ঝড় তুলতে প্রস্তুত মিঠুন

জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোহাম্মদ মিঠুন। ফাইল ছবি
জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোহাম্মদ মিঠুন। ফাইল ছবি
>সুযোগ পেলে রান করে দেখাতে পারবেন বলে অভয় দিচ্ছেন মোহাম্মদ মিঠুন।

নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে এশিয়া কাপের দলে থাকা হচ্ছে না সাব্বির রহমানের। তাঁর না থাকাটা দলে প্রভাব ফেলবে, এমন ভাবনার লোক পাওয়াটা এখন দুষ্কর। তবে কোন খেলোয়াড় দলে না থাকলে যে প্রশ্নটি বরাবরই ওঠে, সে যদি থাকত? সুযোগ পেলে অন্তত এই প্রশ্নটি ওঠার সুযোগ দিতে চান না মোহাম্মদ মিঠুন।

ওয়ানডে দলে সর্বশেষ ওপেনার হিসেবে খেলা মিঠুনকে ঘরোয়া ক্রিকেটে কখনো দেখা যায় মিডল অর্ডারে বা কখনো ওপেনিংয়ে। জাতীয় দলে এবার তাঁকে বিবেচনা করা হচ্ছে একেবারে নতুন ভূমিকায় ছয় বা সাতে। অর্থাৎ যে পজিশনে ব্যাট হাতে নামতেন সাব্বির। নতুন জায়গায় দায়িত্বটি ঠিকঠাকভাবে পালন করার জন্যও প্রস্তুত হচ্ছেন মিঠুন।

আজ মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম দিনের অনুশীলনের মাঝে নিজের নতুন ব্যাটিং পজিশন নিয়ে ভাবনার কথা জানান মিঠুন, ‘আমার ক্যারিয়ারের প্রথম থেকে এখন পর্যন্ত আমি যা খেলেছি, সবই ইতিবাচক খেলার চেষ্টা করেছি সব সময়। এমনকি আমি উইকেটে নেমে খুব বেশি সময় নিই না সেট হওয়ার জন্য। আমি প্রথম থেকেই রানের ধারাবাহিকতা রাখতে চেষ্টা করি।’

মিঠুনকে এই পজিশনে খেলানোর ভাবনা আসে ‘এ’ দলের হয়ে আয়ারল্যান্ড সফরে তাঁর ব্যাটিংয়ের ধরন দেখে। সেখানে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওপেনার হিসেবেই নেমে ৩৯ বলে ঝড় তুলে করেছিলেন ৮০ রান। ব্যস, এতেই নির্বাচকদের মনের দরজা দিয়ে মারকুটে ব্যাটসম্যান হিসেবে ঢুকে পড়া। যিনি কিনা শেষের দিকে নেমে রানের পুঁজিকে শক্ত একটা অবস্থানে নিতে পারবেন।

আর মিঠুন তো ছোটবেলা থেকেই মারকুটে ব্যাটসম্যান হিসেবেই পরিচিত, ‘আমি যেহেতু ছোটবেলা থেকে এভাবেই খেলে অভ্যস্ত। হয়তো বা আগে নতুন বলে খেলতাম বা ওপরে অনেক সময় নিয়ে খেলতাম, এখন হয়তো সময় কম পাব। তবে ছয় কিংবা সাতে খেললে ১১০-১১৫, ১২০, ১৩০ স্ট্রাইক রেটে খেলতে হবে। একেক সময় পরিস্থিতির একেকটি চাহিদা। তবে এই ধরনের স্ট্রাইক রেটে খেললে আমার মনে হয় যথেষ্ট ভালো হবে।’ খুব আত্মবিশ্বাস নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন মিঠুন।

শেষের ওভারগুলো কাজে লাগাতে থিতু হওয়ার সময় পাবেন না তিনি। নিজের সামর্থ্য আর সীমাবদ্ধতা জেনে তাই ভরপুর আত্মবিশ্বাসী থাকতে চান এই ব্যাটসম্যান, ‘যার জায়গায় খেলব, সে হয়তো একধরনের ভূমিকা পালন করত, আমি ভিন্ন ভূমিকা পালন করব। আমি পুরোপুরি আলাদা একজন মানুষ। আমি হয়তো তাঁর থেকেও ভালো করতে পারি। আমার অবশ্যই আত্মবিশ্বাসটি থাকতে হবে এবং আমার দিক থেকে সম্ভাব্য সেরাটি দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।’

এর আগে ওয়ানডেতে খুব বেশি সুযোগ পাননি মিঠুন। খেলেছেন মাত্র ৩ ম্যাচ। তাতে রান করতে পেরেছেন ৩৬। তবে ব্যাটিং লাইনআপের নতুন জায়গায় নতুন মিঠুনকে দেখা যেতেই পারে।