লিও মেসি না হোক, লিও মেসো-ই সই!

মেসি চান না, এমন কোনো ক্লাব কি আছে?ফাইল ছবি: রয়টার্স

ভেবে দেখুন, মেসি-রোনালদো যদি আক্রমণভাগে ইব্রাহিমোভিচের সঙ্গে জুটি বাঁধতেন, তা–ও আবার আর্সেনালের জার্সি গায়ে, কেমন হতো ব্যাপারটা?

আর্সেন ওয়েঙ্গারের একটা ‘বদভ্যাস’ ছিল। থিয়েরি অঁরি, ডেনিস বার্গক্যাম্প, প্যাট্রিক ভিয়েরা, সেস ফাব্রিগাস, রবিন ফন পার্সির মতো হাজারো ফুটবলার গড়েছেন যেমন, অনেক খেলোয়াড়কে দলে আনতে গিয়েও শেষ মুহূর্তে আনতে পারেননি। কখনো তাঁর নিজের কাছেই সেসব খেলোয়াড়দের যথেষ্ট প্রতিভাবান মনে হয়নি, আবার অনেক সময় আর্সেনালেরই সেই খেলোয়াড়দের কেনার টাকা ছিল না। সব মিলিয়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো থেকে শুরু করে লিওনেল মেসি, ইব্রাহিমোভিচ, কিলিয়ান এমবাপ্পে, ইয়ায়া তুরে, জেরার্দ পিকে, এনগোলো কান্তে, ক্লদ ম্যাকেলেলে—কত খেলোয়াড়কে যে আর্সেনাল পেতে পেতে পায়নি, তার কোনো ইয়ত্তা নেই।

কিন্তু প্রত্যাশা ও সামর্থ্যের মধ্যে সেই মেলবন্ধনটা কখনোই হয়নি। প্রত্যেকেই অন্যান্য ক্লাবের হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন, আর আর্সেনালের শুধু দীর্ঘশ্বাসই বেড়েছে।

মেসিকে না পাওয়ার আক্ষেপ থেকেই কি না, এবার দশ বছর বয়সী এক শিশুকে নিজেদের একাডেমির জন্য কিনেছে আর্সেনাল। তাঁর নামটাও চমক জাগানো—লিও মেসো। শুধু ‘সো’ এর জায়গায় ‘সি’ হলেই সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়ের সঙ্গে নামের কোনো পার্থক্য থাকত না শিশুটির! তবে মেসির সঙ্গে এই তরুণের মিল এতটুকুই। মেসি আর্জেন্টিনার হলেও এই শিশুটি কেনিয়ার। এখনই দেশের অন্যতম প্রতিভাবান খেলোয়াড় মনে করা হচ্ছে শিশুটিকে, যে কিনা ভবিষ্যতে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে। যদিও এত কম বয়স থেকে ইংল্যান্ডের ক্লাবে অনুশীলন করার কারণে ভবিষ্যতে ইংল্যান্ডের হয়েও খেলার সুযোগ থাকবে মেসোর সামনে।

এই সেই মেসো
ছবি : টুইটার

গত বৃহস্পতিবার এই শিশুটিকে দলে টেনেছে গানাররা। আগে আরেক লন্ডনি ক্লাব ওয়েস্ট হামের একাডেমিতে অনুশীলন করা এই শিশু আগামী ২০২১-২২ মৌসুমে আর্সেনালের একাডেমি মাতাবে। এর মধ্যেই নয় নম্বর জার্সি দেওয়া হয়েছে মেসোকে, পুরোদস্তুর গোলশিকারিদের জন্য সাধারণত যে জার্সিটা বরাদ্দ থাকে।

বোঝাই যাচ্ছে, মেসোর ওপর আর্সেনাল কতটা ভরসা করে আছে!