১ বল বাকি থাকতে জয় দ.আফ্রিকার

ডি ভিলিয়ার্সের মুখের হাসিই বলে দিচ্ছে কতটা লড়াই তাদের করতে হয়েছে। ছবি: এএফপি।
ডি ভিলিয়ার্সের মুখের হাসিই বলে দিচ্ছে কতটা লড়াই তাদের করতে হয়েছে। ছবি: এএফপি।

৩৪ ওভারে ৭ উইকেটে ২০৭-খুব খারাপ স্কোর নয়। হ্যামিল্টনের বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের ৫৯ আর শেষের দিকের ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে চ্যালেঞ্জটা ভালোই ছুড়ে দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। তবে ১ বল বাকি থাকতে চ্যালেঞ্জটা জিতে গেছে প্রোটিয়ারা। ওপেনিংয়ে কুইন্টন ডি কক আর হাশিম আমলার ৮৮ রানের জুটির পর হঠাৎই পথ হারানো দক্ষিণ আফ্রিকাকে (২১০/৬) শেষ পর্যন্ত জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছে অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স আর আন্দিলে ফিকোয়াওরে দারুণ একটা জুটি। এটি ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার টানা ১২তম জয়।
এক বল বাকি থাকতেই জয়টা তুলে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডি ককের ব্যাট থেকে আসে ৬৯ রান। পাশাপাশি আমলার ৩৫ আর ফাফ ডু প্লেসির ১৪ রানে ২০৮ রানের লক্ষ্যটা যখন সহজ মনে হচ্ছিল, ঠিক তখনই জেপি ডুমিনি, ফারহান বেহারডিয়েন ও ক্রিস মরিসের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ডি ভিলিয়ার্স আর ফিকোয়াও সেই চাপ সামলেই জয়টা তুলে নিয়েছেন।
ডুমিনি ও বেহারডিয়েন ফিরে যান দলীয় ১২৬ রানের মধ্যেই-টিম সাউদির পরপর দুই বলে। ২৭ ওভারে প্রোটিয়াদের রান যখন ১৫৬, তখন আউট হন মরিস। ডি ভিলিয়ার্স ৩৭ ও ফিকোয়াও অপরাজিত থাকেন ২৯ রানে। ভিলিয়ার্সের ৩৭ রান আসে ৩৪ বলে, ছিল ২টি চার। ফিকোয়াও ২ চার ও ২ ছয়ে ২৩ বলে করেন ২৯ রান।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে টিম সাউদির ২ উইকেটের পাশাপাশি একটি করে উইকেট পেয়েছেন মিচেল স্যান্টনার ট্রেন্ট বোল্ট, ইশ সোধি ও কেন উইলিয়ামসন।
এর আগে, বৃষ্টির কারণে ৩৪ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৮২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা কিউই ইনিংসকে পথ দেখান উইলিয়ামসন-তাঁর ৫৯ রানের ইনিংসে। ৫৩ বলে ৪টি চার ও ২ ছয়ে উইলিয়ামসনের এই ইনিংসের পর সর্বোচ্চ রান কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের অপরাজিত ৩৪। ওপেনার ডিন গ্রাহাম ব্রাউনলি করেন ৩১। শেষ দিকে গ্র্যান্ডহোমের পাশাপাশি জিমি নিশামের ২৯ ও সাউদির ২৪ রানে ৩৪ ওভারে ৭ উইকেটে ২০৭ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। সূত্র: ক্রিকইনফো।