মাঠসংকটে পাইওনিয়ার লিগ

জাতীয় দলের সাবেক কোচ জর্জ কোটান অজস্রবার বলেছেন কথাটা, ‘বাংলাদেশের ফুটবলে সবচেয়ে বড় সমস্যা মাঠ।’ অস্ট্রিয়ান এই কোচের কথাগুলো এখন উপলব্ধি করতে পারছেন পাইওনিয়ার লিগ কমিটির কো-চেয়ারম্যান অমিত খান শুভ্র। কাল থেকে পাইওনিয়ার লিগ শুরু হলেও মাঠের সংকটে ভুগছেন এই কর্মকর্তা।
এবারের লিগ হওয়ার কথা পাঁচটি ভেন্যুতে—মিরপুর গোলারটেক, ইস্ট এন্ড ক্লাব, রাজউক আউটার স্টেডিয়াম-সংলগ্ন মাঠ, বাসাবো মাঠ ও টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাঠে। কিন্তু বাসাবো ও রাজউক মাঠ নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নন অমিত খান।
কাল বাসাবো মাঠে হওয়ার কথা ছিল পাইওনিয়ার লিগের উদ্বোধনী ম্যাচ। কিন্তু মাঠ প্রস্তুত না হওয়ায় গত পরশুই সূচি বদলাতে বাধ্য হয়েছে লিগ কমিটি। যদিও কাল মিরপুরের গোলারটেকে ও ইস্ট এন্ড ক্লাব মাঠে ৩টি ম্যাচ হয়েছে।
মাঠসংকট নিয়ে অমিত খানের আক্ষেপ, ‘মাঠ নিয়ে খুব সমস্যার মধ্যে আছি। প্রথমত যে ধরনের মাঠে খেলাতে চাই ওই রকমের মাঠ চেয়েও পাচ্ছি না। বুয়েট মাঠের জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। টাকা ছাড়া ওই মাঠে খেলা চালানো সম্ভব না। বিজয় সরণি সামরিক জাদুঘর মাঠ চেয়েছিলাম। ওখানে সংস্কারকাজ চলছে। মোহাম্মদপুর শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্রের মাঠ চেয়েছি, ওরা মাত্র ১০ দিনের জন্য দিতে চায়। এ রকম যে মাঠগুলো খেলার উপযুক্ত সেই মাঠগুলো পাচ্ছি না।’
টঙ্গীর আহসানউল্লাহ স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো পাইওনিয়ারের খেলা হচ্ছে। অমিত খান এই মাঠ পেয়ে খুশি, ‘এটা মূলত আর্চারির অনুশীলন মাঠ। আমি জয় ভাই (যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান) ও রাসেল ভাইকে (সাংসদ জাহিদ আহসান রাসেল) বলে মাঠটা নিয়েছি। এমন মাঠে খেলা চললেই ভালো হতো।’
কাল প্রথম দিনে মিরপুর গোলারটেকে নাসির ফুটবল একাডেমি ১-০ গোলে গুলশান ইয়ুথ ক্লাবকে, ইস্ট এন্ড ক্লাব মাঠে মাদারবাড়ি শোভানিয়া ৬-০ গোলে ঝিলমিল একাডেমিকে এবং নাসরিন একাডেমি ৩-২ গোলে গোদনাইল ফুটবল ক্লাবকে হারিয়েছে। উদয়কাঠি টাইগার্সের বিপক্ষে ওয়াকওভার পেয়েছে ধানমন্ডি ফুটবল একাডেমি।