এতটা ত্যাগ স্বীকার করেছেন তামিম

>

ওয়ানডে সিরিজটা দুর্দান্ত খেলেছেন তামিম ইকবাল। চোট নিয়ে খেলেছেন তৃতীয় ওয়ানডেটা। অসহনীয় ব্যথা সয়ে করেছেন সেঞ্চুরি। ত্যাগ স্বীকারের ফলটা মিলেছে হাতে হাতেই।

গায়ানা থেকে আসার পথেই খবরটা শোনা গেল। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হালকা চোট পেয়েছেন তামিম ইকবাল। বিমানে জানতে চাওয়া হলো, সমস্যাটা গুরুতর নয় তো? তামিম আশ্বস্ত করলেন, সমস্যা নেই। ৫০ শতাংশ ফিট থাকলেও পরের ম্যাচে খেলবেন।

শঙ্কা উড়িয়ে তামিম সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটা খেলেছেন। খেলেছেন চোট নিয়েই। সেঞ্চুরির খানিক আগে ব্যথাটা প্রায় অসহনীয় পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। তবুও হতোদ্যম হননি। ফিরেছেন সেঞ্চুরি করে। সব পাওয়ার ম্যাচে তামিমকে বড় ত্যাগই স্বীকার করতে হয়েছে। শুধু ক্যারিবীয় বোলারদের চ্যালেঞ্জ নিতে হয়নি তাঁকে, লড়তে হয়েছে চোটের সঙ্গে। দুর্দান্ত জয়ের আনন্দে ব্যথার যাতনা উপশম হয়েছে অনেকটাই, ম্যাচ শেষে তামিমের হাসিমুখ দেখে তা বোঝা যাচ্ছিল।

কাল ওয়ার্নার পার্কে তামিম। ছবি: প্রথম আলো
কাল ওয়ার্নার পার্কে তামিম। ছবি: প্রথম আলো

তামিমের সবচেয়ে ভালো লাগছে, টেস্ট সিরিজ বাজেভাবে হারের পর দলের ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারটি, ‘এটা অনেক প্রশান্তির। অনেক দিন পর একটা সিরিজ জিতলাম। যেভাবে শুরু করেছিলাম, যেভাবে টেস্ট সিরিজটা খেলেছি, আমাদের খুবই দরকার ছিল ওয়ানডে সিরিজ জেতা। টেস্টে খারাপ খেলার পর প্রথম ম্যাচে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। দ্বিতীয় ম্যাচটা জেতা উচিত ছিল। হয়নি। এই ম্যাচটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সবচেয়ে ভালো লেগেছে, কেউ আশা ছাড়েনি। সবাই বিশ্বাস করেছে, আমরা জিততে পারি। ছোট মাঠ, ওদের পক্ষে যাওয়ার সুযোগ ছিল। তাদের সবাই পাওয়ার হিটার। এ সব চিন্তা করে আমার কাছে মনে হয়, সিরিজটা আমাদের অনেক বড় সাফল্য।’

সিরিজজুড়ে দুর্দান্ত খেলেছেন। ১৩০*, ৫৪ ও ১০৩—তিন ম্যাচে রান ২৮৭। তিন ম্যাচের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজে সফরকারী দলের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এর আগে ছিল ছিল ড্যারেন লেম্যানের (২০৫)। সেটি কাল টপকে গেছেন তামিম। সিরিজে এই আশ্চর্য ধারাবাহিকতা নিয়ে তামিমের বিশ্লেষণ, ‘আমার পরিশ্রমের প্রতিদান পেয়েছি। টেস্ট সিরিজে খুব একটা সফল হতে পারিনি। শুধু আমি না, দলের অনেকেই সেভাবে সাফল্য পায়নি এবার। তবে সবাই অনেক পরিশ্রম করেছে। যারা রান করছে, তারা যেমন পরিশ্রম করেছে। যারা করেনি তারাও অনেক কষ্ট করেছে। ওই কষ্ট করার মধ্যে আমিও ছিলাম। চেষ্টা করেছি নিজের খেলাটা কীভাবে উন্নতি করা যায়।’

তামিম উন্নতি করছেন, দলও সাফল্য পেয়েছে। বাঁহাতি ওপেনার নিশ্চয়ই টি-টোয়েন্টিতেও ধরে রাখবেন সেন্ট কিটসে ফিরে পাওয়া ছন্দ।