নিষিদ্ধ হয়েও খুশি রামোস !

এই হলুদ কার্ডেই নিশ্চিত হলো ১১ তারিখের ম্যাচে থাকবেন না রামোস। ছবি: রয়টার্স
এই হলুদ কার্ডেই নিশ্চিত হলো ১১ তারিখের ম্যাচে থাকবেন না রামোস। ছবি: রয়টার্স

ম্যাচের ৫৪ মিনিটেই ঘটল সেই অঘটন। নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা নিয়ে মাঠে নামা সার্জিও রামোস পেছন থেকে পাওলো দিবালাকে চার্জ করে পেলেন হলুদ কার্ড। ব্যস, সেই সঙ্গে নিশ্চিত হয়ে গেল কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে আর খেলা হচ্ছে না রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়কের। কিন্তু নিষিদ্ধ হয়েও নাকি খুশি রামোস। 

ম্যাচের ৬৪ মিনিট পর্যন্ত অবশ্য সব রিয়াল মাদ্রিদ ভক্তেরই মুখ ভার হয়ে ছিল। জুভেন্টাসের বিপক্ষে মাত্র এক গোলে এগিয়ে রিয়াল। পরের লেগ নিজেদের মাঠে হলেও রামোসকে ছাড়া খেলতে হবে রিয়ালকে। তাঁর জায়গা নিতে পারতেন যিনি, সেই নাচোও পেশাদার ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো চোটে পড়েছেন এ সপ্তাহেই। ফলে দ্বিতীয় লেগে অনভিজ্ঞ জেসুস ভায়েহো ছাড়া জিদানের হাতে আর কোনো সেন্টার ব্যাকই নেই। অনভিজ্ঞ ডিফেন্স নিয়ে মাত্র এক গোলের লিড নিয়ে দ্বিতীয় লেগ খেলার চিন্তাটা খুবই ভয়ংকর। যেখানে দ্বিতীয় লেগে জুভেন্টাসের প্রাণভোমরা মিরালেম পিয়ানিচ ফিরবেন নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে! রিয়ালের দুশ্চিন্তা ছিলই।
হলুদ কার্ড দেখে তাই রেফারির সঙ্গে তর্ক জুড়ে দিয়েছিলেন রামোস। কিন্তু ৬৪ মিনিটে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর অবিশ্বাস্য এক গোল আর ৭২ মিনিটে মার্সেলোর আরেকটি দারুণ গোলে সব দুশ্চিন্তা দূর হয়েছে রিয়ালের। রামোসও তাই এখন পরের লেগ খেলতে না পারায় দুঃখিত নন, ‘ম্যাচের ফল দেখে মনে হচ্ছে, দ্বিতীয় লেগ না খেলতে পারা ভালোই হবে আমার জন্য। ব্যাপারটা খারাপ না।’ রিপ্লেতে দেখা গিয়েছিল, দিবালার কনুই লেগেছিল রামোসের মুখে, কিন্তু রিয়াল অধিনায়ক পেছনে থাকায় তাঁকেই উল্টো হলুদ কার্ড দেখতে হয়েছে, ‘আমার মনে হয়, এবারই প্রথম কনুইয়ের গুঁতো খেয়ে উল্টো কার্ড দেখতে হলো।’ মজার ব্যাপার, যার কারণে রামোস দ্বিতীয় লেগে খেলতে পারবেন না, সেই দিবালাও দর্শক হয়ে থাকবেন সেদিন। রোনালদোর গোলের একটু পরেই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয় লেগে তাই পরিষ্কার ব্যবধানে এগিয়ে রিয়াল। ঘরের মাঠে দলের জয় নিশ্চিত করার কাজটা সতীর্থদের কাঁধেই দিয়ে দিচ্ছেন রামোস, ‘সবকিছু ছিল নিখুঁত। এখন আমাদের ঘরের মাঠে কাজটা শেষ করতে হবে।’