গম্ভীরকে ভারতীয় দলের কেউও পছন্দ করত না

মাঠে এমন মুখোমুখি অবস্থানে দেখা গেছে গম্ভীর ও আফ্রিদিকেফাইল ছবি: এএফপি

রাজনীতিতে ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কটা জটিল ও তীব্র প্রতিদ্ব্ন্দ্বিতাপূর্ণ। ক্রিকেটেও দুই দলের মধ্যে আছে চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতা। কিন্তু মাঠের বাইরে? মাঠের বাইরে দুই দেশের ক্রিকেটারদের সম্পর্ক কেমন?

বর্তমান সময়ে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি তুলনা করা হয় ভারতের বিরাট কোহলির সঙ্গে। মাঠের বাইরে কোহলি-বাবরকে প্রায়ই মুখোমুখি দাঁড় করান সমর্থকরা। কিন্তু এসবের কোনো প্রভাব তাঁদের সম্পর্কে নেই।

উল্টো কোহলি-বাবর একে-অপরের পাশে দাঁড়িয়েছেন। অফ ফর্মে থাকা কোহলি যখন জুলাইয়ে লর্ডস টেস্টে ১৬ রানে আউট হন, বাবর টুইট করেছিলেন, ‘এই দিনটিও পার হয়ে যাবে। দৃঢ় থাকো কোহলি।’

পাকিস্তান অধিনায়কের টুইটের জবাবে কোহলি ধন্যবাদ জানিয়ে লেখেন, ‘ধন্যবাদ তোমাকে। জ্বলে ওঠো, আরও ওপরে ওঠো। তোমার জন্য শুভকামনা।’এবারের এশিয়া কাপে ভারত পাকিস্তান ম্যাচের আগেও একে অন্যের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তাঁরা। এই দুজনের বাইরেও অনেক ক্রিকেটারদের মধ্যেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। এই তো গত ম্যাচে যখন ভারত-পাকিস্তান সমর্থকরা যখন স্নায়ুর চাপে ভুগছিলেন, তখনো রিজওয়ানের সঙ্গে খুনসুটি করতে দেখা গেছে হার্দিক পান্ডিয়াকে।

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে এমনিতেই উত্তেজনা থাকে, যাঁর উত্তাপ মাঝে মাঝে ক্রিকেটাররাও এড়াতে পারেন না। সে উত্তাপে মাঠে কিছু ঘটে থাকলে তা মাঠেই রেখে আসেন ক্রিকেটাররা। মাঠের বাইরে হয়ে ওঠেন একে অন্যের বন্ধু। তবে সেখানে ব্যতিক্রম আফ্রিদি ও গম্ভীরের বাগ্‌বিতণ্ডা।

দুজনের বাগ্‌বিতণ্ডার শুরুটা হয় ২০০৭ সালে। কানপুরে ভারত-পাকিস্তান ওয়ানডে ম্যাচে প্রথমবারের মতো সামনাসামনি কথার লড়াইয়ে জড়ান দুজনে। এরপর মাঠে নিয়মিতই তাঁরা একে অপরের প্রতি রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। তার রেশ রয়ে গেছে গম্ভীর-আফ্রিদির খেলা ছাড়ার পরেও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও কথার লড়াই দেখা গেছে তাঁদের।

পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেল সামা টিভিতে আবারও সে ঘটনা মনে করালেন আফ্রিদি। পাকিস্তানের এই অলরাউন্ডার দাবি করেন, ভারতীয় ড্রেসিংরুমেও নাকি প্রিয় পাত্র নন ভারতের সাবেক ওপেনার গম্ভীর। আফ্রিদি বলেছেন, ‘ব্যাপারটা এমন নয় অনেক ভারতীয় ক্রিকেটারের সঙ্গে আমার ঝগড়া হয়েছে। হ্যাঁ, মাঝে মাঝে গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়েছে। আমার মনে হয়, গৌতম এমন এক চরিত্র যাকে ভারতীয় দলের কেউও পছন্দ করত না।’

সে অনুষ্ঠানে আফ্রিদির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার হরভজন সিং। এ কথা শুনে তিনি হাসিতে ফেটে পড়েন। আফ্রিদির এমন মন্তব্য ও হরভজনের প্রতিবাদ না করা—কোনোটাই ভালোভাবে নেয়নি ভারতীয় সমর্থকেরা।