পেনাল্টি নিতে শেখাচ্ছেন যিনি

ইংল্যান্ড দলের তিন কোচ। ফরওয়ার্ড পজিশনের জন্যও তাদের কোচ আছে। ছবি: রয়টার্স
ইংল্যান্ড দলের তিন কোচ। ফরওয়ার্ড পজিশনের জন্যও তাদের কোচ আছে। ছবি: রয়টার্স
>মূল কোচ, সহকারী কোচ, গোলরক্ষক কোচ থাকে ফুটবল দলগুলোতে। তবে এবার ফুটবল বিশ্ব দেখল ফরওয়ার্ড কোচ। ইংল্যান্ডের ফরওয়ার্ড কোচ হিসেবে কাজ করছেন অ্যালান রাসেল। আর তাঁর অধীনে কেইনরা পাচ্ছে সাফল্য

ট্যাকল করে পার পাওয়ার সুযোগ নেই আর। আবার ভান করে পেনাল্টি আদায় করলেও ভিএআর জানিয়ে দেবে প্রকৃত ঘটনা। আইসল্যান্ডের সঙ্গে পেনাল্টি মিস করে বিশ্বকাপে পেনাল্টি মিসের সূচনা করেছেন মেসি। সেই পথে হেঁটেছেন আরও ৬ জন ফুটবলার। যে তালিকায় আছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এবং লুকা মদরিচও। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হওয়ায় মৃত্যুর হুমকি পেয়েছেন পেরুর ক্রিস্টিয়ান কেভা!

এদিক থেকে ইংল্যান্ড আছে বেশ স্বস্তিতে। দলের অধিনায়ক হ্যারি কেইন পেনাল্টি থেকে গোল করার সুযোগ পেয়েছেন তিনবার। সফলতা শতভাগ। আর কলম্বিয়ার সঙ্গে টাইব্রেকারে মাথা ঠান্ডা রেখে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ৬৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলটি। আর এর পেছনে মূল কারিগর হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে অ্যালান রাসেলকে। তিনি ইংল্যান্ড দলের ফরওয়ার্ডদের কোচ। স্পট কিক থেকে ইংল্যান্ডের সফলতার পেছনে তাঁর বিশেষায়িত মতামত এখন পর্যন্ত বেশ কাজে দিয়েছে।

রাশিয়া বিশ্বকাপ পেনাল্টির জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কোয়ার্টার ফাইনাল শুরু হওয়ার আগে এখন পর্যন্ত ২৮ বার পেনাল্টি নেওয়া হয়েছে ৫৫ ম্যাচে। টাইব্রেকারে বাদ পড়ে গেছে স্পেন, কলম্বিয়া। পেনাল্টিই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিচ্ছে। নকআউট পর্বে খেলা ১২০ মিনিটে গড়ালেই সম্ভাবনা তৈরি হয় টাইব্রেকারের। আর সেখানে নার্ভাস হয়ে পেনাল্টি মিস করে বসেন বিশ্ব সেরা খেলোয়াড়রাও। আর এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ইংল্যান্ড দল ৩৭ বছর বয়সী রাসেলকে দিয়েছে এই গুরুদায়িত্ব। এখন পর্যন্ত তাদের সফলই বলা চলে।

ক্যারিয়ারের শেষ পাঁচ বছর আমেরিকায় খেলেছেন। সেখানে আক্রমণ, রক্ষণ, শট নেওয়ার জন্য ভিন্ন ভিন্ন বিশেষায়িত কোচ থাকে। অ্যালান রাসেলের সাবেক সতীর্থ ট্যাম ম্যাকমেনাস জানান, ‘অ্যালান শূন্য থেকে শুরু করেছে। সে শিশুদের নিয়ে কাজ শুরু করে নিজের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। আর এখন সে খুব খুব উচ্চ পর্যায়ের কোচিং করাচ্ছে ইংল্যান্ডকে। প্রতিটি দলের ট্রেনিং সেশনেই কিছুটা সময় শট নেওয়ার পেছনে ব্যয় করা হয়। কিন্তু সে বিভিন্ন কোণ থেকে দলের খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। আর সেই এই বিষয়টিকে অন্য একপর্যায়ে নিয়ে গেছে। যেটা ভবিষ্যতে অনেক ক্লাব চালু করবে।’

ম্যাকমেনাসের কথাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে পারেন বিশ্বসেরা দলগুলো। সামনের ম্যাচগুলোতে পেনাল্টিতে ইংল্যান্ড সফল হলে, খুব শিগগিরই ফরওয়ার্ড কোচের ধারণা জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।