নারী কাবাডিতে পদকের আশা শেষ

>
তাইপের কাছে হারের পর হতাশ বাংলাদেশের নারী কাবাডি দল। ছবি: মাসুদ আলম, জাকার্তা থেকে
তাইপের কাছে হারের পর হতাশ বাংলাদেশের নারী কাবাডি দল। ছবি: মাসুদ আলম, জাকার্তা থেকে

এশিয়ান গেমসের গত দুটি আসরে নারী কাবাডিতে ব্রোঞ্জ জিতেছিল বাংলাদেশ। এবারও সেই প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু আজ চীনা তাইপের কাছে প্রথম ম্যাচেই হেরে পদকের আশা প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ার পথে।

এশিয়ান গেমসের গত দুটি আসরে বাংলাদেশ নারী কাবাডি দল ব্রোঞ্জ জিতেছিল। এবারও ব্রোঞ্জের আশা নিয়েই তারা ইন্দোনেশিয়ায় আসে। কিন্তু নারী কাবাডির প্রথম দিনেই বাংলাদেশের ব্রোঞ্জের আশা প্রায় শেষ। কারণ, যে ম্যাচটিতে নিশ্চিত জয় ধরে নিয়েছিলেন মালেকা পারভীনেরা, সেটিতে আজ বাংলাদেশ হেরে গিয়েছে। হারের ব্যবধানও বেশ বড়। বাংলাদেশকে নিরাশ করে এই ম্যাচ চাইনিজ তাইপের মেয়েরা জিতে নিয়েছেন ৪৩-২৮ পয়েন্টে।

বাংলাদেশের মেয়েরা ভাবতেই পারেননি এভাবে হারতে হবে। কোচ-খেলোয়াড়দের ধারণা ছিল, তাইপেকে সহজেই হারানো সম্ভব। কিন্তু জাকার্তার থিয়েটার গারুদায় কোর্টে নামার পর সেই ধারণা গেছে পাল্টে। এর আগে কখনোই তাইপের সঙ্গে খেলেনি বাংলাদেশ। অচেনা সেই প্রতিপক্ষ বাংলাদেশকে চমকে দিতে শুরু করে প্রথম থেকেই। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ পিছিয়ে ছিল ১৫-১২ পয়েন্টে। দ্বিতীয়ার্ধে পয়েন্টের ব্যবধানটা বেড়েছে আরও।

এমন হারের পর হতাশ কোচ আবদুল জলিল বলছিলেন, ‘আমাদের কল্পনারও বাইরে ছিল তাইপে এত ভালো খেলবে। আমরা ধরে নিয়েছিলাম এই ম্যাচটি জিতব। কিন্তু পারলাম না।’ দলের সমস্যাটাও ধরতে পেরেছেন জলিল, ‘তাইপে বোনাস পয়েন্ট নিতে এত ভালো খেলেছে যে, আমরা ঠেকাতে পারিনি। এই জায়গায় আমাদের বড় সমস্যা হয়েছে।’ তাইপের মেয়েদের টেকনিক খুব ভালো। তারা ৭টি বোনাস পয়েন্ট নিয়েছে। বাংলাদেশ ৪টি। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ দুবার অলআউট হয়েছে, তাইপে একবারও নয়। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য তাইপে দুবার অলআউট হয়েছিল, বাংলাদেশ এই অর্ধে একবারও অলআউট হয়নি।
বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় শাহনাজ পারভীন মালেকা এমন হারে ভীষণ হতাশ। তবে তাঁর মনে কষ্টও আছে, ‘এই চাইনিজ তাইপে দলটা এখানে আসার আগে ছয়টি অনুশীলন ম্যাচ খেলেছে, বাংলাদেশ একটিও নয়। তাইপে দলটি গত বছর এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ খেলেছে ইরানে, আমরা খেলিনি। সেখানে খেললে হয়তো তাইপে সম্পর্কে একটা ধারণা আমরা পেতাম। কিন্তু তা আর হলো কই!’
আগামীকাল ইরানের সঙ্গে খেলা নারী কাবাডি দলের। পরদিন দক্ষিণ কোরিয়া। এই দুটি ম্যাচ আরও কঠিন হবে বাংলাদেশের জন্য। ইরান গত এশিয়াডে রুপা জিতেছে। গত দুবার ব্রোঞ্জ এসেছিল কোরিয়াকে হারিয়ে। তবে এবার কোরিয়ার প্রস্তুতি দেখে বাংলাদেশ দল ভাবছে, এবার আর সম্ভব হবে না দলটিকে হারানো। তাই এবার এশিয়াডের নারী কাবাডি থেকে বাংলাদেশের পদক নিয়ে ফেরা কেবল কঠিনই নয়, এক প্রকার অসম্ভবই।