চলে গেলেন ডলি ক্রুজ
কয়েক বছর ধরে গ্যাস্ট্রিক আলসারে ভুগছিলেন। সেটিরই শেষ পরিণতি ক্যানসার। জীবনঘাতী ব্যাধির সঙ্গে লড়াই করে কাল ৭২ বছর বয়সে মৃত্যুর ওপারে পাড়ি জমালেন সব্যসাচী অ্যাথলেট ডলি ক্যাথরিন ক্রুজ।
ডলি ক্রুজের মূল ইভেন্ট ছিল অ্যাথলেটিকস। পরে সাইক্লিংয়ে আসেন। ভলিবল, কাবাডি, হ্যান্ডবল, সাঁতার, ক্রিকেট—সব খেলাতেই সদর্প পদচারণ ছিল। সত্যিকারের এক সব্যসাচী ক্রীড়াবিদ ছিলেন তিনি। জন্ম ১৯৪৫ সালে, ষাটের দশকে খেলা শুরু করে মাঠ দাপিয়েছেন আশির দশক জুড়ে। যা এখনো চোখে ভাসে তাঁর সঙ্গে খেলা সাবেক অ্যাথলেট রওশন আরা ছবির, ‘ডলি আপা জ্যাভলিন, শটপুট আর ডিসকাস করতেন। তিনটিতেই পূর্ব বাংলায় প্রথম ছিলেন। গোটা পাকিস্তানেও সেরা ছিলেন। আমরা লাহোরে গিয়েছিলাম একসঙ্গে। তাঁর সঙ্গে কত স্মৃতি আমার!’
খেলাই ছিল ডলি ক্রুজের জীবনের সব। প্রাদেশিক ও জাতীয় প্রতিযোগিতা মিলিয়ে জিতেছেন ৫০টির বেশি সোনার পদক। খেলার টানে বিয়েটা আর করা হয়নি। তাই মৃত্যুর সময় আত্মীয়স্বজন বলতে তেমন কেউ ছিল না পাশে। যাঁদের খুব আপন করে নিয়েছিলেন, ক্রীড়াঙ্গনের এমন কিছু মুখ তাঁর পাশে ছিলেন। পাশে ছিলেন পালিত পুত্র আশিস। কাল বিকেলেই তাঁকে তেজগাঁও ক্যাথলিক চার্চে সমাহিত করা হয়।
ডলি ক্রুজের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থা। এই সংস্থার সহসভানেত্রী ছিলেন তিনি। ক্রীড়া সংগঠক, জাজ হিসেবেও অবদান রেখে গেছেন বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে।