষশাসিত সমাজে মেয়েদের ফুটবল খেলা তখনো অনুমোদন পায়নি।

কিশোরী মন তা না মানায় অনেক মারও খেতে হয়েছে মা–বাবার হাতে। ঋত্বিকের নিতাকে বাঁচার স্বপ্ন দেখাত সনৎ। এই স্বপ্ন শেষ পর্যন্ত পুড়েছে ছলনার ধূপকাঠি হয়ে। মালাগার নিতার স্বপ্নও পুড়ে যেত, যদি গ্যালিসিয়ান পাদরি ফ্রান্সিসকো মিগুয়েজের সঙ্গে তাঁর দেখা না হতো।

পোলিশ পরিচালক ইউরেক বোগায়ভিচের ‘এজেস অব দ্য লর্ড’ সিনেমায় ‘যিশু’ হতে চাওয়া শিশু চরিত্র ‘তোলো’কে রক্ষায় পাদরি নিজেকে যতটা নিংড়ে দিয়েছিলেন, মিগুয়েজও সে তুলনায় কিছু কম করেননি। এই পাদরির প্রশ্রয়েই নিতার ফুটবলার হয়ে ওঠার শুরু। এই পাদরিই তাঁকে অনুশীলনের সুযোগ দেন নিজের প্রতিষ্ঠা করা স্পোর্টিং ক্লাব ডি মালাগায়। ছেলেরা অনুশীলন শেষে চলে গেলে মাঠটা যখন খালি পড়ে থাকত, নিতা তখন বলটা নিয়ে নেমে পড়তেন মাঠে। বিপরীত স্রোতে দাঁড়িয়ে নিতার স্বপ্ন তখন কলি হয়ে ফুটতে শুরু করেছে।

স্পেনে তখন মেয়েদের সেইলিং ও ঘোড়ায় চড়ার অনুমতি ছিল। নিতা হয়ে উঠলেন আরেক সনোরা ওয়েবস্টার কারভার—সার্কাসে ঘোড়ায় চড়ে অনেক উঁচু থেকে পানিতে ডাইভ দেওয়ার খেলা দেখানো প্রথম নারী। পরিচালক স্টিভ মাইনার সনোরাকে রুপালি পর্দায় ধারণ করেছিলেন ‘ওয়াইল্ড হার্টস কান্ট বি ব্রোকেন’ সিনেমায়। এতিম মেয়েটি খালার বাড়ি থেকে পালিয়ে যোগ দিয়েছিল সার্কাসে। ডাইভার তাকে হতেই হবে!

নিতাকেও বাড়ি ছাড়তে হয়েছে। সে কথায় পরে আসি। নিতা শৈশবে গাছে চড়ে দেয়ালের ওপাশ থেকে দেখেছেন মালাগার খেলা। ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন ধোপানি ও ম্যাসাজকর্মী হিসেবে। কিন্তু মন তো মানে না! মাঠে নামতে ইচ্ছা করে। সাহায্যের হাত বাড়ালেন তাঁর নানি, যিনি খেলোয়াড়দের কাপড় ধোয়ার কাজ করতেন। ১৯২১ সালে মালাগার কাপুচিনোস (নিতার জন্মস্থান) অঞ্চলে আসা পাদরি মিগুয়েজকে নাতনির ফুটবলপ্রেমের কথা বলেন তাঁর নানি। মিগুয়েজ তাঁকে একা অনুশীলনের সুযোগ দেন। নিতা মালাগার হয়ে নিজ অঞ্চলের বাইরে কয়েকটি ম্যাচও খেলে ফেলেন। ১৮ পেরিয়ে যাওয়া নিতা তত দিনে বুকের স্ফীত নারীত্ব পোশাকের আস্তরণে সমান করে ও ঢোলা পোশাকে মাঠে নামতেন। শুরুতে তাঁকে কেউ চেনেনি। কিন্তু ভালো খেলতে শুরু করার পর বাধল বিপত্তি। হুরতাদোর সূত্রে জানা যাচ্ছে, ‘খেলোয়াড়দের মধ্যে থেকেই কেউ কেউ ঈর্ষান্বিত হয়ে ওঠেন। কারণ, নিতা তাদের জায়গাটা নিয়ে নিতে শুরু করেছিলেন। আর দর্শকেরা যখন বুঝে ফেললেন যে এই খেলোয়াড় একজন নারী, তখন তার দিকে ধেয়ে আসে অপমান। থুতু ছুড়ে মারা হয়, ছুড়ে মারা হয় পাথরও।’

