সাফজয়ী ওঁরা ২৩ জন
মাসুরা পারভীন
সাফ ফুটবলে পাঁচ ম্যাচেই অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। আরও ছয়জন খেলেছেন বদলি হিসেবে। ছয়জন মাঠে নামার সুযোগ পাননি। তারপরও সবাই এই বিজয়ের অংশীদার। সাফজয়ী বাংলাদেশ দলের ২৩ খেলোয়াড়ের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি লিখেছেন বদিউজ্জামান
মাঠে কোচ তাঁকে সেন্টারব্যাক পজিশনে খেলিয়ে থাকেন। কিন্তু মাসুরা পারভীন মাঝেমধ্যেই দুর্দান্ত সব গোল করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। মাসুরার তেমনই এক গোলে ২০১৮ সালের অনূর্ধ্ব-১৮ সাফে নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। মিডফিল্ডার মণিকা চাকমার ফ্রি–কিক থেকে সেদিন দুর্দান্ত হেডে জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন মাসুরা।
সাতক্ষীরার প্রয়াত ফুটবল কোচ আকবর আলীর হাত ধরে মাসুরার ফুটবলে আসা। ২০১০ সালে সাতক্ষীরার কারিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময় কেএফসি নারী ফুটবল টুর্নামেন্টে নজর কাড়েন প্রথম। এরপর ২০১৩ সালে খেলেন প্ল্যান অনূর্ধ্ব-১৫ জাতীয় নারী চ্যাম্পিয়নশিপে। বাফুফের তৃণমূল পর্যায়ের প্রতিভা অন্বেষণের এ টুর্নামেন্টে খেলা দেখে কোচ গোলাম রব্বানী তাঁকে বাছাই করেন। ২০১৪ সালে প্রথম খেলেন জাতীয় বয়সভিত্তিক দলে। একসময় হ্যান্ডবল, কাবাডি, অ্যাথলেটিকস ও ভলিবলও খেলতেন। ২০১৬ এসএ গেমসে রুপাজয়ী কাবাডি দলের খেলোয়াড় ছিলেন। কিন্তু বাফুফের নির্দেশনা মেনে শেষ পর্যন্ত সবকিছু ছেড়ে বেছে নেন ফুটবলকে। ময়মনসিংহ ভাষা শহীদ শামসুল হক কলেজের উচ্চমাধ্যমিকে পড়া মাসুরা এবারের সাফে বাংলাদেশের রক্ষণে দাঁড়িয়ে ছিলেন চীনের দেয়ালের মতোই। মাসুরার গল্পও বাংলাদেশের বেশির ভাগ নারী ফুটবলারের মতোই। বাবা রজব আলী একসময় ভ্যানে করে সবজি বিক্রি করতেন। সবজির ব্যবসা ছেড়ে এখন ভ্যান চালান। যদিও ফুটবলের সুবাদে কিছুটা হলেও আর্থিক সচ্ছলতা এসেছে মাসুরার পরিবারে।