শারজার পিচ ‘ঢাকার মতো’, তবু বাংলাদেশ কোচকে ভাবাচ্ছে শুরু আর শেষ

কেমন হবে শারজার উইকেট?ছবি: বিসিবি

ওমান-পর্ব শেষে এবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলার পালা বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুপার টুয়েলভে আগামীকাল বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচটা শারজায়। মাঠের আকার একটু ছোট হলেও সর্বশেষ আইপিএলে শারজা ছিল বেশ ধীরগতির, নিচু বাউন্সের উইকেট। রান তুলতে দলগুলোকে বেশ ভুগতে হয়েছে এখানে। ক্রিকেটের ঐতিহ্যবাহী এ ভেন্যুকে ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের মতো মনে হচ্ছে বাংলাদেশের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর। এ পর্বে বাংলাদেশের সব ম্যাচ দিনে বলে বাড়তি সুবিধা দেখছেন তিনি। তবে মনে করিয়ে দিয়েছেন, পাওয়ার প্লে ও ডেথ ওভারে ব্যাটিং-বোলিংয়ের পারফরম্যান্স বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

প্রথম পর্বে তিন ম্যাচেই বাংলাদেশের দুশ্চিন্তার অন্যতম কারণ ছিল পাওয়ার প্লের ৬ ওভারের ব্যাটিং। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ২৫ রানের পর ওমানের বিপক্ষে এ সময় ২৯ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ৪৫ রান উঠলেও দ্বিতীয় বলেই আউট হয়েছিলেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম।

শারজার উইকেট দেখছেন রাসেল ডমিঙ্গো
ছবি: বিসিবি

প্রথম ম্যাচে লিটন দাসের সঙ্গে সৌম্য সরকারকে খেলানো হলেও পরের দুই ম্যাচে ওপেনিংয়ে লিটনের সঙ্গী ছিলেন মোহাম্মদ নাঈম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওপেনিংয়ে পরিবর্তন করা হবে না বলে জানালেও ডমিঙ্গো মানছেন, এ জায়গায় উন্নতি করতে হবে তাঁদের, ‘সব সময় সব বিভাগেই উন্নতির জায়গা আছে। আমাদের ব্যাটিং শতভাগ ছন্দে ছিল না। অনেক উন্নতির সুযোগ আছে। বিশেষ করে শুরু এবং শেষের দিকের ওভারে। বোলারদের পারফরম্যান্সে খুশি, ফিল্ডিংয়েও ভালো করেছি। এখানকার কন্ডিশন দেখতে হবে, ওমানে আমরা সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা কন্ডিশনে খেলেছি। (তবে) পাওয়ার প্লে গুরুত্বপূর্ণ। আমার ধারণা, (সাম্প্রতিক সময়ের) ম্যাচগুলোতে এ ৬ ওভারে যারা বেশি রান করছে, তারাই জিতছে। ফলে প্রথম ৬ ওভার ব্যাটিং-বোলিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

এমনিতেই শারজার উইকেটকে ‘পরিচিত’ই মনে হচ্ছে ডমিঙ্গোর, ‘এ কন্ডিশন আমাদের সঙ্গে যায়। শারজার উইকেট কিছুটা ঢাকার মতো মনে হচ্ছে। আবার বেলা দুইটায় খেলার একটা সুবিধা হলো, শিশিরের কোনো প্রভাব থাকবে না। অন্য দলগুলো এটা নিয়ে চিন্তিত। আমাদের এটা নিয়ে কোনো ভাবনা নেই। আমাদের স্পিনাররা ম্যাচে প্রভাব রাখতে পারবে। এটা নিয়ে খুশি। প্রতিপক্ষ নিয়ে বলতে গেলে, বিশ্বকাপে যেকোনো দল যে কাউকে হারাতে পারে। এটা যেকোনো গ্রুপের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আমার মনে হয় নির্দিষ্ট কোনো গ্রুপে থাকার কোনো সুবিধা বা অসুবিধা নেই।’

শারজায় অনুশীলনে বাংলাদেশ দল
ছবি: বিসিবি

প্রথম পর্বে সব ম্যাচেই বাংলাদেশ খেলিয়েছে তিনজন পেস বোলার। শারজার উইকেটে সে কৌশল থেকে সরে আসা হবে কি না, এমন প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেননি বাংলাদেশের হেড কোচ। তবে জানিয়েছেন, পেসাররাও কার্যকরী হতে পারেন এখানে, ‘ঐতিহাসিকভাবে স্কোরের হার কমে এসেছে এখানে। তবে যারা লম্বা বোলার, যারা মোটামুটি একই লেংথে বল ফেলতে পারে, তারা দারুণ কার্যকর হবে এখানে। মরনে মরকেলকে দেখেছিলাম, ওর বল স্কিড করে যেত। অন্যদিকে স্পিনারদের উইকেট ধরে সোজা বোলিং করে যেতে হবে। ছোট বাউন্ডারি আমাদের ব্যাটসম্যানদের জন্য সুবিধাই করে দেবে। যেহেতু আমাদের তেমন কোনো পাওয়ার হিটার নেই, ফলে বাউন্ডারি পাওয়া যাবে।’

প্রথম পর্বে শ্রীলঙ্কা সব কটি ম্যাচই খেলেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে, সর্বশেষটি খেলেছে শারজায়। সেখানে নেদারল্যান্ডসকে মাত্র ৪৪ রানেই আটকে দিয়েছে লঙ্কানরা। ডমিঙ্গো অবশ্য এসব নিয়ে ভাবতে চান না, ‘শ্রীলঙ্কা এখানে খেলেছে, তবে সেটা সুবিধা না অসুবিধা, জানি না। প্রথম পর্বে যা ঘটেছে, সেটা নিয়ে এখন আর ভাবলে চলবে না। কাল থেকে আবার নতুন করেই শুরু করতে হবে।’