বিশের দশক শুরুর আগে মালাগার বন্দর
ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবেশীরা এসে নিতার বাড়িতে প্রতিনিয়ত অভিযোগ করতেন, মেয়েটা বখে যাচ্ছে। ওর আচার–আচরণ ঠিক মেয়েদের মতো নয়। মা–বাবা জবাব দিতে না পেরে রাগ ঝাড়তেন মেয়ের ওপর। মার খেতে হতো বেদম। নিতার এক চিকিৎসক চাচা আবার তাঁর মা–বাবাকে কানপড়া দেন, ‘মেয়ে যা করে বেড়াচ্ছে, সেটা তার মেয়েলি শারীরিক গঠনের জন্য ক্ষতিকর।’ একটা মেয়ে ফুটবল খেলবে, এটা মানতে না পেরে পাড়ার লোকজন নিতার মাথার চুল কেটে নেয়, গ্রেপ্তার হতে হয় পুলিশের হাতে, আটক থাকতে হয় ব্যারাকে ও বাড়িতে। একসময় নিতার বাড়িতে থাকাই অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। মালাগারই আরেক অঞ্চল ভেলেজে এক আত্মীয়ের বাসায় তাঁকে পাঠিয়ে দেন মা–বাবা। বায়ু পরিবর্তন করলে যেমন অসুস্থতা থেকে মুক্তি ঘটে, তেমনি মেয়ে জায়গা পাল্টালে হয়তো তাঁর ‘বদভ্যাস’ও পাল্টাবে—এই আশা থেকেই।

নিতার ফুটবলপ্রেমের বিপরীতে দাঁড়ানো সে সময়ের সমাজকে বোঝাতে হুরতাদো বলছেন, ‘তখন কোনো পুরুষ ঘেমে–নেয়ে বলের পেছনে দৌড়াচ্ছে, এটাই ছিল অনেকের কাছে হাস্যকর। সেখানে একটা মেয়ে ফুটবল খেললে কেমন পরিস্থিতিতে পড়তে পারে, একবার ভেবে দেখুন!’

ভেলেজে গিয়ে নিতার ফুটবলপ্রেম পরবর্তী ধাপে উন্নীত হয় তাঁর কাজিন কুয়েরোর হাত ধরে। কুয়েরো তখন ভেলেজ ক্লাবে খেলতেন। নিতাকে সেখানে ম্যাসাজকর্মীর কাজ জুটিয়ে দেন কুয়েরো। সঙ্গে খেলোয়াড়দের কাপড় ধুয়ে দেওয়ার কাজ তো ছিলই। কাজের ফাঁকে একটু ফুরসত পেলেই নিতা ফুটবল অনুশীলন করতেন। ক্লাবের লোকজনের তা চোখে পড়তে সময় লাগেনি। তাঁরা অবিশ্বাস্য চোখে দেখেন, একটা মেয়ে যে কিনা ধোপানির কাজ করে, ফুটবলে তাঁর পা ক্লাবের বেশ কিছু খেলোয়াড়ের চেয়েও ভালো চলে! তখন পেশাদার ফুটবলও সেভাবে শুরু হয়নি। কাজের ফাঁকে শুধু রোববার মাঠে নামতেন ফুটবলাররা। টাকাপয়সাও বলতে গেলে প্রায় ছিল না। একটা স্যুটের কাপড় কিংবা কয়েকটা পেসোর (ইউরোর আগে স্পেনের মুদ্রা) জন্য খেলতেন অনেকে। অতএব নিতার কপাল খুলল।

এই কপাল খোলায় তাঁর একটা কৌশলও কাজে দিয়েছিল। ভেলেজের অধিনায়ক হুয়ান বারানকুয়েনোর বোনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলেন নিতা। ভাইকে বুঝিয়েসুঝিয়ে নিতাকে দলে নিতে রাজি করান তিনি। সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় নিয়ম—মেয়েদের খেলা যেখানে একরকম নিষিদ্ধ, নিতা সেখানে মাঠে নামবেন কীভাবে?

ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। পোশাক বানানোয় ছোটবেলায়ই হাত পাকিয়েছিলেন নিতা। চুল ছেঁটে মাথায় তুললেন পুরু উলের টুপি—তখন অনেক ফুটবলারই এই টুপি (বেরেট) পরতেন। সুতি কাপড়ের আস্তরণ দিয়ে সমান করেন স্ফীত বুক। ব্যাগি টি–শার্ট ও ঢোলা প্যান্টে তাঁকে চেনার উপায় ছিল না। সতীর্থরাও তাঁকে মেয়ে হিসেবে না দেখে সহ–খেলোয়াড় হিসেবে দেখতে শুরু করেন। কারণ তো ছিলই, মাঝমাঠে নিতার মতো কুশলী ফুটবলার তখন দলে ছিল না। লেখার শুরুতে সেই যে ‘জেন্টলম্যান অ্যাগ্রিমেন্ট’–এর কথা বলা হয়েছিল, ক্লাব ও খেলোয়াড়েরা এই সমঝোতার অংশ হিসেবেই নিতার সবকিছু গোপন রেখে তাঁকে দলে টেনে নেন। ম্যাচের দিন নিতা ড্রেসিংরুমে ঢুকতেন ‘ক্লিনার’ হিসেবে, মাঠে নামতেন ছেলে ফুটবলার হয়ে, খেলা শেষে ড্রেসিংরুম হয়ে মাঠ ছাড়তেন একজন নারী!

