মেসি হচ্ছেন ফেদেরার আর রোনালদো নাদাল!

মেসি-রোনালদোর মধ্যে তুলনা না টানলে ফুটবল আড্ডা ঠিক জমে না। গত এক দশক ধরেই এ তর্কে নানা রকম যুক্তি শোনা যাচ্ছে। ফুটবলীয় ব্যাখ্যা, ব্যক্তিগত অর্জন টেনে যাঁর যাঁর প্রিয় খেলোয়াড়কে সেরা প্রমাণ করেছেন সবাই। তবে আন্তোনিও কাসানোর মতো উদ্ভাবনী ক্ষমতা খুব কমই দেখিয়েছেন। ফুটবলের দুই সেরার তুলনা টানলে টেনিসের বর্তমান ও সর্বকালের সেরা দুই তারকা রজার ফেদেরার ও রাফায়েল নাদালকে টেনে এনেছেন এই সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।

গত ১০ বছর ধরে ফুটবলের একক শ্রেষ্ঠত্ব ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি। নয় মৌসুম ধরে লা লিগায় দুজনের ঠোকাঠুকিও এ দ্বৈরথকে দিয়েছে বাড়তি মাত্রা। এ মৌসুমেই রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে জুভেন্টাসে গেছেন রোনালদো। এতেও কি তুলনা থামে? ভেনিটি ফেয়ারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাসানোকে তাই আবার টানতে হলো দুজনের তুলনা। ইতালিয়ান এই ফরোয়ার্ডকে তবু ধন্যবাদ দিতে হচ্ছে নতুন কিছু শোনাচ্ছেন বলে, ‘আমি মেসিকে শুধু ক্রিস্টিয়ানোর প্রতিপক্ষ হিসেবেই ভালোবাসি না। কারণ আমার চোখে মেসি হলো সর্বকালের সেরা এবং সে আমাকে যে অনুভূতি এনে দেয়, সেটা অনন্য। আপনাকে যদি যুক্তি দেখাতে চাই, তবে বলি, আমাকে এমন আরেকজন খুঁজে দিন, যে এভাবে বল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং এত নিয়মিত গোল করে।’

এর মানে এই নয় যে রোনালদোকে কোনোভাবে হেয় করছেন কাসানো। তাঁর চোখে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের গুণ অন্য রকম, ‘পরিষ্কারভাবে বলি, ক্রিস্টিয়ানোর কোনো ত্রুটি নেই। কিন্তু সেটা মূল ঘটনা নয়। আমি টেনিস ভালোবাসি। এখন ক্রিস্টিয়ানো হচ্ছে নাদালের মতো, যে অসাধারণ অ্যাথলেট, যার প্রতিভা আছে, সেই সঙ্গে আছে নিবেদন ও কঠোর পরিশ্রম। মেসি সে তুলনায় অনেকটা ফেদেরারের মতো, শিল্পিত ও অন্য মাত্রার।’

কাসানোর দাবি, যার যার পছন্দ অনুযায়ী মেসি কিংবা রোনালদো তর্কের সমাধান হবে, ‘ওরা ভিন্ন ধরনের এবং আপনি যেকোনো একজনকে বেছে নেবেন। আমি মেসির পক্ষের, কারণ সে দাঁড়িয়ে থেকেও পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। ওর তো মনে হয় ম্যাচ ফিটনেস থাকারও দরকার হয় না। আমি আমার ছোট সন্তানের নাম লিওনেলের নামে দিয়েছি।’

কাসানোর চোখে নাদাল মনে হলেও রোনালদো–ভক্তরা অবশ্য ফেদেরারের সঙ্গেই তুলনা টানবেন বেশি। কারণ, তিনটি লিগ জয় করে রোনালদো এখন ইতালিয়ান লিগে যোগ দিয়েছেন নতুন চ্যালেঞ্জের খোঁজে। মেসি কিন্তু ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই একই ক্লাবে খেলে যাচ্ছেন। নতুন কোনো চ্যালেঞ্জের প্রতি কখনো আগ্রহ দেখাননি। নাদালের রোঁলা গাঁরো কিংবা লাল কোর্ট–প্রীতির সঙ্গে এভাবেই মেসিকে টেনে আনছেন রোনালদো–ভক্তরা!