যেকোনো কিছুই হতে পারে মেসি আলো ছড়ালে

>
ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচের আগে অনুশীলনে মেসি। ছবি: এএফপি
ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচের আগে অনুশীলনে মেসি। ছবি: এএফপি
মেসিই আর্জেন্টিনার প্রাণভোমরা। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে খোলস ছেড়েছেন তিনি। আজ ফ্রান্সের বিপক্ষে তিনি নিজেকে মেলে ধরলে হতে পারে অনেক কিছুই

বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচেই পেনাল্টি মিস করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন লিওনেল মেসি। আইসল্যান্ডের বিপক্ষে মেসি ওই পেনাল্টি কাজে লাগাতে পারলে সেদিন জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারত তাঁর দল। ১-১ গোলে ড্রয়ের ম্যাচে মেসির ভুলটাই বড় হয়ে ধরা পড়েছিল সবার চোখে। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে বড় ম্যাচে মেসি আইসল্যান্ডের ম্যাচটিকে অতীত বানিয়ে ঘুরে দাঁড়াবেন দলের প্রয়োজনে—এমন প্রত্যাশা ছিল সবারই। কিন্তু সেদিন মেসি রইলেন তাঁর ছায়া হয়ে।

আর্জেন্টাইনরা এতটাই হতাশ হয়েছিলেন যে দলের সবচেয়ে সেরা খেলোয়াড়ের অবসরের দাবিই উঠে গেল। ব্যাপারটা এমন হয়ে দাঁড়াল, মেসিই যেন সমস্যা দলের জন্য। কিন্তু নাইজেরিয়ার বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে কী দুর্দান্তভাবেই না ঘুরে দাঁড়ালেন মেসি। গোল করে দলের বিজয়ে রাখলেন বড় ভূমিকা। দলও খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হলেও উঠে গেল বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর লড়াইয়ে।

প্রথম দুই ম্যাচে মেসি একটা খোলসের মধ্যে ঢুকে ছিলেন। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে সেই খোলসটা তিনি ভেঙেছেন—আর্জেন্টাইন সমর্থকদের স্বস্তির বিষয় এটিই। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পুরো ম্যাচেই ছিলেন আক্রমণাত্মক। মজার ব্যাপার হচ্ছে, কোচ সাম্পাওলিকে বাধ্য করেছিলেন কিছুটা নত হতে। ম্যাচের একপর্যায়ে গঞ্জালো হিগুয়েইনের জায়গায় সার্জিও আগুয়েরোকে মাঠে নামানো হবে কি না, এটাই সাম্পাওলি মেসিকে জিজ্ঞেস করতে বাধ্য হয়েছিলেন।

মেসির এমন আক্রমণাত্মক মনোভাবকে আর্জেন্টিনার জন্য সুখবর হিসেবেই দেখছেন ফুটবল বোদ্ধারা। রাশিয়ান লা নিকন পত্রিকার সাংবাদিক সেবাস্তিয়ান ফেস্ট বলেছেন, ‘মেসির আক্রমণাত্মক খেলাটা আর্জেন্টাইনদের জন্য অনেক বড় একটা সুখবর। দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ফ্রান্স—এ নিয়ে চিন্তিত হতেই পারেন। মেসি নিজেকে মেলে ধরতে পারলে যেকোনো কিছুই হতে পারে।’