কোহলি যেখানে ফেলটুশ ছাত্র
ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে ডিআরএসের পক্ষেই কথা বলেন বিরাট কোহলি। তবে এই পদ্ধতির সুবিধা নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের অধিনায়ক অতটা চতুর নন বলেই মনে হচ্ছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে হায়দরাবাদ টেস্টে ভালো কিছু রিভিউ নিয়েছিলেন। তবে এর আগে ইংল্যান্ড সিরিজ আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে রিভিউ নেওয়ার ক্ষেত্রে ‘পাস নম্বর’ও তুলতে পারেননি কোহলি।
ভারত ডিআরএস ব্যবহার করতে শুরু করেছে গত নভেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে। ডিআরএস ব্যবহার করে মাত্র সাতটি টেস্ট খেলেছে তারা। সাতটি টেস্টেই অধিনায়ক কোহলি। এই সাত ম্যাচে মোট ৫৫টি রিভিউ নিয়েছে ভারত। সফল হয়েছে মাত্র ১৭টিতে। সফলতার হার ৩০.৯ শতাংশ! কোহলি এই বাবদে দেখা যাচ্ছে পুরো ফেলটুশ ছাত্র!
কিছু রিভিউয়ে ব্যর্থ হওয়ার দায় অবশ্য পুরো কোহলির নয়। অনেক সময় মাঠে বোলার বা উইকেটকিপারের চাপাচাপিতে রিভিউ নিয়ে নেন অধিনায়ক। আবার ব্যাটিং করার সময় ব্যাটসম্যান রিভিউ নেবে কি না, তা ঠিক করার ভার অধিনায়কের হাতে থাকে না। পুনে টেস্টে যেমন এই কাজ করেছেন মুরালি বিজয় আর কেএল রাহুল। দুজনই রিভিউ নিয়ে নেওয়া প্রথম ৬ ওভারের মধ্যেই দুটি রিভিউ নষ্ট হয় ভারতের।
তবে তাতে কোহলির দায় কমছে না। ফিল্ডিংয়ের সময় নেওয়া রিভিউগুলোর ক্ষেত্রেই বেশি অসফল ভারত। ফিল্ডিংয়ের সময় নেওয়া ৪২টি রিভিউর মধ্যে মাত্র ১০টিতে সফল হয়েছে তারা। ব্যাটিংয়ের সময় নেওয়া তাদের ১৩টি রিভিউর ৭টিই ঠিক ছিল। সূত্র: ডেকান ক্রনিকলস।