গ্যালিসিয়ান পাদরি ফ্রান্সিসকো মিগুয়েজ
ছবি: সংগৃহীত

এমনকি ভেলেজ অঞ্চলে প্রথম ‘অফিশিয়াল’ মাঠ উদ্বোধনেও অংশ নিয়েছেন নিতা। প্রথমে তাঁকে দেখা গেছে স্থানীয় এক নেতৃস্থানীয় নারীর সহচর হিসেবে, এরপর ছেলের বেশে ফুটবল খেলেছেন মাঠে নেমে। কতটা ভালো খেলতেন, সে বিষয়ে খানিকটা আলোকপাত করেছে মাদ্রিদভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘লা রাজন’—‘নিতা ১০ নম্বর জার্সি পরে খেলতেন। মাঝমাঠে কুশলী ফুটবল খেলার পাশাপাশি গোল করানো এবং করেছেনও।’

নিতা ভেলেজ ক্লাবে খেলাকালীন তাঁকে নিয়ে গানও বেঁধেছিলেন দর্শক, ‘ভেলেতাকে স্ট্রাইকার বানিয়ে যাচ্ছ কোথায় ভেলেনো (ভেলেজ ক্লাবের নাম)? তোমার দলকে মাঠে ৫–০ গোলে হারাতে যাচ্ছি।’

ভেলেজদারিও ব্লগে হুরতাদো জানিয়েছেন, ১৯২৭ থেকে শুরু করে ১৯২৯ সাল পর্যন্ত খেলেছেন নিতা। এরপর দক্ষিণাঞ্চলের ফুটবল বোর্ড এবং স্থানীয় রেফারিদের সংগঠন সমগ্র আইবেরিয়ান অঞ্চলে ছেলেদের খেলায় মেয়েদের অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করে। এদিকে মুখে মুখে নিতার আসল পরিচয়ও ফাঁস হয়ে যায়। ফেডারেশন থেকে নিরাপত্তারক্ষীদের বলে দেওয়া হয়, কোনো নারী যেন ছেলেদের ড্রেসিংরুমে ঢুকতে না পারে। নিরাপত্তারক্ষীরা নিতাকে মাঠের ধারেকাছেই ঘেঁষতে দেননি। বলা বাহুল্য, নিতাকে ঠেকাতেই এই চরম সিদ্ধান্ত এবং তারপর নিতা আর কোনো দিন খেলার সুযোগ পাননি। এ তো না হয় গেল পুরুষশাসিত সমাজের সিদ্ধান্ত। বিধাতাও কি তাঁর প্রতি সদয় হয়েছিলেন?

১৯৪০ সালে টাইফাস-জ্বরে মাত্র ৩২ বছর বয়সে মারা যান নিতা। চার বোনের সংসারে তাঁর কোনো ভাই ছিল না। ভাই থাকলে হয়তো অসুস্থ থাকাকালীন তাঁকে ঋত্বিকের মেঘে ঢাকা তারা সিনেমার সেই সংলাপটা বলতে পারতেন—যক্ষ্মায় আক্রান্ত নিতা তাঁর ভাইকে জড়িয়ে ধরিয়ে ধরে আকাশ বিদীর্ণ চিৎকারে বলছেন, ‘দাদা, আমি বাঁচতে চাই!’

নিতার চাওয়া পূরণ করতে স্পোর্টিং ক্লাব ডি মালাগার জার্সিতে তাঁকে সমাহিত করা হয়। ফুটবল মাঠে ‘ছদ্মবেশী’ নিতার সতীর্থরা এ সময় তাঁর পাশেই ছিলেন। বিশ্বজুড়ে এখন যে মেয়েরা ফুটবল খেলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নিতাকে একটু স্মরণ করতেই পারেন তাঁরা। কারণটাও মিলবে হুরতাদোর কথায়, ‘সে প্রথম নারী ফুটবলার নয়, কিন্তু ছেলেদের বেশভূষায় ফুটবল খেলা প্রথম নারী।’