মিসবাহর পরামর্শ শুনেই দুর্দান্ত তাসকিন!

নিজের সাফল্যের ভাগ অধিনায়ককেও দিলেন তাসকিন। ছবি: প্রথম আলো
নিজের সাফল্যের ভাগ অধিনায়ককেও দিলেন তাসকিন। ছবি: প্রথম আলো

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই দুহাত উঁচিয়ে দেখালেন তাসকিন আহমেদ। সত্যিই তো এখনো বিয়ের মেহেদি শুকায়নি! বিয়ে করেছেন এক সপ্তাহ হলো। বিপিএল-ব্যস্ততায় জীবনের নতুন পর্ব নিয়ে পড়ে থাকার সময় কোথায়! তবে তাসকিন যে বল হাতে নতুনভাবে শুরু করছেন তাঁর অগ্রযাত্রা, সেটি বোঝা গেল।

আজ রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। দল জিতেছে। হয়েছেন ম্যাচসেরা। একটা ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখতে আর কী লাগে! তাসকিন আজ হ্যাটট্রিকেরই সুযোগ পেয়েছিলেন। অল্পের জন্য সেটি না হলেও পরপর তিন উইকেট পতনের আনন্দে মেতে ওঠার সুযোগ হয়েছে চিটাগং ভাইকিংসের। হ্যাটট্রিক না হওয়ায় তাই আফসোস নেই তাসকিনের। দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পেরেই তিনি খুশি, ‘ম্যাচ জিততে পেরেছি, সেটাই বড় কথা। আমার তিন উইকেট দলের জয়ে কিছুটা অবদান রাখতে পেরেছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরটা খুব বাজে গেছে বাংলাদেশ দলের। ভালো করতে পারেননি তাসকিনও। তাঁর বোলিং নিয়ে কদিন আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে অনেক। খেলোয়াড়দের এমন বাজে সময় যে আসতেই পারে, সেটি মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন তাসকিন, ‘শচীন টেন্ডুলকারের মতো কিংবদন্তিরও কত সিরিজ খারাপ গেছে! তাঁর কাছে আমি দুধভাত! একটা সিরিজ খারাপ হয়েছে, প্রতিটি সিরিজ ভালো খেলার চেষ্টা করব। শুধু আপনাদের দোয়া থাকলেই হবে। আর এই দু-একটি ম্যাচ খারাপ করলে এত গালাগালি না করে আরেকটু সমর্থন করলে আরও ভালো খেলতে পারব।’
ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে বেরিয়ে আসাটা নিশ্চয়ই কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল তাসকিনের। সেই চ্যালেঞ্জটা আজ উতরে গেলেন কীভাবে, সেটি বলছিলেন তাসকিন, ‘আজ সকালে মিসবাহ (উল-হক) ভাই নাশতার টেবিলে একটি কথা বলেছেন, ফকির হলে নিজের বুদ্ধিতে ফকির হও। নিজের বুদ্ধিতে বল করে মার খাও। মানুষের কথা শোনার চেয়ে আমি আমার মনের কথা শোনার চেষ্টা করেছি।’